সিরিয়া: গাজার হত্যাযজ্ঞের ফলে ক্ষোভ

আরব বিশ্ব আজকে মৌন। প্রত্যেক ব্লগেই গতকালে ঘটনার জন্য বিস্ময় আর ঘৃণা অনুভূত হচ্ছে। ইজরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) যখন অধিকৃত গাজায় বোমা মেরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ব্লগ জগতে তখন একপ্রকার অবিশ্বাস কাজ করেছে যে কি ঘটছে আর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কি রকম হচ্ছে তা নিয়ে।

আইডিএফ ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে অপারেশন কাস্ট লিড শুরু করেছে গাজা থেকে স্থানীয় কাসসাম রকেট হামলার প্রতিবাদে। এর ফলে গাজা স্ট্রীপের যে ব্যাপক বোমা হামলা চালানো হয়েছে (প্রথম ১২ ঘন্টায়) তাতে ২৩০ জন নিহত আর ৭০০ জনের বেশী অহত হয়েছে।

এই অভিযানে মিশরের সায় ছিল জন্য এ নিয়ে হামাসের এ নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার সাহায্য করেছে ব্লগের কথা আরো কটু হতে।

কুনফুজ পূর্ব মেডিটেরিয়ানে কি হচ্ছে সে সম্পর্কে তার অনুভূতি জানিয়েছেন:

অন্য সময়ে এটা অদ্ভুত মনে হতো যে মেডিটেরিয়ানের তীরের একটি জনগোষ্ঠিকে বন্দী করে অভুক্ত রাখা হচ্ছে বাকি পৃথিবী থেকে কোন শব্দ ছাড়া। কিন্তু এটা গাজা, ফিলিস্তিন, আর এখানের শিকাররা একা কষ্ট ভোগ করে। রিপোর্টে জানা গেছে যে মোবারক তার সম্মতি দিয়েছিলেন ‘র্নিদিষ্ট আঘাত’ এর জন্য আজকের রক্তাক্ত ঘটনার আগে। তিনি গাজার সাথে মিশরের সীমান্ত বন্ধ রেখেছেন, বিভৎসদের তাদের খাঁচার মধ্যে খুব কার্যকরভাবে ভুগতে দিয়েছেন যেহেতু তারা গত জানুয়ারিতে সংক্ষিপ্তভাবে বেরিয়ে এসেছিল। টনি ব্লেয়ার- যার জেলে থাকার কথা কিন্তু তার বদলে যে রামাল্লাহ আর জেরুজালেমে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে- ইজরায়েলী সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন গাজায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের ব্যাপারে। আজকের অপরাধের ব্যাপারে সম্ভাব্য কোন সাড়া পাওয়া যাবে না লেবানন, বা জর্ডান বা মিশরে। আমেরিকা আর ইউরোপের মানুষ, কম বেশী চুপ।

অ্যারাবিয়ান ক্যামেল ব্লগের জ্যাবস বিভিন্ন যোগসূত্র একসাথে মিলিয়ে জানিয়েছেন সংক্ষেপে গত কয়েক মাসের কথা যা কালকের ঘটনার জন্য দায়ী:

আমি নিশ্চিত যে সবাই শুনেছে সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞের কথা যেখানে ২২৫ জন ফিলিস্তিনী জিওনিষ্ট আগ্রাসনের কারনে মারা গেছে। এটা একেবারেই অবিশ্বাস্য, আর এ নিয়ে ক্ষোভকে ব্যাখ্যা করা যায়না। জিওনিস্টরা কি করেছে তার জন্য ক্ষোভ না, বরং এই হত্যাযজ্ঞের প্রতি আরব আর মুসলিম বিশ্বের নীরবতার কারনে। আর সেই সব বিশ্বাসঘাতক সরকারের প্রতি, বিশেষ করে মিশর যার প্রেসিডেন্ট (ফ্যাসিবাদী একনায়ক) একটা পুরো জাতিকে বিক্রি করে দিয়েছে, তাদের কারনকে আর তাদের ভবিষ্যতকে তার অভিশপ্ত আসন তার মোটা নিতম্বের নীচে রাখার জন্য।

ব্লগ জগত থেকে ক্ষোভ একইভাবে ধাবিত হয়েছে আরব সিদ্ধান্তকারীদের প্রতি। তাদের অকার্যকারীতা আর অযোগ্যতার জন্য। জার অফ জুস ব্লগের কিনান জারজোস বলেছেন:

আমি আগে শুনেছি কখনো এমন সব নেতার লিস্ট তারা বানাচ্ছিল যারা গাজার হামলার ব্যাপারে তিরষ্কার জানিয়েছেন যেখানে ২২৫ জন নিহত (এই লেখার সময়ে) আর একটা জরুরী আরব সামিট ঢাকা হবে।

কখন তিরষ্কার যথেষ্ট ‘কাজ’ হয়েছে?

সাম্প্রতিক অভিযান আর একটা অভিযানের কয়েক সপ্তাহ আগে এসেছে, ইজরায়েলের সংসদ নির্বাচনের। ১৯৯৬ এ ক্ষোভের আঙ্গুর ছিল, ২০০১ এ দ্বিতীয় ইন্তিফিদা। এটা কি হতে পারে যে এইসব জীবন ইজরায়েলী রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা লাভের জন্য প্রচারণার আর একটা চেষ্টা। এই সব কিছু সাসার পোস্টে এসেছে:

১৪০ নিহত, ২০০ আহত আর জিপি লিভিনি পোলে এগিয়ে চলেছে।

আরো কভারেজ:

মাইসলুন গাজা থেকে ছবি পোস্ট করেছেন গাজা ম্যাসাকার শিরোনামে।

দুবাই জ্যাজ লিখেছেন নিরাপত্তা, আর আশার সম্পূর্ণ অভাবের ব্যাপারে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .