- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

গাজা/এসডেরট: ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইন একসাথে ভিডিওতে

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইজরায়েল, প্যালেস্টাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, চলচ্চিত্র, জাতি-বর্ণ, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, প্রযুক্তি, ভাষা, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, সরকার

গাজা/এসডেরট: সব প্রতিকুলতার মাঝেই জীবন [1] নামক প্রকল্প একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ কিভাবে অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন গড়া যায়। ফরাসী জার্মান সাংস্কৃতিক টিভি চ্যানেল আর্টে.টিভির [2] পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত এই প্রকল্পে সহিংসতা পূর্ণ সীমানতের দুইদিকে বারজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। দশ সপ্তাহের এই প্রকল্প গত ২৩শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। গত দুই মাসে প্যালেস্টাইনের গাজার ছয়টি এবং সীমান্তের ওপারে ইজরায়েলের এসডেরটের ৬টি চরিত্রের জীবনযাত্রার খন্ডাংশ প্রতিটি দুই মিনিট দৈর্ঘের ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে।

অনলাইন মিডিয়ার একটি আশ্চর্য সুবিধা আছে যে এটি আন্তর্জালিক, একে অপরের সাথে ক্রিয়া করতে পারে। আপনি ৮০টি ভিডিও বিভিন্নভাবে দেখতে পারেন। আপনি এদেরকে সময়ের ক্রম অনুসারে দেখতে পারেন, প্যালেস্টাইনের একটি ভিডিও ডানে ও ইজরায়েলের একটি ভিডিও বামে। আপনি একটি বিশেষ চরিত্রও ঠিক করে গত দুমাসে তার উপর নির্মিত সব ভিডিও দেখতে পারেন। আপনি ম্যাপ দেখে কোন নির্দিষ্ট স্থানে নির্মিত ভিডিও দেখতে পারেন, অথবা একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারেন, যে বিষয় নিয়ে যে সব ভিডিও নির্মিত হয়েছে সব দেখতে পারেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট ভাষাও ঠিক করতে পারেন: এর বিষয়বস্তু আরবী, হিব্রু, ইংরেজী, ফরাসী ও জার্মান ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। এই সাইট সব সময়ই আপনাকে সুযোগ দেয় তা দেখতে যে একই সময় সীমান্তের ওপারে কি ঘটছে। ফলে দর্শকরা আঁচ করতে পারে যে সীমান্তের উভয় পাশের জীবনযাত্রার মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে সাদৃশ্যই বেশী। উভয় দিকের মানুষেরই আশা, স্বপ্ন এবং উদ্বেগ রয়েছে।

উদাহরণ স্বরুপ, হেবা সাফী গাজার তরুণ সাংবাদিক সংঘের একজন সদস্যা এবং তিনি বেশ কটি ভিডিওতে তার ওবং তার পারিপার্শিক জীবন সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। চিকিৎসা সুবিধা, প্যালেস্টাইনের যুবাদের কথা, মেয়ে হিসেবে তার জীবন, বন্ধুত্ব, কেনাকাটা, খেলাধুলা এবং তার পেশা ইত্যাদি বিষয় আলোচনা ছাড়াও তিনি তার আশা জানিয়েছেন যে সবকিছু ভালোর দিকে এগুবে। নীচের ভিডিওতে [3] তিনি মেয়ে হিসেবে সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারে বলছেন:

ড্যানিয়েল মোরদেচাই দর্শকদের জানাচ্ছে ১৬ বছর বয়সী একজন মেয়ের দৃষ্টিতে এসডেরটে জীবন কেমন তা। তিনি অভিনয় করেন এবং একইসাথে স্কুলে পড়াশোনা করেন। নীচের ভিডিওতে [4] তিনি “রেড এলার্ট” খেলেন তার দেখাশোনা করা সেইসব শিশুদের সাথে, পৃথিবীর একমাত্র সুসংরক্ষিত খেলার যায়গায়:

নীচের ভিডিওতে [5] গাজার বিভিন্ন চরিত্রের পরিণতি দেখানো হয়েছে:

এসডেরটের বিভিন্ন চরিত্রের পরিণতি দেখানো হয়েছে এই ভিডিওতে [5]:

এছাড়াও আরও অনেক গল্প আছে যেগুলো আপনারা দেখতে পাবেন [6] ছাত্র-ছাত্রী, গৃহবধু, মৎসজীবি, এমব্যুলেন্স ড্রাইভার, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক, কৃষক, ডাক্তার, মুদি দোকানের মালিক এবং নাপিত ইত্যাদি বিভিন্ন চরিত্রের বর্ণনায়। সব মিলিয়ে এইসব চরিত্র শান্তির গভীর আশা প্রকাশ করে।