ইজরায়েল: যুদ্ধের প্রস্তুতি

ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে, ইজরায়েল আর হামাসের ছয়মাস ব্যাপী যুদ্ধ বিরতি শেষ হওয়ার ফলে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছিল তার ফলে, ইজরায়েলী নিরাপত্তা বাহিনী গাজা স্ট্রিপে আকাশ থেকে হামলা শুরু করে। ইজরায়েলী ব্লগ গুলোতে বর্তমান মিলিটারি হামলার সমর্থন করা হচ্ছে আর প্রাথমিক ব্লগ পোস্ট দেখাচ্ছে যে ইজরায়েলীরা দীর্ঘ আর কঠিন সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইজরায়েলিটি এই সংঘাতের সময় আর উত্তেজনা গড়ে ওঠা নিয়ে মন্তব্য করেছেন:

বেশীরভাগ লোক, ক্রিসমাস আর নতুন বছরের মধ্যকার সময়ে, পুয়ের্টো রিকোতে ছুটি কাটায়, সৈকতে পরিবারসহ যায়, বা অ্যাস্পেন এ স্কি করতে যায়। আমরা ইজরায়েলীরা যুদ্ধে যাই।

অপারেশন কাস্ট লিড (আইডিএফের মুখপাত্রকে মনে করিয়ে দেয়া: এইসব নাম নিয়ে চিন্তা করেন) হাসির কোন ব্যাপার না। কোন বিকল্প না থাকায় দক্ষিণের জনবসতির উপরে লাগাতার রকেট হামলার ফলে এটি জন্ম নেয়া, হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় যে মিলিটারি হামলা শত শত মৃত্যু আর আহতের কারন হয়েছে- আর এখন পর্যন্ত আরো রকেট পড়ছে আশকেলোন, ডেরোট, নেতিভোট এমনকি আশদতে যা গাজা থেকে ২৫ মাইল দূরে।

আমি ধারণা পেয়েছিলাম যে অপারেশনটা আসন্ন যখন আমার মেয়ে তার পুলিশের শিফট থেকে ফিরে এসেছিল বৃহষ্পতিবার। সে জানিয়েছিল যে তাদেরকে সংক্ষিপ্তভাবে জানানো হয়েছে দক্ষিণে যাওয়ার ব্যাপারে সেখানে সেনা হামলা শুরু হয়ার পর লোকের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য। কারন হামাস থেকে পাল্টা হামলা সম্ভাব্য ছিল।

শনিবার রাত্রে, সে তার সাধারণ জেরুজালেমের চারপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছিল। মনে হচ্ছে পশ্চিম তীর আর পূর্ব জেরুজালেমের চারপাশের ফিলিস্তিনী জনগণ অপারেশন কাস্ট লিডকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে পুলিশকে খুব ব্যস্ত রাখতে।

“এখানে সব ধরনের রায়ট হচ্ছে,” মধ্যরাতের দিকে সে ফোনে জানিয়েছে,” তাই তারা আমাদেরকে দক্ষিণে পাঠাতে পারবে না।”

ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক মামা ইজরায়েলী সেনাদের ব্যারাকে ডাকার ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন:

আইডিএফ রেডিও ঘোষণা করেছে যে রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হয়েছে, যা ইজরায়েলে পরিচিত জাভ শেমোনেহ হিসাবে। এরই মধ্যে ইশুভ সংস্থা ইমেইল শুরু করেছে অনুরোধ করা যারা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে সৈন্যদের জন্য ‘কেয়ার প্যাকেজ’ নিয়ে আসতে। শুধু ইশুভ সদস্যদেরকেই ডাকা হয়নি, অনেকের ছেলেকে নিয়মিত বাহিনীতেও ডাকা হচ্ছে।

মার সহজাত প্রবৃত্তি সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে।

আমি এখনি রেডিওতে শুনলাম যে উত্তরের পরিবাররা, যাদেরকে দুভাগ্যবশত: তাদের বাড়ী থেকে খালি করা হয়েছিল দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময়ে এখন দক্ষিণের সবার কাছে আমন্ত্রন জানাচ্ছে তাদের কাছে আসতে রকেট থেকে বাঁচার জন্য।

আর আলিয়া! সংঘর্ষ গড়ে ওঠা নিয়ে কথা বলেছেন:

এখন পর্যন্ত ঠিকমতো সব কিছু হয়েছে। তারা অপেক্ষা করেছে আর রকেটগুলো পড়তে দিয়েছে প্রতিবাদে কিছুই না করে। আমরা বসে ছিলাম যখন ৩ দিনের মধ্যে ৩০০টার বেশী রকেট আর মর্টার সাধারন মানুষের উপর পড়লো, যা যুক্ত হলো আগে শুধুমাত্র এই বছরে ৩০০০ এর বেশী যা সাধারণ মানুষের উপর পরেছে। আমরা যখন আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম ফিলিস্তিনিদের যাদের উপর হামাসের ভুল করে ফেলা রকেট নিজের লোকের উপরে পড়েছে তখনো আমাদের উপরে রকেট পড়ছিল। রকেট আমাদের উপরে পড়েছে যখন সাহায্য, জ্বালানী, চিকিৎসা সামগ্রী আর খাদ্য নিয়ে কনভয় যাচ্ছিল আমাদের সীমান্ত থেকে গাজাতে।

যেহেতু আমরা অপেক্ষা করছিলাম, দুইটা গুরত্বপূর্ণ জিনিষ জেতা গেছে। প্রথম, অনেক বড় একটা আঘাতের যথার্থতা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে একটা দুইটা সাধারন রকেট লঞ্চার দিয়ে এখানে ওখানে আঘাত করার থেকে। শেষের কৌশল শুধুমাত্র অকার্যকরী না বরং আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে সুযোগ দেয় পরিস্থিতিকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্যে। পরিষ্কারভাবে, আক্রমণ যখন সব সময়ে এক দিক থেকে হয়, তখন এটাকে একটার বদলে আর একটা হিসাবে চালানো যায়না। আব্বাস পর্যন্ত বলেছেন যে হামাস দায়ী আর নিজেদের উপর এটা এনেছে। দ্বিতীয় জিনিষ যা আমরা জিতেছি তা হলো অবাক করে দেয়ার বিষয়টা।

ইজরায়েলী ব্লগ থেকে আরো প্রতিক্রিয়া আসবে, যার মধ্যে থাকবে বিভিন্ন দৃষ্টি থেকে যারা সংঘর্ষে লিপ্ত তাদের মনোভাব। গ্লোবাল ভয়েসেস এর বিশেষ কাভারেজ পেজ দেখুন আরও আপডেট এর জন্য।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .