কাজাখস্তানি কতৃপক্ষ রাষ্ট্র ভাষার ইস্যুটাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছেন। সোভিয়েত যুগে রুশ ভাষার পৃষ্টপোষকতার পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখ ভাষা ব্যাপকভাবে অবহেলার স্বীকার হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত, কতৃপক্ষ রুশ ভাষাকে (রুশ ভাষা এখনো দাপ্তরিক কাগজপত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে) পুরোপুরিভাবে বহিস্কার করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে। তাই বিষয়টা শুধু স্বল্প সংখ্যাক জাতীয়তাবাদীর আন্দোলনে পর্যবসিত হয়। বর্তমানে প্রত্যেকেই টোফেল (TOEFL)-এর মতো কাজাখ ভাষাশিক্ষার মাণ নির্ধারনী পরীক্ষা চালুর কথায় উদ্বিগ্ন। ২০১০ সাল থেকে চাকুরীতে যোগদান করার জন্যে এর প্রয়োজন হবে।
“আমি বারংবার লিখেছি যে কাজাখরা সরকারী চাকুরিতে প্রভাববিস্তারী (তাঁরা তাঁদের মাতৃভাষা জানে কিংবা জানে না -সেটা কোন ব্যাপারই নয়)। অনেক ভালো চিকিৎসক অথবা চালক দেশ ত্যাগ করবেন- অথবা ব্যাক্তিমালিকানা খাতে চলে যাবেন-কিন্তু সবকিছুই অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যভাবে, আমার ছেলেমেয়েরা ভিন্ন কোন দেশে লেখাপড়া করবে”।
লিখছেন স্লাভোয়ারা (রুশ ভাষায়), যিনি দেশের স্লাভিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত উত্তরাংশ থেকে আসা এক সাংবাদিক।
একই এলাকার সাংবাদিক দজলিভো লেতো কিছুটা ধণাত্মক মনভাবাপন্ন এবং তবু তিনি বিস্মিত:
“আমি জানিনা তারা কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন? তারা কি বিনামূল্যে ভাষাশিক্ষার কার্যক্রম চালু করবেন? অথবা যারা কাজাখ ভাষা জানেনা তাদের প্রত্যকেই চাকুরিচ্যুত করবেন ২০১০ সাল থেকে? আমি বলতে চাই, যদি তুমি কাউকে ভাষা শেখাতে চাও, বিবেচক হও, সুযোগ তৈরি করো।”
ওদিকে আলিম-আতেনবেক তার পেনশন ফান্ড একাউন্ট সম্বন্ধে বলেছেন:
আমার স্বল্প দিনের কর্মাভিজ্ঞতায় ৩৮৮,০০০ তেঞ্জ সঞ্চয় করেছিলাম। এখন আমার কাছে আছে ৩৬৮,০০০ তেঞ্জ। “সমন্বিত পেনশন ফান্ড” আমার ২০০০০ তেঞ্জ খেয়ে ফেলেছে যা কিনা মোট আয়ের শতকরা ৫ শতাংশ। ২০০৭ সালের ২০ ভাগ মূদ্রাস্ফিতীকে বিবেচনায় ধরলে, আমি অনেক কিছু হারাচ্ছি। ফান্ড অফিসিয়াল’রা ক্রেডিট-পতনকে দুষছেন কিন্তু এখানে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়: রাষ্ট্রীয় কতৃপক্ষ কি ফান্ড কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করেন অন্যভাবে বললে উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের বেতন কিংবা তাদের বিনিয়োগকৃত সম্পদ? এবং এইসব আর্থিক ক্ষতি কি পুণর্বন্টণ হবে?
মেগাখুইমিয়াক অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকটের শিকার প্রতিষ্ঠানের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। রাজনীতি কিভাবে ব্যবসাকে প্রভাবিত করে তার চমৎকার উদাহরণ হতে পারে নুর ব্যাংক। ক্রেডিট সংকটের এই ব্যাংকের দরপতন ঘটেনি-দরপতন আগেই ঘটেছে, ব্যাংক মালিক রাখাত আলিয়েভ এবং তার সাবেক শ্বশুর রাষ্ট্রপতি নাজারবায়েভ এর মধ্যকার বিবাদের সুত্র ধরে।
শেয়ারের মুল্য স্থিরভাবে বাড়তে থাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত উর্ধ্বতন ব্যাবস্থাপকদের সাথে বিবাদ প্রকাশ্য হয়ে উঠে (তারা আলিয়েভ কতৃক অপহৃত এবং নির্যাতিত হয়েছিলেন) শেয়ারের মূল্য ৬২,৫০০ হতে ৫২,৫০০ -তে পড়ে যায়। অত:পর যেহেতু ইস্যুটা এক বৃহত্তর সমস্যার পরিবর্তিত হতে থাকে শেয়ারমূল্য ক্রমাগত কমতে থাকে। যখন তদন্ত কার্যক্রম জোরদার হতে থাকে, শেয়ারমূল্য ২৭,৫০০ তে মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর অর্থনৈতিক সংকট শেষ ধাক্কাটা দেয়- শেয়ারে বর্তমান মূল্য ১৭০০০ তেঞ্জ।
মুমো কাল্ট, কাজাখস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারাত তাঝিনের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের উপর লিখেছেন যে সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি নাজারবায়েভের বই উপস্থাপণ করেন।
লোকজন বলাবলি করছিলেন কেন লেখক স্বশরীরে আসেন নি, কেন তাঝিন বইটাতে দস্তখত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, কেন তিনি এতো লাজুক এবং স্বল্পভাষী…………যাইহোক উন্মুক্ত শুড়িখানায় পর্যাপ্ত এলকোহল, সুস্বাদু খাবার আর বিনামূল্যের বই জনগণকে প্রশান্ত করে।
ইতোমধ্যে ওয়েদার ক্লক আতঙ্কিত – বিশেষত ককেশাস অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের পটভুমিকায়- দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনের কারনে:
“কাজাখস্তান কি কোনভাবে রাশিয়াকে উস্কে দিয়েছে? রুশ সেনাবাহিনী রুশ-কাজাখস্তান সীমান্তের ৩০০ মাইলের ভিতরে মহড়া পরিচালনা করছে…।“
এই লেখা নিউরেশিয়াতেও প্রকাশ হয়েছে।