মিশরে সাম্প্রতিক বেশ কটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে গেছে। নভেম্বরের ৬ তারিখেও এক ভিন্ন ধর্মী অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে – সেই গল্পই শোনা যাক। এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত কায়ারোর আল ঘাদ পার্টির সদর দপ্তরে। ব্লগার জেইনোবিয়া ঘটনাটি বর্ননা করছেন:
ব্লগার নুরা ইউনুস এর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, আল তাহিরে অবস্থিত আল ঘাদ পার্টির সদর দপ্তর এক উচ্চ পর্যায়ের মিটিং শেষে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে!!!???
আল ঘাদ লিবারেল পার্টি ড: আইমান নুরের দল। এটি বিরোধী পক্ষে রয়েছে। আইমান নুর সম্প্রতি এমন এক অভিযোগে জেলে রয়েছেন যা কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।
পার্টির মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, কে দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।আপডেট ১: এবিএন মাসর সিটিজেন জার্নালিজম ওয়েবসাইট অনুসারে (আরবি ভাষায়) আইমান নুর ও মুসার অনুসারিদের মধ্যে লড়াই থেকে আগুণের সুত্রপাত। নুর এর প্রতিপক্ষ মুসা পার্টির প্রধান হতে চেয়েছিল। মুসার সাথে সরকারের ভাল সম্পর্ক রয়েছে।
ইজিপশিয়ান সিটিজেন লিখছে:
মিশরের নিরাপত্তা কর্মী এবং কিছু দুস্কৃতিকারী আল ঘাদ পার্টি মুল অফিস আক্রমণ করে, সেখানে আগুন দেয়, এবং সেখানকার জিনিষপত্র ধবংস করে।
যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা জানাচ্ছেন যে সমস্ত দৃস্কৃতিকারী সেখানে আগুণ দেয় তারা মুস্তাফা মুসার অনুসারী। তারা আল ঘাদ পার্টির প্রধান নেতা ড: আইমান আল নুর-এর চিন্তার সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করে।
কারণ মুসা মুস্তাফা মুসার সাথে মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মীদের এক সন্দেহজনক সর্ম্পক রয়েছে। এর কারনে নিরাপত্তা রক্ষীরা আল ঘাদ পার্টির সদর দপ্তর (আইমান নুর) দখল করতে তাকে সাহায্য করে ।
এর ফলাফল, এই সকল ধবংসের সুত্রপাত।
ব্লগার নিদাল চাক্ষুস সাক্ষীর দেখা ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন:
و من الغريب أن ميدان طلعت حرب فى ألايام الغير متوترة يعج بقوات ألامن بينما اليوم خاصة بدا و كأن قوات ألامن فى أجازة ولم يكن لهم أى نشاط فى منع البلطجية من أقتحام الحزب و كان _بحسب شهادة شهود الواقعة _ يقوم البلطجية بقطع خراطيم المياه الخاصة بقوات الاطفاء ويعتدون عليهم عند رفضهم وكل ذلك تحت نظر ألامن .
দি স্কেপটিক তার বন্ধু স্বচক্ষে যা দেখেছে সে সমন্ধে জানাচ্ছেন। এই বর্ণনার শুরু আগুণ ধরানো থেকে:
আমরা এক বন্ধু সে সময় সেখানে ছিল। সে আমাকে বলে এই দ্বন্দ্বের শুরু তখন যখন আইমান নুরের স্ত্রী জামিলা ইসমাইল পার্টির অফিস থেকে বের হতে অস্বীকার করে। তার বদলে শ্লোগান দেয় মুবারক নিপাত যাক! সরকারের সমর্থন পুষ্ট পার্টির বিরোধী কর্মীরা জবাব দেয়, নেমে আয় বেশ্যা, ওখান থেকে নেমে আয়।