সৌদি আরব: আপীল করলে আপনার সাজা দ্বিগুণ হবে!!

মিশরীয় ডাক্তার রউফ আমিনকে সাত বছর জেল আর ১,৫০০ বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছে সৌদি আরব। কিসের জন্য? সৌদি হাসপাতালে কর্তব্য পালনের সময়ে একজন সৌদি রাজকুমারিকে চিকিৎসা করতে গিয়ে নেশায় আসক্ত করার ঔষধ দেয়ার অভিযোগে। ড: রউফ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে রাজকুমারীর ব্যাথানাশক ঔষধে আসক্ত হওয়ার জন্য তিনি দায়ী ছিলেন।

ড: আমিনের স্ত্রী এই ঘটনা জানাচ্ছেন ডক্টরস উইদাউট রাইটস ব্লগে:

منذ ٥ سنوات استدعاه أمير سعودي لعلاج زوجته في قصره، وتبين له أنها أصيبت بكسر في الظهر، ونقلت إلي أمريكا للعلاج، حيث حقنت اك بالمورفين المخدر لتسكين آلامها، غير أنها أدمنته بعد عودتها إلي المملكة، فقرر (رؤوف) بالاتفاق مع الأمير، علاجها من الإدمان حتي تعافت منه تماماً في مارس الماضي”

“পাঁচ বছর আগে তাকে (ড: আমিন) একজন সৌদি প্রিন্স এর রাজপ্রাসাদে তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাকা হয়। সে তার স্পাইনাল কর্ড ভেঙ্গে ফেলেছিল আর যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল যেখানে তাকে মরফিন ‘ব্যাথানাশক’ দেয়া হয়েছিল ব্যাথা কমানোর জন্যে…কিন্তু সে এতে অভ্যস্ত হয়ে যায় আর আসক্ত হয়ে পড়ে সৌদি আরবে আসার পরে। রউফ তখন তার স্বামীর সাথে রাজী হয় তাকে চিকিৎসা করে মার্চ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে আসক্তি মুক্ত করতে।”

تابعت: «علي إثر ذلك قرر (رؤوف) تخفيض جرعة المورفين، الذي كان يحضره من بعض المستشفيات بأوامر من الأمير.. وبعد شفائها قرر زوجي العودة إلي مصر، وفوجئ بأنه ممنوع من مغادرة المملكة، وتبين له أن طبيباً سعودياً ضبطته السلطات وبحوزته أمبولات وأقراص مخدرة، وذكر في التحقيقات أنه يعطي هذه الأمبولات لـ(رؤوف

সে আরো বলেছে: “এর ফলে রউফ সিদ্ধান্ত নেয় মরফিনের পরিমান কমানোর যা সে রাজকুমারের নির্দেশে কিছু হাসপাতাল থেকে পেত। রাজকুমারী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর, রউফ ঠিক করে মিশরে ফিরে আসার যখন সে জানতে পারে যে রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। সে পরে জানতে পারে যে একজন সৌদি ডাক্তার যে কিছু ব্যাথানাশক ইঞ্জেকশন আর ট্যাব্লেট সহ ধরা পড়েছিল সে জানিয়েছিল যে এগুলো সে রউফকে দেয়।”

প্রথম বিচারে ড: রাউফ আমিনকে তিন বছরের জেল আর ৭০০ বেত্রাঘাতের সাজা দেয়া হয়… কিন্তু আপীল করার পর সাজা দ্বিগুণ করা হয়। তাকে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ টা বেত্রাঘাত করা হবে ১৫ বছরের জেলে। এই শাস্তির ব্যাপারে শুধুমাত্র মানবাধিকার সংস্থা আর অন্যান্য সংস্থাই না, বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আর মিশরীয় ডাক্তারদের এসোশিয়েশনও নিন্দা জানিয়েছে; ডাক্তারদের সিন্ডিকেটের প্রধান ড: হামদি এল সায়েদ এএফপিকে জানিয়েছে:

“এই রায়ের নিন্দা আমরা জোরালো ভাষায় করছি আর আমরা কায়রো আর সৌদি আরব কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। [মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি] মোবারাকের সাথেও কথা বলেছি এতে হস্তক্ষেপ করার জন্য,” এল সায়েদ বলেছেন এএফপিকে।

“তার ন্যায় বিচার হয়নি; এমনকি যথেষ্ট মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞের মতামতও ছিলনা… এই বিচার ন্যায়ের থেকে বেশি অত্যাচারের আর কোন ধরনের আইনের সাথে এর মিল নেই, মানবাধিকার বা শরিয়া আইনের সাথে (ইসলামিক আইন)।”

এইভাবে অত্যাচার করার থেকে তো ভালো তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া। এক হাজার পাচশো বেত্রাঘাত আর ১৫ বছরের জেল একজন খুনীর জন্যও খুব বেশী কড়া সাজা।”

বলা বাহুল্য যে মিশরের জনগন এটা বুঝতে পারছে না। ক্যারিকেচার শিল্পী আশরাফ হামদি রাগ করে ভাবছে:

“أين الخارجية المصرية ؟
أين منظمات حقوق الانسان ؟
أين وزير الصحة ؟”

“পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয় কোথায়?
মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায়?
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোথায়?”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .