৬ই অক্টোবরের বিজয় পালনের সাথে সাথে আর গাজার অবরোধ ভাঙ্গার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মিশরের বিভিন্ন সংগঠন, সিন্ডিকেট আর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা গাজার দিকে এগুবে অবরোধ ভাঙ্গার জন্য। মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা এই চেষ্টা থামানো হয়, আর প্রায় ৩৬ জন কর্মীকে ‘অপহরণ’ করে আটক রাখা হয়।
আলজাহারাউই জানিয়েছেন:
“মধ্য কায়রো যেন গতকাল একটা ব্যারাকে পরিণত হয়েছিল একটা জনপ্রিয় আন্দোলন থামানোর জন্য। তারা আশা করেছিল গাজার অবরোধ ভাঙ্গতে পারবে। নিরাপত্তা বাহিনী প্রেস সিন্ডিকেটের চারিদিকের এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশ মানুষকে রাস্তার মধ্যিখানে তল্লাশী করে আর যাদেরকেই পাওয়া গেছে এই মিছিলে অংশগ্রহন করবে তাদের যাত্রা আটকিয়ে দিয়েছে, আর প্রথমবারের মতো সাবওয়ে প্রশাসন আর কার্যক্রমের মিশরীয় কোম্পানী তাদের একটা দোকান বন্ধ করে দেয় যাতে সাধারন মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মিলে না যায় বা যুক্ত না হয়, একটা পদক্ষেপ যার উদ্দেশ্য ছিল পুরো এলাকায় নিরাপত্তাকে জোরদার করা।”
তিনি আরো বলেছেন:
“একদিকে, রাফায়, মিশরী নিরাপত্তা বাহিনী ১০০ জনের বেশী কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে একটা মিছিলকে রাফার সীমান্তের সালাহউদ্দিন গেট পার হওয়া থেকে থামানোর জন্য।”
কয়েক ঘন্টা পরে আটক কর্মীদের মধ্য থেকে কয়েকজনের মুক্তির কথা ছড়াতে থাকে। হেশাম মুবারাক ল সেন্টার ব্লগে মালেক এই খবর সমর্থন করেছেন:
في حديث هاتفي مع الناشط العمال كمال الفيومي,الذي اعتقل اليوم على اثر مشاركته في قافلة لكسر الحصار عن غزة,انه تم الافراج عنه مع مجموعة من الناشطين,وانه يجري الان الافراج عن مجموعات من الناشطين,لكن لا معلومات مؤكدة حتى الان,الا عن الافراج عن 6 نشطاء مع الفيومي.
গাজাল এল মালার শ্রমিক নেতা কামাল এল ফাওমির সাথে টেলিফোন কথায় ব্লগার আরাবাইকে জানানো হয়েছে যে কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে আর খারাপভাবে মারা হয়েছে আটক রাখার সময়ে:
“আমি গাজাল এল মালার শ্রমিক নেতা কামাল এল ফাওমির সাথে কথা বলেছি, যাকে প্রায় দুই ঘন্টা আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে জানাল যে প্রেস সিন্ডিকেটের ছয় ব্লক আগে সকাল ১০টার দিকে তাকে পুলিশ অপহরণ করে। তার কাছে সাদা পোশাকের একজন এজেন্ট এসে তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে চায়, আর চার জন গুন্ডা তাকে তখন ঘিরে রেখেছিল। তিনজনের সাথে তাকে একটা ট্রাকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, যা তাদেরকে তোরার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ক্যাম্পে নিয়ে যায়, কায়রোর দক্ষিণে। কামাল জানায় যে তার চোখ বেঁধে সরকারী একজন নিরাপত্তা অফিসার তাকে প্রশ্নোত্তর করে, যে তার গালে কয়েকবার চড় মারে, পেটে ঘুসি মারে আর এই সময় খারাপ খারাপ গালি দেয়। কামাল ভিতরে অন্তন্ত আরো ছয়জন আটককৃতকে দেখে যারা একই ধরণের ব্যবহারের কথা জানায়। প্রায় দুই ঘন্টা আগে, বন্দীদেরকে দুই দলে ভাগ করের নিয়ে মাদির কাছের একটি মরুভুমি এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়।”