ভুতপূর্ব তিউনিশিয়ার কূটনীতিককে ফরাসী আদালত ৮ বছরের শাস্তি দিয়েছে

তিউনিসিয়ার ভূতপূর্ব ভাইস কন্সাল খালেদ বিন সাঈদ স্ট্রাসবুর্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্বদেশী মহিলা জুলেখা ঘারবীর উপর অত্যাচার আর পাশবিকতার আদেশ দেয়ার জন্য। ১২ বছর আগে তিউনিশিয়ার জেন্দৌবা শহরে যখন তিনি পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট ছিলেন তখন এই ঘটনা ঘটেছিল। ইউরোপীয়ান মানবাধিকার আদালত যে শহরে অবস্থিত সেই শহর স্ট্রাসবুর্গে একটি ফৌজদারী আদালত দ্বারা তিনি ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

এই তিউনিশিয়ার কূটনীতিককে তার অবর্তমানে বিচার করা হয়েছে যেহেতু তিনি ২০০১ সালে ফ্রান্স থেকে পালিয়েছিল জানতে পেরে যে ঘারবী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তার স্বামী ফ্রান্সে রাজনৈতিক শরণার্থী হিসাবে আছে তিউনিশিয়ার নিষিদ্ধ ইসলামী দল এন্নাহদার সদস্য হিসাবে। ইউনিভার্সাল কমপিটেন্স এর ভিত্তিতে বিচার চলেছে। এটি এমন একটা পদ্ধতি যার ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় অভিযুক্ত গুরুতর অপরাধীদের বিরুদ্ধে, যে দেশেই তা ঘটানো হয়ে থাকনা কেন আর অপরাধীর বা শিকারের নাগরিকত্ব যে দেশেরই হোক না কেন। এই পদ্ধতি এসেছে ১৯৮৪ সালের নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কনভেনশন থেকে যা ফরাসী আইনে আনা হয়েছে ১৯৯৪ থেকে।

ফ্রান্সে দ্বিতীয়বার এমন কারনে সাজা দেয়া হলো। ২০০৫ সালে মৌরিতানিয়ার একজন সার্ভিসম্যানকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল তার নিজের দেশে অত্যাচার চালানোর জন্য। তিউনিশিয়ায় সেন্সর করা একটা ব্লগ তিউনিশিয়াওয়াচ মূলধারার মিডিয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেছে:

[…] En l'absence de l'accusé, le procès auquel la Ligue française des droits de l'homme et la Fédération internationale des droits de l'homme (FIDH) s'étaient constituée parties civiles a aussi été celui du système mis en place par le président Zine El Abidine Ben Ali, au pouvoir depuis vingt et un ans. Plusieurs témoins ont dressé un portrait au vitriol du régime tunisien où, selon eux, la torture est érigée en “pratique d'Etat”.

[…] বিবাদীর অবর্তমানে বিচারে যেখানে [মানবাধিকার সংস্থা] লিগ ফ্রঁন্সে দে দ্রোয়া দেলোম (এল ডি এইচ) আর ফেডারেশিওঁ ইন্টারনাশিওনাল দেস লিগ দে দ্রোয়া দে হোমস (এফ আই ডি এইচ) স্বাধীন একটা ক্ষতিপুরণের মোশন এনেছিল যে এটা প্রেসিডেন্ট জাইনেল আবেদিন বেন আলির প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থারও বিচার ছিল, যে ২১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। বেশ কয়েকজন সাক্ষী তিউনিশিয়ার সরকারের বিদ্রুপাত্মক চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে, তাদের বক্তব্য অনুসারে এই ধরনের অত্যাচার সরকারী অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এইসব স্বীকারোক্তি থেকে শেষে আদালতের রায় এসেছে, যদিও ফ্রেঞ্চ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি তাকে খালাসের জন্য আবেদন করেছেন, এই বলে যে কোন ধরনের প্রমাণ নেই। “এটা নির্যাতনের বিরুদ্ধে দন্ডমুক্ততার যুদ্ধের জন্য আর এক ধাপ অগ্রসর হওয়া আর তিউনিশিয়ার কর্তৃপক্ষের দিকে একটা জোরালো বার্তা; অত্যাচারীরা যদি তিউনিশিয়ায় নিরাপদ থাকে, তাহলে অন্য দেশে আর নেই,” মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার সংস্থার আইনজীবি।

অন্য একটা পোস্টে তিউনিশিয়া ওয়াচ যোগ করেছে:

Khaled ben Saïd qui fait l'objet d'un mandat d'arrêt international depuis 2002 n'a pas la possibilité de faire appel puisque l'audience s'est déroulée sans lui. Toutefois s'il est arrêté, il sera rejugé.

খালেদ বিন সায়েদ, যিনি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারী পরোয়ানার শিকার ২০০২ থেকে, আপীল করার কোন অবস্থায় নেই, যেহেতু তার অনুপস্থিতিতে বিচারকার্জ হয়েছে। তবে যদি উনি গ্রেপ্তার হন, তাহলে আবার বিচার হবে।

আগে তিউনিশিয়ার কর্তৃপক্ষ এই বিচারকে অস্বীকার করেছে ‘সম্পুর্ণ বানোয়াট’ আর আরো বলেছেন যে ‘অত্যাচারের দাবী করা তিউনিশিয়ায় সহ্য না করা একটা আচরণ যা অসত্য আর ভুল তথ্য দেয়ার সামিল।”

নাওয়াত.অর্গ ‌এই শাস্তির সমালোচনা করেছে আর চিন্তা করেছে যে তিউনিশিয়ায় অত্যাচারের ব্যাপারে যে ট্যাবু আছে তা কি উঠে যাওয়ার পথে কিনা। এই ব্লগ সিএনআরএস এর গবেষক ভিনসেন্ট গাইসলারের উদ্ধৃতি দিয়েছে যিনি শুনানীর সময়ে বলেছেন:

“En Tunisie, sous Ben Ali, on torture au nom des droits de l’homme et on viole les femmes en invoquant le droit des femmes”, a également expliqué devant la cour Vincent Geissier. Cette pratique “est destinée à humilier et à diffuser la peur”. Avant d’ajouter : le recours à la torture, “c’est un mode de contrôle de la société”.

“তিউনিশিইয়াতে, বেন আলির অধীনে, তারা মানবাধিকারের কারনে অত্যাচার করে আর নারীকে ধর্ষণ করে নারীর অধিকার তুলে ধরতে ধরতে,” আরো বুঝিয়েছেন ভিনসেন্ট গাইসলার আদালতকে “এরকম ব্যবহার করা হয় লজ্জ্বিত করতে আর ভীতি ছড়াতে।” আরো যোগ করেছেন: “সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করার এটা একটা উপায়।”

পাঠকরা তাদের বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন লিবারাশিওন সংবাদপত্রের স্থানীয় ওয়াবসাইটে আর এলইজেডিডি.এফআর সাইটে মন্তব্য করে:

একটা (আশাবাদী) কথা:

Rédigé par: GDP : Comme quoi, n'en déplaise à Sarkozy, la justice progresse davantage en France que les droits de l'homme en Tunisie.

জিডিপি: যেটার ফলে এটাই দেখা যায়, সারকোজী এটা পছন্দ করুক বা না করুক, ফ্রান্সে বিচার বেশী অগ্রসর হতে পারে তিউনিশিয়ার মানবাধিকারের চেয়ে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .