গুয়েতেমালার সংবাদ কেউ যদি নিয়মিত পড়ে তাহলে সে জানবে অনেকগুলো বিষয়ে দেশটি প্রথম স্থানে রয়েছে; দুর্ণীতি, দারিদ্র, নিম্ন স্বাক্ষরতার হার, এবং নারী নির্যাতন। এই কারনে দেশটির ব্লগার ও শিল্পী সম্প্রদায় রোমাঞ্চ অনুভব করলো যখন তারা আবিস্কার করলো যে অবশেষে তাদের জন্য একটা আনন্দের সংবাদ এসেছে। দেশটি স্পেনের সান সেবাষ্টিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ল্যাটিন আমেরিকার চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়েছে। গুয়েতেমালার তরুন চলচ্চিত্রকার হুলিও হারনান্দেজ তার গ্যাসোলিনা ছবির জন্য এই পুরস্কার লাভ করে।
দেশটিতে পয়ত্রিশের নীচে যে সমস্ত নাগরিক রয়েছে তারা সবাই এতে রোমাঞ্চিত, উল্লসিত এবং দেশটির সকল স্থানে চমৎকার সব মন্তব্য আসছে!
সবচেয়ে কৌতুহলী বিষয়টি ছিল সম্প্রতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি গুয়েতেমালাকে স্বর্গ, আদর্শ স্থান, বা সুখী কোন দেশ হিসেবে চিত্রিত করেনি, বরঞ্চ দেশটির এক ভিন্ন বাস্তবতাকে তুলে এনেছে। এটি এ বছরের দ্বিতীয় কোন গুয়েতেমালার চলচ্চিত্র যেটি পুরস্কার পেল। সান সেবেষ্টিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে গুয়েতেমালার একটি ছবি পুরস্কার পেয়েছে এই সংবাদটি প্রথম জানা ছবির এক কারিগরের ভাই, ব্লগার জ্যাকরি:
Son las 8:00 de la mañana hora de Guatemala y entra una llamada yo en ese momento todavía estaba durmiendo y mi mama contesta el teléfono luego solo escucho que ella empieza a llorar de la emoción al recibir la noticia desde España diciéndole de que habían ganado a la categoría en la que estaban nominados Horizontes Latinos.
চারাকোটেল হচ্ছেন গুয়েতেমালার এক গ্রাম্য ব্লগার যিনি এখন ডেনমার্কে বাস করেন। তিনি অনেক দুর থেকে হুলিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন:
Haber logrado realizarla en Guatemala supone ya un triunfo, por la escasa -o nula- presencia institucional en el apoyo al arte, los obstáculos financieros, los cangrejos, etcétera, etcétera. El galardón es, entonces, doblemente merecido.
ব্রাজিলের সান পাবলো তে শিল্পী হিসেবে বাস করা গুয়েতেমালার এক কবি ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই বিষয়ে রিপোর্ট করেন এবং তার ব্লগে এই বিষয়ের জন্য কিছু জায়গা উৎসর্গ করেন। তিনি এই লেখার একটা তাৎপর্যপূর্ণ শিরোনাম দেন:
লিটিল ফেইথ: ল্যাটিন আমেরিকান হরাইজন, যার মানে “দক্ষিন আমেরিকার দিকচক্রাবল: সামান্য বিশ্বাসের উদয়”:
Este merecido premio le dará la resonancia que merece a la película de nuestro querido Julio, al mismo tiempo que podrá poner en los ojos y oídos de muchos las imágenes y sonidos de la tan cacareada Guatemala de posguerra, con sus juventudes perdidas e incendiarias. Desde ya me pongo a ver cómo traemos ese largometraje para el Brasil, donde de seguro disfrutarán tan particular historia y la espléndida forma en que Julio la cuenta.
গুয়েতেমালার একদল সৎ তরুনের এবং একজন মহান পরিচালকের উদ্যোগকে ধন্যবাদ (এই ছবি তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীর প্রায় সকলেই ছিলেন অপেশাদার)। আমরা আমাদের শহর, গল্প ও বাস্তবতা বিশ্বের আরো অনেকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব। এটা কোন আদর্শ জায়গা না, কিন্তু এটা এমন একটা স্থান যেখানে এখনো কোন কোনা রয়েছে যেথায় স্বপ্ন সত্য হতে পারে। আশা করি যে কেউ তার শহরে গ্যাসোলিনা দেখতে পাবে! হাবেমোস গুয়েতামালা সিনেমা (গুয়েতেমালার চলচ্চিত্রের জয়)!