- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

বৈশ্বিকঃ আমেরিকার পিতামাতাদের উত্যক্তকারী বকবকানী পুতুল

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইজরায়েল, মরোক্কো, যুক্তরাষ্ট্র, ধর্ম, যুবা, শিল্প ও সংস্কৃতি

যদি আপনি মনে করেন পুতুলের অবোধগম্য ভাষা কোন অর্থ বহন করে না তবে আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করুন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ফিশার-প্রাইসের বেবিস কাডল এন্ড কু পুতুলটি নিয়ে ব্লগস্ফিয়ার মুখরিত হয়ে উঠেছে। পুতুলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নাকি ঘোষণা করে “ইসলাম ইজ দ্যা লাইট”। আমেরিকার বহু পিতা-মাতা এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এবং অনেক দোকানের শেল্ফ থেকে বিরক্তি উৎপাদনকারী পুতুলগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

আমেরিকা থেকে জিপার্সমিডিয়া [1] ব্লগের মাইক মোজার্ট তার দর্শকদের বলেছেন “শুনতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে”:

যা কিছু শোনা দরকার সেসব শুনে আমেরিকার প্রোগ্রেসিভ মুসলিমা নিউজ [2] এর ব্লগার লিখেছেন:

ইসলামভীতি নিয়ে মূর্খতার নতুন স্থুলতায় পৌঁছেছে ঘৃণাপোষণকারীরা। তাদের অভিযোগ যে ফিশার-প্রাইসের “লিটল মাম্মি রিয়েল লাভিং বেবি কাডল এন্ড কু” নামের পুতুলটি শয়তানের কাছে প্রার্থনা করে এবং ঘোষণা করে যে “ইসলাম ইজ দ্যা লাইট”। (প্রতারণাটা দেখুন: একটা তথাকথিত ইসলামী পুতুল “স্যাটান ইজ কিং” এমন শব্দ সমষ্টি কখনও আওড়াবে না।)

আমি এই পুতুলের কথা শুনেছি এবং এক বর্ণও বুঝতে পারি নাই – এটা একটা শিশুতোষ বকবকানিই মাত্র।

তিনি পুনরায় মন্তব্য করেছেন:

আমাকে। একটা। বিরতি। দিন।

মরোক্কো থেকে মিরতাজ [3] জুড়ে দিয়েছেন:

পুতুলটির কথা শুনুন, কি বলছে সে….

“ইসলাম ইজ দ্যা লাইট?”
অথবা
“ইটস মাম্মিস ডিলাইট?”
অথবা
অন্য কিছু?

এই ঘটনার উপরে মন্তব্য করতে গিয়ে গ্লোবাল ভয়েস অনালাইনের মরোক্কোর লেখক জিলিয়ান ইয়র্ক কাবোবফেস্টে [4]লিখেছেন:

আমাদের বেশীরভাগের কাছে এটা আরেকটা বিরক্তিকর পুতুল যা অবাস্তবসম্মত শব্দ উৎপন্ন করে পিতামাতাকে উত্তেজিত করে তোলে। কিন্তু মিডওয়েস্টারনার্স এর একটা কমিউনিটি মনে করে এটা একটা সন্ত্রাসী পুতুল।

ওকলাহোমার কেজিআরএইচ, তুলশার মতে, [5] বেবি কাডল এবং কু অন্যান্য শব্দের সাথে উচ্চারণ করে “ইসলাম ইজ দ্যা লাইট”। (ঘটনাক্রমে ট্রাকটা আপনি এখানে [6]শুনতে পারেন, আমি স্পষ্টভাবে লাইট অথবা নাইট শব্দটা শুনতে পাই কিন্তু পুতুল এছাড়া আর যা বলছ তা বোধগম্য নয়)।

ইয়র্ক আরো বলেছেন:

হ্যা। ধরুন কিছু সময়ের জন্য যে পুতুলটা সত্যি সত্যি বলছে “ইসলাম ইজ দ্যা লাইট”। স্পষ্টভাবেই সেটা অবশ্যই বোঝায় যে ফিশার প্রাইসের মালিক সন্ত্রাসী, ওবামার সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং বৈশ্বিক কর্তৃত্বের অভিপ্রায়ে চালিত। নিশ্চিতভাবেই এটা বোঝা সম্ভব।

অথবা এটা বোঝাতে পারে যে ফিশার প্রাইস ফ্যাক্টরীর লোকজন একটু মাত্রাতিরিক্ত মজা করে ফেলেছে।

এবং শেষাবধি ইজরায়েল এর অসি ডেব [7] ভিন্ন কথা বলেছেন। ইনফিডল নামে একটা পোস্টে লিখেছেন:

ফিশার-প্রাইসের “লিটল মাম্মি রিয়াল লাভিং বেবি কাডল এন্ড কু” এর সাথে পরিচিত হউন।
অথবা আপনি এর কারখানার নাম জানতে পারেন “লিটল ফ্রিকি ডল দ্যাট ডিগস আল্লাহ এন্ড স্যাটান [5]” ।