মাদাগাস্কারে অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্লগাররা উৎকণ্ঠিত

অর্থনৈতিক সঙ্কট অধিকতর মন্দ হতে থাকায় আমেরিকার দুজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী, ইউরোপের নেতারা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হয়তো আন্তর্জাতিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেবে। মাদাগাস্কারের মত উন্নয়নশীল যে সমস্ত দেশ আন্তর্জাতিক সহায়তার উপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল তারা ভীতি প্রকাশ করেছে এর ফলে সামাজিক উন্নয়ন ও চরমতম দারিদ্র হ্রাসের কার্যক্রমে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে

সুতরাং অর্থনৈতিক সঙ্কট কি মাদাগাস্কারে প্রভাব ফেলবে এবং কিভাবে? মাদাগাস্কান ব্যাখ্যা করেছে (ফরাসী ভাষায়):

En conclusion, oui, Madagascar sera inévitablement impactée par la crise internationale actuelle. D'une part parce qu'il est prévisible que les Etats resserrent leurs aides aux pays pauvres, d'autre part parce que les grands projets actuels dans le pays auront probablement des problèmes de capacité d'investissement très rapidement, et enfin parce qu'une source importante de richesse du pays, le tourisme, sera fatalement affecté

উপসংহারে, হ্যা, মাদাগাস্কার নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সঙ্কটে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে। প্রথমত: উন্নয়শীল দেশগুলোতে অর্থ-সাহায্য কমানোর জন্য। দ্বিতীয়ত: বিনিয়োগকারীর অভাবে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত অসংখ্য বড় বড় খনি খনন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে এবং সর্বপরি পর্যটনের মত আর যে সব অর্থনৈতিক উৎস রয়েছে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ন্যাশনাল মালাগাসির একজন সাংবাদিক ও ব্লগার র‌্যানডি ডু ইটনতুনদের সাথে বাজার কেমন আচরণ করে” এই প্রেক্ষিত তুলে ধরেছেন একটা কাল্পনিক গ্রামীণ বাজারে বানর-ব্যবসার সরূপের সাথে সাদৃশ্যমূলক তুলনাচিত্র বর্ণনা করে:

Dès lors qu’il a le dos tourné, son assistant rassemble les villageois et leur indique les cages, avec les milliers de singes que leur a achetés son patron “Si vous le voulez, leur dit-il, moi, je vous cède ces singes à 35 dollars l’unité. Ainsi, lorsque mon patron reviendra, vous pourrez les lui revendre à 50 dollars. » Les villageois, aveuglés par la perspective de cet enrichissement facile, sortent toutes leurs économies, vendent leurs biens pour racheter les singes. Le magot encaissé, l’assistant disparaît dans la nuit. On ne le verra plus. Ni lui, ni son patron. Dans le village, rien que des singes, courant dans tous les sens. Et Nadim Kalife de conclure son histoire par un édifiant : « Bienvenue dans le monde de la Bourse ! » Eh, oui ! Il y a quelque chose d’aventureux à vendre un singe à dix dollars, puis à le racheter à 35 dollars, en espérant le vendre une seconde fois à 50 dollars.

ওস্তাদ ফিরে যেতেই তার সাগরেদ সমস্ত গ্রামবাসীদের জড়ো করে তার বসের সবেমাত্র কেনা কয়েক হাজার বানর ভর্তি একটা খাঁচা দেখালো। সে তাদের বললো, যদি তোমরা চাও, এই বানরগুলোর প্রতিটা আমি তোমাদের কাছে ৩৫ ডলারে বিক্রি করতে পারি। ওস্তাদ ফিরে এলে তোমরা তার কাছে ৫০ ডলারে বিক্রি করতে পারবে। গ্রামবাসীরা সহজে অর্থ উপার্জনের মওকা দেখে তাদের সব সঞ্চয় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সব খরচ করে বানর কিনতে থাকে। এরপর সাগরেদ সমস্ত অর্থ কবজা করে রাতের আঁধারে ভেগে গেল। তাকে আর দেখা গেল না। দেখা গেল না তার ওস্তাদকেও। গ্রামে এখন আর কোন কিছু অবশিষ্ট নাই, চারদিকে কেবল বানর আর বানর। নাদিম কালিফ তার গল্পের শেষে বলেছেন, “স্বাগতম বৈশ্বিক বাজারে”। স্পষ্টত: এর মধ্যে ঝুঁকি থাকবেই যখন একটা বানর ১০ ডলারে বিক্রি করে পুনরায় তাকে ৩৫ ডলারে কিনে আবার ৫০ ডলারে বিক্রির চেষ্টা করবে কেউ।

পরিশেষে আন্তানানারিভোর নতুন ব্লগার মুনলাইট গার্ল চরম দরিদ্রতার একটা নিষ্করুণ কাহিনী বলেছেন মাদাগাস্কারের বেশীরভাগ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উপরে কিভাবে তা প্রভাব ফেলছে। আন্তানানারিভোর বাসে সংগঠিত একটা সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কথা তিনি স্মরণ করেছেন:

মহিলাটি কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন মাত্র দুদিন আগে একটা বিখ্যাত গণহাসপাতালে তার একটা বাচ্চা হয়েছিল। শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি দরিদ্রতার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনতে পারেন নি। এই হাসপাতালে যদি আপনি ঔষধ না কিনতে পারেন তার অর্থ হচ্ছে স্রেফ মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা। কেউ ব্যক্তির অবস্থা বিবেচনা করে না। অত:পর তার শিশুটিও মারা গেল এবং এই মহিলার এমন অর্থ নেই যে মৃত শিশুটিকে বাড়ী নিয়ে যাবে। শহর থেকে অনেক দূরে এ্যামব্যাটোফটসিতে সে বসবাস করে। একটা ট্যাক্সি ধরে সেখানে যাওয়া আকাশ কুসুম কল্পনার। এখন সে এ্যামবোহিপোতে তার বোনের বাড়ী যাচ্ছে শিশুটিকে নিয়ে। হৃদয় আমার চৌচির হয়ে গেল, আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম এই মহিলা তার মৃত বাচ্চাটিকে বয়ে বেড়াচ্ছে চারদিকে। বাসটির হেলপার ভীষণ ক্ষেপে গেল এবং মহিলাকে প্রচন্ড গালাগালি শুরু করলো এবং অবশেষে বাস থেকে ছুঁড়ে মারলো এই বলে মহিলাটি জীবিতদের মাঝে লাশ নিয়ে ঘুরে একটা নিষিদ্ধ কাজ করেছে। দরিদ্র মহিলাও আর নতুন কোন ঝামেলায় সবাইকে না ফেলে নীরবে বাস ত্যাগ করলো।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .