কঙ্গো ডে. রিপাবলিক: ভিডিওতে আবেদন – দয়া করে কিছু করুন

কঙ্গো ডে. রিপাবলিকের অভ্যন্তরীণ সংকট আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এবং প্রচুর জনগণ উদ্বাস্তু হয়েছে। তাদের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে ১০ বছর ধরে জিইয়ে রাখা সংঘাত ও উত্তেজনা, শুরু হওয়া আর থেমে যাওয়া যুদ্ধ আর সংঘর্ষ। এই যুদ্ধকালীন সময়ে মারা গেছে ৫০ লাখের বেশী লোক, হাজার হাজার মহিলা ধর্ষিত হয়েছে, আর অনেক সন্তানকে শিশু সৈনিক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নীচের ভিডিওর মাধ্যমে আমরা কঙ্গো ডে. রিপাবলিকের নাগরিকদের কাছ থেকে বিশ্বের জনগণের প্রতি কিছু করার আকুতি তুলে ধরেছি যারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে তাদের মানবিক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।

গ্লোবাল ভয়েসেস এ এই বিষয়ে আগের পোস্টগুলোতে (যেমন ‘ডি আর কঙ্গো: যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ব্লগ করা’ আর ‘ডি আর কঙ্গো: সংঘর্ষ চলছে’) সংঘাত আবার শুরু হওয়ার উপর আলোকপাত করা হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি ওখানকার নাটকীয় মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতিসংঘ বাহিনী, সরকার আর বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ আর যুদ্ধ, আর অভ্যন্তরীণভাবে স্থানচ্যুত উদ্বাস্তুদের সংঘর্ষের স্থান থেকে পালিয়ে নিজেদের গ্রাম আর শহর ছেড়ে দুরে চলে যাওয়া সম্পর্কে।

একজন স্থানীয় কঙ্গোবাসী বুকেনি ওয়ারুজি, যিনি উইটনেস.অর্গ এর আফ্রিকা আর মধ্য প্রাচ্য অঞ্চলের প্রকল্পের সমন্বায়ক, সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রিক কঙ্গোর এই সন্কট নিয়ে হাফিংটন পোস্টে একটা প্রতিবেদন লিখেছেন। তিনি আর একটা ভিডিও কমেন্টারি পোস্ট করেছেন এই সংকটের ঐতিহাসিক পটভূমি আর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে। এতে এই সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পৃথিবীর সমস্ত নাগরিকদের আহ্বান করা হয়েছে যাতে তারা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। তারা যেন বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে যাতে তারা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে এবং যেসব জনগণ এই সংঘর্ষের ফলে উদ্বাস্তু হিসেবে কষ্টে ভুগছে তাদের পুনর্বাসনের জন্যে যেন পদক্ষেপ নেয়।

মেডসাঁ সান্স ফ্রন্টিয়ের (সীমান্তবিহীন চিকিৎসকের দল) কর্তৃক কঙ্গো ডে. রিপাবলিক এর বর্তমান অবস্থা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি প্রচারণা শুরু করার কথা নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে। কন্ডিশন: ক্রিটিকাল প্রকল্প পূর্ব কঙ্গো ডে. রিপাবলিক থেকে যুদ্ধের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবে উদ্বোধনী দিন যা দিয়ে তৈরি একটা ডকুমেন্টারি দিয়ে আরম্ভ হবে। ট্রেলারটি খুবই হৃদয়স্পর্শী যা শুরু হয় একটা বাচ্চা যে যুদ্ধের সময় জন্মে বড় হয়েছে তার কথা দিয়ে, যে তার ভবিষ্যৎ দেখছে অন্ধকারাছন্ন যা শুধু মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়।

এই স্বাক্ষাতকারে যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ আছে। রেঞ্জার বেঞ্জামিন ভিরুঙ্গা জাতীয় পার্ক ব্লগে জানিয়েছেন যে কালেঙ্গেরা পেট্রোল পোস্ট থেকে তিনি দেখেছেন বিদ্রোহীরা তার বাবা আর তার গ্রামের ২০ জন লোককে এক এক করে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি জঙ্গলে দৌড়ে গিয়ে শরণার্থী ক্যাম্প পর্যন্ত হেঁটে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এবং কর্তৃপক্ষ আর সঙ্গীদের এই ঘটনা জানাতে সক্ষম হন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হৃদয়স্পর্শী একটা আবেদন করেছেন তিনি যাতে তারা পদক্ষেপ নেয় কঙ্গো ডে. রিপাবলিক এর সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে। এতে যে পরিস্থিতিতে কঙ্গোবাসীরা বাস করছে তার হয়ত কোন প্রতিকার হবে বলে তিনি আশা করছেন।

আমরা কি করতে পারি? বুকেনি ওয়ারুজির কাছে তিনটা পরামর্শ আছে আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারি সে সম্পর্কে:

  • প্রেসিডেন্ট কাবিলার কাছে অনুরোধ করে লেখা যাতে তিনি দলগত ধর্ষণ, বাচ্চাদের নিয়োগ বন্ধ করার উদ্যোগ নেন আর এই সংঘাত শেষ করেন: http://hub.witness.org/DRCinCrisis
  • আপনি যদি ব্লগার হন তাহলে সংঘাতের উপর এই ভিডিও স্বাক্ষাতকার আপনার ব্লগে তুলে ধরেন। http://hub.witness.org/DRCinCrisis
  • আপনার স্থানীয় মিডিয়াকে তাগাদা দেন এই ব্যাপারটা প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য, সম্পাদকের কাছে এ নিয়ে আপনার নিজের মতামত সহ লেখেন।

উইটনেস দ্যা হাব এর সাইটে আরো অনেক ভিডিও আছে এই মানবাধিকার বিপর্যয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে: সংঘাত, শরণার্থীদের ব্যাপার আর নারী ও মেয়েদের ধর্ষণের মহামারী বিষয়ে। দ্যা উশাহিদি প্রোজেক্ট এরই মধ্যে এমন একটা ম্যাপ উপস্থাপন করেছে যাতে সংঘাতের আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এসএমএস আর ওয়েব রিপোর্টিং এর মাধ্যমে এবং ভৌগোলিকভাবে চিহ্নিত করে রিপোর্ট করা যায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .