বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ভেদাভেদ নতুন কিছু না, কিন্তু জেরুজালেমের হলি সেপাল্কর চার্চে আর্মেনিয়ান আর গ্রীক ভিক্ষুদের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা এই ধরনের শত্রুতার প্রতি অনেক ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বেন উইদারিংটন বলেছেন যে এই ধরণের আচরণ লজ্জাজনক:
খুব কম জায়গা আছে যেখানে বৈচিত্র আর বিভক্ত চরিত্র দেখা যায় খ্রীষ্টদের জেরুজালেমের হলি সেপাল্কর চার্চ ছাড়াও। আমরা এতোই বিভক্ত যে জিশু যে স্থানে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে তার উপরে দাঁড়ানো ওই চার্চে এরকম কিছু ঘটানোর জন্যে প্রস্তুত। সামনের দরজার চাবি কয়েক শতক ধরে মুসলিম এক পরিবারের কাছে আছে, কারন খ্রীষ্টান যারা এখানে ছিল তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কার কাছে চাবি থাকবে! [..]
লক্ষ্য করবেন যে খ্রীষ্টানরা সমস্যার সমাধান নিজেরা করতে পারেনি তাই ইজরায়েলী রায়ট পুলিশকে এসে থামাতে হয়েছে- কি লজ্জাকর। আমি যদি বলতে পারতাম যে আসল খ্রীষ্টানরা এমন ব্যবহার করেনা, কিন্তু যেহেতু আমি নিজের চোখে আমার নীজের চার্চে এটা দেখেছি, তাই দু:খজনক যে আমি এটা বলতে পারছি না। এটা মানুষের খারাপ আচরণ হিসাবে বাতিল করা খুব সহজ। [..]
পিতা, আমাদেরকে ক্ষমা করেন, কারন আমরা জানিনা আমরা কি করছি, আর কি ভয়ংকর আমরা আমাদের সাক্ষী দেখতে থাকা পৃথিবীর কাছে।
ওপিনিয়ন অফ আ মিনিয়ন ও বিষ্মিত:
ঘটনার ভিডিও চিত্র প্রায় বিশ্বাসের অতীত। মনে হয় বিরোধী ফুটবল দলের সমর্থকরা মারামারি করছে কিন্তু আসলে ভিক্ষুরা ঝগড়া করছে চার্চে কে থাকবে তা নিয়ে। যদি আর্মেনিয়ানরা এটা এই উৎসবের জন্য ব্যবহার করে, গ্রীকদেরকে তার থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু গ্রীকরা একজন রক্ষক সেখানে রাখতে চেয়েছিল, বিশেষ করে যে স্থানে জিশুর কবর আছে বলা হয়। আর্মেনিয়ানদের এটা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল আর তাই সংঘর্ষ।
এটা ডিভোর্সের থেকেও খারাপ।
কন্টেম্পোরারী অর্থোডক্সী বিশেষভাবে চিন্তিত:
আমাদের ধর্মীয় গোত্র দারা যে ধরনের আচরণ দেখানো হয়েছে সম্ভবত আত্ম নিয়ন্ত্রণের সব থেকে খারাপ উদাহরণ। এটা পরিপক্কতার অভাবও দেখায়। আমাদের খ্রীষ্ট বদান্নতা দাবী করে যে আমরা অন্যান্য গোষ্ঠীর প্রতি খুব কম হলেও সহনশীল হই। পরিস্থিতি আরো সঠিকভাবে আয়ত্তে আনা যেত যদি তাদের শেষ করা অবধি অপেক্ষা করে তারপর উচ্চতর কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করা যে ভবিষতের জন্য কোন পথ অবলম্বন করা হবে।
ঝগড়া নিয়ে শাল্ডিয়ান থটস বেদনাহত:
খ্রীষ্টানদের একটা খুবই পবিত্র স্থানে এমন ঘটা দু:খজনক। আরো খারাপ এটা জানা যে ভিক্ষুরা এই ঝগড়া শুরু করেছে:
থেরিওন ঝগড়ার ছবি দিয়েছেন আর এই সুযোগে খ্রীষ্ট ধর্মকে আক্রমণ করেছেন।
জিশুকে দোষ দেয়া হয় তার অনুসারীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য ‘অন্য গাল বাড়িয়ে’ দেয়ার যখন তাদেরকে উস্কিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এই পৃথিবীর চার্চের প্রতিনিধিদের ব্যাপার যখন আসে- ভুলে যান সে কথা!
এই ঝগড়া কোনভাবেই একক ঘটনা না। প্রাচীন এই চার্চের নিয়ন্ত্রণ ভাগ করে নেয় ছয়টি খ্রীষ্টিয় গোষ্ঠী। তারা প্রায়শ:ই গালাগালি আর মারামারিতে লিপ্ত হয় যা মাঝে মাঝে এমন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে ইজরায়েলী পুলিশকে হস্তক্ষেপের জন্য আসতে হয়।
কি আর বেশী পরিহাসের হতে পারে এর থেকে যে ‘শান্তির রাজপুত্রের’ কথিত কবরের স্থানে খ্রীষ্টানরা একে অপরকে মারে। খ্রীষ্টিানদের কপটতার আর একটা মাত্র উদাহরণ, যা তারা যা কিছু দাবী করে তাকে মিথ্যা প্রমানিত করে।
ফ্রিগিন লুন একেবারেই বিষ্মিত না:
একটা ঝগড়া ছাড়া আর কিছুই ধর্মকে ভালভাবে প্রকাশ করতে পারে না!
আনজিপড একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।