মিশরে আল ঘাদ পার্টি দপ্তরে অগ্নিকান্ড

মিশরের সাধারন নির্বাচনের একদিন আগে আইমান নুরীর আল ঘাদ পার্টির সদর দপ্তর আগুণে পুড়ে যায়। ব্লগের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে অপরাধীরা বিল্ডিং-এ আগুন দিয়েছিল এবং দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে বাধা দিয়েছিল।

আল ঘাদ পার্টি শুধু তার সদর দপ্তরই হারায়নি, সে দলের ২০ জন সদস্যকেও হারিয়ে ফেলে- দুস্কৃতিকারীদের বদলে আইন শৃংখলা বাহিনী এদের ধরে।

আহমেদ আল সাব্বাঘলিখছেন (আরবীতে):

আমারা ঈর্ষা করি সেই সব আমেরিকানদের যারা প্রতি চার বছর পর পর তাদের প্রেসিডেন্ট বদলাতে পারে। এবারের নির্বাচনে ওবামা জয়লাভ করেছে। আমাদের মাঝে এক আনন্দ তৈরী হয়েছে, কারণ আমরা মিশরে একের পর এক কৌতুক দৃশ্যায়নে বিস্মিত। আল ওয়াফদ দলের অফিসে আগুন জ্বালানো ছিল এমন কৌতুক – এখন সেই আগুণ ছড়িয়ে পড়েছে আল ঘাদ পার্টির অফিসে। প্রথম ঘটনাটির দৃশ্যায়ন ছিল নুমান গোমার সমর্থক বনাম মোহাম্মদ আবাজার মধ্যে লড়াইয়ের মাধ্যমে। এর নতুন সংস্করণ হলো আইমান নুর বনাম মোস্তফা মুসার সমর্থকদের শক্তি প্রদর্শন। প্রথম কাহিনীর ইতি ঘটে বিচার বিভাগের সহায়তায়। বিচার বিভাগ নুমান গোমার পক্ষে এক আইন জারী করে। দ্বিতীয় নাটকের ইতি হয় সম্ভবত মোস্তফা মুসার অনুসারীদের দ্বারা পার্টির ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। প্রথম ঘটনার পর্দা পড়ে যায় যখন পার্টি অফিস পুরো পুড়ে যায়। বিরোধী দল হিসেবে তার ভূমিকা সেই সাথে শেষ হয়ে যায়। পরের ঘটনার মধ্যে দিয়ে আগুনের শিখায় বিরোধী দল হিসেবে আল ঘাদ পার্টির কার্যক্রমও শেষ হয়ে যেতে দেখা গেল।

যে সমস্ত ভবঘুরে দুস্কৃতিকারীরা এই কাজ করেছিল তাদের ধরার বদলে আল ঘাদ দলের সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ছিল জামিলা ইসমাইল, ওয়াল নাওয়ারা, এল সাইয়্যেদ বাসইয়ুনি, সামেহ আতিয়া, নাগালা ফাইয়াজ এবং আরও প্রায় ২০ জন সদস্য।
সবাইকে এক গণতান্ত্রিক শুভেচ্ছা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .