- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

প্যালেস্টাইন: গাজার ব্লগাররা ভীতির কথা জানাচ্ছেন

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইজরায়েল, প্যালেস্টাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ

সব প্রতিকুলতা ছাপিয়ে, গাজা থেকে এখনো ব্লগ পোস্ট আসছে, আর ব্লগাররা বিস্তারিতভাবে জানাচ্ছে ইজরায়েলী হামলার মুখে তারা যে ভয়ের সম্মুখিন হচ্ছে সে সম্পর্কে।

একজাইল্ড [1] বলেছেন যে তিনি কোন নায়ক না:

على قيد الحياة ولكني لست بخير
وقد اكون في اي لحظة على قيد الموت لاكون بخير
فالاموات وحدهم آمنون في غزة

تركت شقتي وذهبت انا وزوجتي الى بيت العائلة،ليس بحثا عن مكانا آمناً من القصف
احب ان اكون بجانب امي في هذه الاحوال

لست بطلا،كابن اخي الصغير ارتعش من الصوت المعدني المتفجر في الهواء القريب
ولكني اكبت رعشتي خجلا،فلست بطلا

আমি এখনো বেঁচে আছি কিন্তু ঠিক নেই। আর যেকোন মুহূর্তে আমি মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারি, আর তখন ঠিক থাকবো। শুধুমাত্র মৃতরা গাজাতে নিরাপদ আছে।

আমি আমার ফ্লাট আর স্ত্রীকে ছেড়ে পারিবারিক বাড়ীতে গিয়েছিলাম, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ জায়গার খোঁজে না। আমি আমার মার পাশে থাকতে চাই এমন পরিস্থিতিতে।

আমি নায়ক নই, কিন্তু আমার তরুন ভাতিজার মতো আমি কাছের বিষ্ফোরনের ধাতব শব্দে কাঁপছি। কিন্তু আমি আমার কাঁপন ধরে রেখেছি, আমি নায়ক নই।

লায়লা এল হাদ্দাদ [2], যিনি রেইজিং ইউসুফ এন্ড নুর এ ব্লগ করেন, গাজায় তার বাবা মার সাথে যোগাযোগ করেছেন:

আমার বাবা ফোন করেছিলেন শুধু এটা জানাতে যে তিনি ভালো আছেন- যুদ্ধ বিমান সেখানের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করার পর, যেটাকে গাজা স্ট্রীপের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে করা হয়।

একটু পরে আমি আমার মাকে ফোন করেছিলাম, শুধু শুনতে পেলাম যে তিনি ফোনে কাঁদছেন। “মাথার উপরে প্লেন” তিনি চিৎকার করে বললেন “মাথার উপরে প্লেন।” আমি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম -মাথার উপরে প্লেন মানে ‘লক্ষ্য’ আরো দূরে আছে। কিন্তু প্রচন্ড ভয়ের এমন মুহূর্তে, কারন বা যুক্তির কোন স্থান নেই।

আর একজন গাজার ব্লগার, ড: মোনা এল- ফাররা যিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন, আর হতাশা নিয়ে দেখছেন কি হচ্ছে [3]:

ব্যথাভরা হৃদয় নিয়ে আমি দূর থেকে গাজাকে দেখে চলেছি। আমি টিভি বন্ধ করতে পারছি না, ওখানে যা হচ্ছে তা থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারছি না। যখন আমার ডাক্তার সহকারীরা ওখানে এমন অবিশ্বাস্য পরিস্থিতিতে কাজ করছে। যখন আমার বন্ধুরা, আমার পরিবার আর গাজার পুরো জনসংখ্যা এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আর লাগাতার ভয়ের মধ্যে আছে। দু:স্বপ্ন শেষ হয়নি।

কানাডার মানবাধিকার কর্মী ইভা বার্টলেট, যিনি ইন গাজাতে ব্লগ করেন, বর্ণনা করেছেন [4] উনি কিভাবে এতে অভ্যস্ত হচ্ছেন:

এই অনুভূতি কি করে বোঝাই? আমি বিষ্ফোরণে শারীরিকভাবে ভোতা হয়ে গেছি, আমি যে কোন দিক থেকে সাহসী তা না, কিন্তু শারীরিকভাবে শুধুমাত্র বোধহীন। এটা উপকারী, আমাকে লিখে যেতে সাহায্য করে, ছবি তুলতে, কথা বলতে। কিন্তু আমার যুক্তিপূর্ণ দিক এগুলো করছে। আমার পাশে বসে থাকা একজন স্প্যানিশ সাংবাদিক আলবার্তো আমাকে মনে করতে সাহায্য করলো যে গতকাল রাত্রে আমি তাকে বলেছি: ”আমি চাক্ষুস দেখা বর্ণনা করতে এত একাগ্র হয়ে আছি যে আমি বিপদের কথা চিন্তা করছি না।”

এটা প্রায় অসম্ভব এই লেখা শেষ করা- কয়েক মিনিট পর পর বিষ্ফোরণ হচ্ছে: আল বুরেইজি ক্যাম্পে একটা গাড়ি, মধ্য গাজা, গাজা সিটিতে আর একজন আহত হয়েছে জাইতুন আবাসিক এলাকায়, উত্তরে আরো একজন…এইবার বিদ্যুত আমাকে লেখা থেকে বিরত রাখছে না, শব্দ আর তথ্যের চাহিদা অবশ্যই না। এতকাছে যে বোমা বিষ্ফোরণ হচ্ছে যা গাজার উপরে ইজরায়েল করছে, ৩০০ জনের বেশী নিহত আর ৮০০ জনের বেশী আহত হওয়া সত্ত্বেও, রক্ষণশীলদের হিসাব অনুসারে (অন্যান্য হিসাবে ১০০০), এর মধ্যে অবশ্য সাম্প্রতিক আর চলতি হামলার শিকার আর নিহতদের হিসাব নেই। বাইরের বিশ্ব জানতে চায় গাজায় কি ঘটছে, আর আমিও জানতে চাই, যদিও আমি এখানে। গাজা বিছিন্ন এলাকায় পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষ তাদের বাড়িতে বন্দী হয়ে আছে রাস্তায় বেরাতে ভয় পাওয়ার কারনে। আর যেমন দেখা যাচ্ছে, বাড়িও নিরাপদ না। গাজার কোন জায়গা নিরাপদ না। যে কোন জায়গা লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে। যে কোন লক্ষ্যকে ন্যায্য দেখানো যায় পরিকল্পিত লক্ষ্য হিসাবে বা পরিকল্পিত লক্ষ্যের কাছে থাকা হিসাবে।

পরের একটা পোস্টে উনি শুধু বলেছেন [5]:

এখনের জন্য… আমি কোন বিদ্যুত, কোন ইন্টারনেট ছাড়া থাকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, আর সব থেকে খারাপ যেটা আমি প্রার্থণা করছি তা হল গাজার বাইরে আপনি আপনার অংশের কাজ করবেন এই বিভীষিকা শেষ করার জন্য।

আরো ৭ জন নিহত, ১০ জন আহত গাজায় সাম্প্রতিক হামলায়।