ইজরায়েল: খড় আর মাটির মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হবে

ইজরায়েলের একটি স্বল্প পরিচিত গ্রাম ওয়াদী এল-নাম এ আর্ন্তজাতিক ও স্থানীয় কর্মীরা রাতভর অপেক্ষা করেছেন একটি নতুন খড় আর মাটির মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কর্মীদের আসার প্রতীক্ষায়।

জেরুজালেম পোস্ট অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার কর্তপক্ষ জানিয়েছেন যে একজন ইজরায়েলী বেদুঈন আর কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর তৈরি এই কাঠামো বেআইনি কারন এটি অনুমতি ছাড়া নির্মিত হয়েছে আর একটা স্থানে যেখানে নির্মান কাজ করা যাবে না।

নেগেভের বেদুঈন আর ইহুদি লোকদের মধ্যে কাজ করা বুস্তান নামে এনজিও তার কর্মীদের আহবান করেছে মসজিদের ভিতরে বসে থাকার জন্য, যাতে ভেঙ্গে ফেলা বন্ধ করা যায়- আর এটা নথিভুক্ত করা, যদি নির্মানটা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

এনজিওর ওয়াবসাইটে বলা হয়েছে:

ইজরায়েলের প্রথম খড় আর মাটির মসজিদের ভেঙ্গে ফেলার আদেশ আসে গত সপ্তাহের শেষে যেটা অজ্ঞাত বেদুইন গ্রাম ওয়াদি এল নাম এ অবস্থিত। আসুন ভাঙ্গাটা থামাই!

আজকের সন্ধ্যা (সোমবার নভেম্বর ১৭) থেকে স্বেচ্ছাসেবী দরকার মসজিদে থাকার জন্য বৃহষ্পতিবার (নভেম্বর ২০) পয়র্ন্ত ভেঙ্গে ফেলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে আর ভেঙ্গে ফেললে তা নথিভুক্ত করতে।

এই সাইট আরো ব্যাখ্যা করেছে:

ইজরায়েলের এখন প্রায় ৮০,০০০ বেদুইন আরব আছে বিভিন্ন অজ্ঞাত গ্রামে যেখানে মৌলিক কাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুত আর পানির অভাব আছে। স্থানীয় বেদুইন আর খ্রীস্টান, মুসলিম, ইহুদি স্বেচ্ছাসেবী ইজরায়েল, আমেরিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা আর আফ্রিকা থেকে এই মসজিদ নির্মাণে গত চার মাস ধরে সাহায্য করেছে।

ব্লগার জোশ ওই স্থানে ছিলেন, ক্যামেরা নিয়ে যাতে ধারণ করতে পারেন যে কি ঘটছে। তিনি আমাদেরকে চাক্ষুস বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছেন আর লিখেছেন:

সোমবার রাত্রে আমি ওয়াদি নামে মসজিদে গিয়েছিলাম আর রাত সেখানে কাটিয়েছি আরো কিছু আর্ন্তজাতিক ব্যক্তির সাথে বসে যদি তারা সকালে চলে আসে তাই। আমাদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, মাহমুদ আর ইয়েলা উভয়ের কাছ থেকে, যে তারা যদি আসে আমরা যেন নিজেদেরকে দরজার সাথে বেঁধে না ফেলি, বা বুলডোজারের সামনে শুয়ে না পড়ি, বা পাথর না ছুঁড়ি বা সৈন্যরা যদি আমাদেরকে মারে তাদেরকে যেন পাল্টা আঘাত না করি। আমরা শুধুমাত্র ভেঙ্গে ফেলাটার ছবি তুলে নথিভুক্ত করবো, যদি তা ঘটে। ইহুদি ইজরায়েলীরা অন্য দিকে মসজিদের ভিতরে বসে থাকতে পারবে আর বেরিয়ে যেতে মানা করবে, বা বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়তে পারবে কারন তাদেরকে তখন গ্রেপ্তার করে পরে ওই দিন ছেঁড়ে দেয়া হবে, কিন্তু বিদেশী হিসাবে আমাদেরকে সেনা কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের অপরাধে ফেরত পাঠানো হবে।

যদিও ভেঙ্গে ফেলা দল আসে নি জোশ লিখেছেন:

এর মানে এই না যে আমরা জিতে গেছি। এর মানে তারা সবার সামনে এটা ধ্বংস করতে চায়নি, তাই তারা সম্ভবত পরের সপ্তাহে ফিরে আসবে আর এটা ধ্বংস করবে যখন কেউ এটা দেখার থাকবে না। এটা তখন কোন গল্প হবে না কারন আমরা আমাদের খেলা খেলেছি আর প্রেস এসেছিল, কিন্তু তারা দ্বিতীয়বার ওখানে যাবে না।

আর একজন ব্লগার জেরুজালেম জিপসী যোগ করেছেন:

আমরা ইহুদিদের এই বিশাল জোয়াল টানতে হয়। আমি ‘জাতির কাছে আলো’ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি গুরুত্ব সহকারে। আর আমি হতাশ হই যখন সংবাদপত্রে পড়ি কিছু লোক আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য যে ‘ধন্যবাদ’ পাচ্ছে তা দেখে। উদাহরণস্বরুপ, সম্প্রতি আমি পড়েছি যে ইজরায়েল রাষ্ট্র অজ্ঞাত গ্রাম ওয়াদি এল নামে একজন বেদুইন আইডিএফ রক্ষী বাহিনী কর্তৃক নির্মিত মসজিদ ভেঙ্গে ফেলবে। এটা মাটি আর খড় দিয়ে নির্মিত পরিবেশ বান্ধব একটা নির্মাণ। আপনি কি গোলযোগের কথা চিন্তা করতে পারেন যদি একটা সিনাগগকে ভেঙ্গে ফেলার কথা হয়? যে এটা নির্মাণ করেছে সে আইডিএফে ১৮-২৭ বছর পর্যন্ত ছিল। এখন সে বলেছে যে সে তার ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে দেবে না, আর তাকে আমি দোষ দেই না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .