নিউজিল্যান্ডে নভেম্বর ৮, ২০০৮ তারিখে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, বিরোধী জোট ৪৫.৫% ভোট পেয়েছে আর সংসদের ১২২টি আসনের মধ্যে ৬৫টিতে জিতেছে। যার মানে রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টির জন কী নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন। সরকারে থাকা লেবার দল অন্য দিকে ৪৩টির মধ্যে ৭টি আসন হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন, হার মেনে লেবার দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
পারসোনাল রিফ্লেকশন ব্লগের জিম বেলশ নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন ব্যবস্থার আর এই বছরের ফলাফলের একটা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা আর আলোচনা দিয়েছেন। তার কাছে:
এটি একটি নির্বাচন যা পুরোনো আর নতুনের সম্মিলন ঘটিয়েছে আকর্ষণীয়ভাবে।
স্পাটুয়াল ফোরামের নিক এই নির্বাচনের একটা মজার জিনিষ লক্ষ্য করেছে আর নিউজিল্যান্ড আর আমেরিকার মধ্যেকার পরিস্থিতির তুলনা করেছে:
অদ্ভুতভাবে ক্লার্ক আর কি দুইজনই চেয়েছিলেন ওবামার কাছ থেকে কিছু ধার করতে; ক্লার্ক এটা লক্ষ্য করেন যে আমেরিকা বামপন্থী হতে চাচ্ছে, তাই লেবারকে ভোট করবে। ওদিকে কী বলেছেন যে আমেরিকা পরিবর্তন চাচ্ছে, তাই নিউজিল্যান্ডবাসী জাতীয়তাবাদীদের ভোট করবে। আমেরিকার নির্বাচনের সাথে মজাদার মিল আর অমিল আছে, যদিও একজন ঝানু রাজনীতিবিদ তুলনামূলকভাবে নতুন একজনের কাছে পরাজিত হয়েছেন, আর বিরোধী দলের বড় লাভ হয়েছে। এখানে পার্থক্য হলো, মধ্যপন্থী বাম্পন্থীরা ক্ষমতায় না এসে আমাদের সরকার এখন অনেকটা ডানের দিকে ঝুকছে। (মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা ডানপন্থী বুশের অন্ধকার দিনগুলোতে আমেরিকা ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে এসেছি আর এখন দেখছি ওবামা আমেরিকায় আর ডানপন্থীরা নিউজিল্যান্ডে জিতেছে!)
নিউজিল্যান্ডে কিছু লোক বিশ্বাস করে, পরিবর্তনের সময় হয়েছে। তবে স্প্রুইকড: জ্যাক স্টাইল মনে করে বেশী পরিবর্তন হয়নি:
বাইরের কোন লোকের কাছে, কীর নীতি খুব একটা আলাদা মনে হবে না বিগত সরকারের সাথে। তার কারন তারা আলাদা না। চলতি প্রশাসন নিয়ে দোষের খুব কম কিছু পাওয়ায়, কী তার প্রচারণা চালিয়েছে মানবিক চান্ঞ্চল্য সৃষ্টিকারী গৃহস্থালী বিষয় নিয়ে, যেমন শিক্ষার মান উন্নত করা আর অপরাধ দমন করা। [..]
শনিবারের নির্বাচন পরিবর্তনের প্রকাশ না, যেন শুধু একটা রক্ষকের পরিবর্তন। দিনের শেষে অন্য কাউকে দেশ পরিচালনার ভার নিতে হত। এর জন্যেই নিউজিল্যান্ডবাসী ভোট দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যার ভাল একটা অংশ অভিবাসী, অনেক দলের প্রার্থী বিভিন্ন জাতিগতগোষ্ঠীর। তাই সংখ্যালঘুদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য কিছু অভিবাসী বন্ধুসুলভ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেমন সারালিউ৮৮ লিখেছে (চৈনিক ভাষায়):
ভোটারদেরকে তাদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের, ভোটের নিয়ম সম্পর্কে তথ্য ২০টি ভাষায় আছে, যেখানে সনাতনী আর সিম্পলিফায়েড চৈনিক ভাষা দুটোই আছে!