আবদ্ধ কপাটের আবডালে নানা গোপনীয়তা জন্মে। কিন্তু মিশরে যৌনসম্ভোগের জন্য প্রথম অবাধ কোন ক্লাব স্থাপনের খবর দেশটিকে বিশাল একটা ধাক্কা দিয়েছে বললেও কম বলা হবে। এই ক্লাবের সাথে একটা ক্ষুদ্র প্রযুক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে – ক্যাফেতে মুখোমুখি সাক্ষাৎ পর্বের আগে যুগলরা অনলাইনে প্রথমে পরিচিত হয়ে ওঠে।
আল আরাবিয়া সংবাদ সাইটের তথ্যমতে একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী গ্রেফতার হয়েছে স্ত্রী বদল সহ দলবদ্ধ যৌনাচার এবং সম্ভোগ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য।
যুগলটি অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম জানিয়ে বিবাহিত দম্পত্তিদের আহবান করেছিল। তিনমাসের মধ্যে ৪৪টি যুগল ইন্টারনেটে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়েছে।
ইজিপসিয়ান ক্রোনিকলস এর জেইনোবিয়া রেগে গেছেন। তিনি লিখেছেন:
সব অপরাধ পাতায় এমনকি কোন কোন সম্মুখ পাতায় শিরোনাম হয়েছে এই মহালজ্জাস্কর সংবাদটি, মিশরের ইতিহাসে এমন কিছু এই সর্বপ্রথম ঘটলো। ক্লাব পরিচালনাকারী বিবাহিত যুগলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং এই ক্লাবের সদস্য ছিল বাকী ৪৪ যুগলকেও এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে। পুরুষটি ৪৮ বৎসর বয়স্ক একজন সরকারী কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রী ৩৮ বৎসর বয়সী নেকাব পরিহিতা স্কুল শিক্ষিকা!! হ্যা, ঠিক তাই, স্ত্রী ছিলেন বোরখা পরিহিতা আরবী স্কুল শিক্ষয়ত্রী, এটা আমার জন্য একটা বড় আঘাত ছিল কারণ আমি বুঝি অথবা জানি যে তার মত একজন মহিলার নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকার কথা, প্রজন্মের পরে প্রজন্ম সে বড় করে চলছে, হা ইশ্বর!!
আরেকটা পোস্টে জেইনোবিয়া উল্লেখ করেছেন যে এই যুগলরা হয়তো ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত মনে হচ্ছে এই যৌনসম্ভোগ ক্লাব ফেসবুকের একটা গ্রুপ ছিল, হ্যা ফেসবুক, বিশ্বাস করুন অথবা না করুন ইতোমধ্যে আমি একটা তাৎক্ষণিক সার্চ দিয়ে পেয়ে গেলাম তিনটা যৌনসম্ভোগী আরব গ্রুপ, একটা মিশরের অত্যন্ত ব্যক্তিগত গ্রুপ, আরেকটা সৌদি আরবে এবং শেষটা আমিরাতে। প্রযুক্তির বাজে ব্যবহার, আমি আর কি বলতে পারি!!??
জেইনোবিয়ার হতাশা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে অনলাইন কর্মীরা তাদের দুর্দশার কথা বিশ্বকে জানাবার জন্য ইন্টারনেট এবং ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে।
মিশরীয় একটা পত্রিকা আল মাসরি আল ইউম অনলাইনে এই ঘটনা তুলে দিয়েছে। ২৫০ জনের বেশি মানুষ সেখানে মন্তব্য করেছে এবং এখানে প্রতিক্রিয়ার কিছু খন্ডচিত্র তুলে ধরা হলো।
তারেক সালাহেলদিন মন্তব্য করেছেন:
اذا لم تستحى فافعل ما شئت وهؤلاء لا حياء ولا دين
মোহাম্মদ আইয়ুব বলেছেন:
ما هذا الانفلات الاخلاقى الذى يحدث فى المجتمع وكأننا نعيش فى اوروبا وامريكا وليس فى مجتمع اسلامى – اعتقد ان سبب هذا الفجور هو قنوات الدش ومواقع النت الاباحية التى يجب ان يتم عمل بروكسى عليها مثل بعض الدول الاسلامية وربنا يحفظنا جميعا ومن الافضل عدم الافصاح عن مثل هذه المواضيع حتى لا تصبح اشياء عادية
এবং ওয়ায়েল বলেছেন:
ولا هى النهاية ولا البداية هى طبائع فى النفس الأنسانية وطبعا بعد اللغاء دور الدين فى المجتمع فلا يوجد أى رادع للنفس الأنسانية وطبعا سمعت عن حوادث سرقة وقتل بدون اى اعتبار لنفس كما لوكنا نعيش فى غابة بل نحن كذلك
আদেল আল ওয়ারডানি একমত পোষণ করেছেন যে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়া উচিত নয়ঃ
لماذا لا يحجب نشر مثل تلك البشاعات حتى لا تنتشر ويستسهلها من لا دين لهم ولا أخلاق وإن كان لا بد فيمكن نشر الخبر علي أنها شبكة دعارة دون تفصيلات كثيرة . ده رأيي .
আপনার কি মনে হয়? এমন গল্প কি প্রকাশিত হবে অথবা বদ্ধ কপাটের আড়লে কেবল গুঞ্জন করতে থাকবে?