- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আমেরিকাঃ ব্লগ কার্যকরণ দিবসে ব্লগারদের অংশগ্রহণ – পর্ব ২।

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা, নিকারাগুয়া, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, ব্যবসা ও অর্থনীতি

১৫ই অক্টোবরকে ব্লগ কার্যকরণ দিবস (ব্লগ অ্যাকশন ডে [1]) এর বাৎসরিক উদযাপন এর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐ দিন বিশ্বের সকল প্রান্তের ব্লগাররা কোন একটি বিশেষ বিষয়ের উপর ব্লগ পোষ্ট প্রকাশ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকে। এই বছরের জন্য নির্ধারিত বিষয় হলো দারিদ্র্য। এই প্রচারকাজের আশা হলো “ নিত্যদিনের আলোচনায় পরিবর্তন আনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বৈশ্বিক আলোচনা শুরু করা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যে গতি আনয়ন করা।”

এখানে এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে এই প্রচারকাজে অংশ নেয়া ল্যাটিন আমেরিকার ব্লগারদের তুলে ধরা হয়েছে (প্রথম পর্ব এখানে দেখুন [2]):

ব্রাজিল:

মুনডো এম মুভিমেন্টস এর ব্লগার সার্জিও কটিনহো একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং তিনি দারিদ্র কেবলমাত্রঅর্থের সাথে সম্পৃক্ত নয় [3] এই বিষয়ে নিম্নরূপ বক্তব্য দেন:

Combater a pobreza não significa, como tem sido feito pelo capitalismo, combater os próprios pobres, achatando suas rendas e dignidades, mas combater o pensamento miserável, escravo do momento em que se vive sem perspectivas de transformação do próprio mundo.

পুঁজিবাদের মত দারিদ্র্য বিমোচন বলতে দরিদ্র জনগোষ্ঠির নিজেদের সাথে যুদ্ধ করা এবং তাদের আয় ও মর্যাদা খর্ব করা বোঝায় না, বরং বোঝায় তাদের ক্লীষ্ট চিন্তার বিরুদ্ধে এবং পৃথিবীর নিজস্ব পরিবর্তনের লক্ষ্যহীন যে অবস্থায় আমরা বাস করি সেই অবস্থার দাসত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।

ভেনিজুয়েলা:

সিবেরেস্ক্রিচুরাসের মতে দক্ষিণ আমেরিকার দারিদ্রের সাথে সম্পর্কিত পরিসংখ্যান খুবই সমস্যাবহুল: [4]

Es absolutamente insultante que en nuestros países de America del Sur se esté hablando aún de 80% de pobreza crítica y es que no hablamos solamente de aquellos que se mueren de hambre segundo a segundo sino de aquellos que no pueden ir a la escuela, que son explotados y humillados a veces en condiciones premodernas, casi medievales en los cinturones de miserias de nuestras ciudades capitales.

দক্ষিণ আমেরিকার দেশসমূহের জন্য চরম অপমানের কথা এই যে এখানে ৮০% চরম দারিদ্র সর্ম্পকে বলা হয় এবং যারা ক্ষুধার কারনে প্রতি সেকেন্ডে মারা যায় কেবল তাদের কথাই আমরা বলিনা বরং তাদের কথাও বলি যারা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা, যাদের কে অতীত ইতিহাসে অনেকসময় শোষিত ও অপমানিত হতে হয়েছে এবং আমাদের রাজধানী শহরগুলোর কষ্টকর জায়গাগুলোতে প্রায় মধ্যযুগীয় অবস্থায় থাকতে হয়।

আর্জেন্টিনা:

আর্টেপলিটিকা ব্লগে চার্লি বয়েল সেইসব আর্জেন্টিনার ব্লগারদের তালিকা একত্রিত করেছে [5] যারা ব্লগ কার্যকরণ দিবস সম্পর্কে লিখেছে। ভিয়েনতোস ডেল সিন সাধারণ একটি ব্লগ যা চলচ্চিত্র এবং ব্লগ কার্যকরণ দিবস এর জন্য আলোচনা করে, তারা বিষয়টি নিয়েই লেখে, কিন্তু সেই সব চলচ্চিত্র সম্পর্কে লেখে যা দারিদ্রের চিত্র ফুটিয়ে তোলে [6]ব্লগ বিস এর সাইন মেতু ও এই প্রচারণা কাজের প্রতিফলন ঘটিয়ে বলে, “খুব সামান্য দরিদ্র জনগণই এই পোষ্টটি পড়বে, হয়তোবা কেউই পড়বেনা [7]।”

ইকুয়েডর:

সান্টো ডমিঙ্গো ডি সাচিলাস ব্লগের মারিয়া ক্রিস্টিনা মার্টিনেজ, যে সিটি @ সিউদাদ এ ব্লগে লেখে, বলছেন: [8]

Empecemos por poner nuestras profesiones o conocimientos al servicio de los demás. Miremos en nuestro interior y actuemos con amor ante las necesidades de las personas que nos rodean, y recordemos que por mínima que sea la acción que realicemos ésta hace el mundo diferente.

আমাদের পেশা এবং আমাদের জ্ঞানকে অন্যের সেবায় নিয়োজিত করে শুরু করি। নিজেদের ভেতরে দৃষ্টিপাত করি এবং আমাদের চারপাশে যারা আছে তাদের প্রয়োজনের প্রতি ভালবাসা সুলভ আচরণ করি এবং মনে রাখি যে প্রত্যেক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা পৃথিবীকে একটি ভিন্ন অবস্থায় নিতে সক্ষম।

নিকারাগুয়া:

দারিদ্রকে সামাল দিতে, ইস্টাসিও মাসিয়াস এর জার্মান মাসিয়াস লেখেন যে আমাদের অবশ্যই “অতীতের দিকে তাকানো বন্ধ করতে হবে এবং অবশ্যই ভবিষ্যতের নতুন উপায় খুঁজতে সম্মুখে তাকাতে হবে। [9]

গুয়েতেমালা:

দ্যা ড্যাটা গিক ব্লগে ‘নাথান আকা’ দারিদ্রের সমস্যা এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত অপরাধমূলক সমস্যা যা গুয়েতেমালায় দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে লেখেন, এবং মনে করেন তার কাছে সম্ভাব্য সমাধান আছে: [10]

… crear fuentes de trabajo, capacitar a las para que desempeñen un trabajo, y a los menores de edad, brindarles de educación necesaria para superarse en la vida, pero se que esto no se logra de la noche a la mañana, para que esto funcione, depende de nosotros, no ser discriminadores, sino ayudar a las personas, podemos darles las cosas que ya no usamos, como zapatos, ropa, cobijas y cuando podamos darles comida.

…চাকুরী সৃষ্টি করা , তাদেরকে চাকুরীর জন্য প্রশিক্ষিত করা, এবং যুবশ্রেণীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা যাতে তারা জীবনে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটা এক রাত্রে ঘটানো যাবেনা, তার জন্য কাজ করতে হবে। সেটা আমাদের উপর নির্ভর করে, পৃথক ভাবে নয়। কিন্তু অন্যদের সহায়তা করার জন্য, আমরা তাদের সেইসব জিনিস দান করতে পারি যে গুলো আমরা আর ব্যবহার করি না যেমন জুতা, কাপড়, কম্বল এবং যদি পারি তাহলে আহার।

এই আর্টিকেলটির জন্য বিভিন্ন লিংক প্রদান করায় লুইস কার্লস ডিয়াজ এবং পলা গোজ কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।