- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশর: মাকেও দোষ দেয়া হয়েছে এফজিএমের মামলায়

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মিশর, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, যুবা, লিঙ্গ ও নারী, শিল্প ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য

এ বছরের ২৩শে মে ‘মিশরের নারী ও শিশুদের শিকারে পরিণত হওয়া [1]‘ শিরোনামের লেখায় আমি ফ্যান্টাসিয়া [2] ছদ্মনামের একজন মিশরীয় নারীর উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম যে মিশরের জন্য আরো ভাল একটা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। সে মিশরে বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য আলোচিত নতুন আইনগুলো নিয়ে তার ব্লগে আলোচনা করেছিল। তার প্রথমটা ছিল:

নারীদের যৌন অঙ্গহানী (এফজিএম [3]) নিষিদ্ধ করা আর এটাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যা আইনের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য।

মুসলিম ব্রাদারহুদ [4] এর প্রতিবাদ করে বলেছে:

এফজিএম ইচ্ছার ব্যাপার হিসাবে ছেড়ে দেয়া উচিত। বাবা মা যদি তাদের মেয়েদের ‘শুদ্ধতা’ সংরক্ষন করতে চায় এই নিয়মের মধ্য দিয়ে, তাহলে এইভাবে তারা তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে আর তার জন্য কি ঠিক তার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে!

২০০৮ সালের গ্রীষ্মে জাতীয় সংসদ একটা আইন পাশ করে যেখানে নারীদের যৌন অঙ্গহানী (এফজিএম) অপরাধের পর্যায়ে ফেলা হয়েছে আর যদি কাউকে এফজিএম করতে দেখা যায় এর শাস্তি হিসেবে জরিমানা ঠিক করা হয়েছে ১০০০ থেকে ৫০০০ মিশরীয় পাউন্ড পর্যন্ত সাথে তিন মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত জেল। এই আইনের মধ্যে বাবা মার দায়িত্বের কথা ব্যাখ্যা করা হয়নি।

নভেম্বরের ৭ তারিখে আল মাসরি আল ইয়ুম সংবাদপত্র একটি প্রতিবেদন [5] ছাপায় একটা ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এফজিএম করার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে যা পরে অসুবিধার সৃষ্টি করে। উপরে উল্লেখিত আইনের কারনে, হাসপাতাল এই কেস জেনারেল এটর্নির কাছে জানিয়েছে।

স্টপ এফজিএম নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপ এই ঘটনা তাদের আলোচনার বোর্ডে [6] দিয়েছে আর বলছে:

আমরা কাকে দোষ দেব? সমাজ, ধর্ম সম্পর্কে যাদের ভুল ধারণা আছে তাদের? আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারকে? ডাক্তারদেরকে, তাদের নৈতিক দায়িত্বে অবহেলা করায়? নাকি আলোকিত সংখ্যালঘু হিসেবে নিজেদেরকেই দোষের ভার দিতে হবে – মানুষকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্যে?

নভেম্বরের ১০ তারিখে জেলা এটর্নীর সিদ্ধান্তের পরে [7] যেখানে মা আর ডাক্তার উভয়কে শাস্তি দেয়া হয় মিশরে প্রথমবারের মতো, এই ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোক্তা দলের সদস্যদের কাছে একটা বাণী পাঠিয়েছে:

এই সিদ্ধান্ত আশার কথা শোনাচ্ছে। ফায়জা আহমেদ হুসেইন যখন – যে মা এই এফজিএম অনুমোদন করেছে- আর রামাদান আব্দেল আজিজ – যে ডাক্তার এই কাজ করেছে – তাদের বিচারের পর দোষী সাব্যস্ত করেছে ১৪ বছরের রেদা আশ্রী মোহাম্মাদের অনিচ্ছাধীন হত্যার প্রচেষ্টার কারনে। এর ফলে অনেক মা বুঝতে পারবে যে তাদেরকে আইনগতভাবে দোষারোপ করা হবে যদি তারা তাদের মেয়েদের এফজিএম করায়।