ইরাকঃ পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখো – কোথায় আছে শান্তি?

সাহার তেমনটিই বলেছেন। বিশ্ব শান্তি দিবসে উপলক্ষ্যে তিনি লিখেছেনঃ

পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখো – কোথায় আছে শান্তি?
কেমন লজ্জিত ও অলীক!
হাঙ্গামা ও যুদ্ধ চারদিকে!
অবিশ্বাস আর ভয় পরস্পরে!
প্রিয়জনের জন্য হৃদয়ে রক্তক্ষরণ – কি আসে যায় সেটা কোথায় হলো, আর কি তার পরিচয় – প্রিয়জন সবার কাছেই অমূল্য।
আমরা কি সত্যিই এমন একটা দিন, একটা শান্তির দিনের জন্য সচেষ্ট হতে পারি?
এমন একটা দিন যেদিন আমরা সচেতনভাবে সেই পূর্ণ অর্ধেককে দেখবো খালি অর্ধেক ছেড়ে?
একটা দিনের জন্য পৃথিবীর মানুষের মধ্যে মিলগুলো দেখতে পারি না? বিভক্তিকে বাদ দিয়ে?
সেই চেষ্টাটা কি আমরা করতে পারি?

আজকের পোস্টগুলোতে একটা খারাপ লাগার মিশ্রন আছে। পুরাতন বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খানিক রাজনীতি, ভালো কাজের স্বীকৃতি, নারীর ন্যায় আষক্তের একটা নমুনা আর আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন দেখবেন রমজান আপনার কি হাল করেছে।

আপনি যদি এসপ্তাহে কোন ভিডিও না দেখে থাকেন তবে এটা দেখুন

মনযোগ দিয়ে যদি সংবাদ শুনেন তবে বাগদাদের চারিপাশ ঘিরে ফেলা পাথরের দেয়াল নিয়ে অদ্ভুত প্রাণহীণতায় প্রদত্ত কিছু প্রাঞ্জল মন্তব্য শুনে থাকবেন। তবে অধিবাসীদের মধ্যে বিভক্তির রেখা টেনে দেয়া এই দেয়াল যে কি ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে তা সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য ইরাকের সাধারণ মানুষের কথা শুনতে হবে। বাগদাদে যা হচ্ছে তার আসল চিত্র সেখানে পাবেন।

 

icon for podpress  অবরোধের পরে, সদর সিটির নয়া নিপীড়ন হচ্ছে এই দেয়ালঃ Play Now | Play in Popup | Download

পাখিরা যখন মারা যায়

কোথায় পাখিরা তাদের সমাধি খোড়ে,
ধুসর এবং কালো …
এবং নীল?

শেষ সময় পর্যন্ত হামাগুড়ি দেয়
অপার শূণ্যতায়
কখনই জানা হবে না …

তারা বিধাতার সাথে
একে অপরের অন্তরঙ্গ
শেষ মিনিটের প্রতি …
শ্রদ্ধা জানায় চূড়ান্ত বিদায়ের আগে

প্রিয়জন চলে গেলে
তারা ঘুরে যায় অন্যপথে

তারপরে
আকাশের সব প্রেম
ছড়িয়ে দিয়ে
আবার পালিয়ে যায় …
ব্যবচ্ছেদে

জেজে'র কবিতা

ক্ষুদ্র ও টুকরো অংশ

এএন্ডই ইরাক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু থেকে পৃথক হবার দীর্ঘদিন পরে দেখা করতে পেরেছেন। সেই সাক্ষাতে অনেক পুরাতন সময়ের স্মৃতি ভেসে ওঠেঃ

অতীত ভেসে উঠলো, নিরাপত্তা প্রহরীরা তাকে একদিন হুমকী দিচ্ছিলো, অস্ত্র ঘাড়ের কাছে উচিয়ে। আমি তখন চিৎকার শুরু করি তাদের উল্টো ভয় দেখাতে!
একসাথে মৃত্যুর জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত ছিলাম, সে কখনও আমাকে ফেলে যায় নি……
আমি তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম, সেই একই হাসি, চেহারার ভঙ্গি এবং সেই একই শিশুসুলভ আচরণ। চোখ বন্ধ করলাম এবং কল্পনা করলাম নিজেকে তার ছোট কালো গাড়ীতে (যেটা তার বাগদাদে থাকতো), যেহেতু সে প্রতিদিন আসতো, বেল বাজাতো এবং মুহূর্তে আমরা হাওয়া হয়ে যেতাম।
বাইরে গিয়ে বিশেষ জুস পান করে (১৪ রমাদান স্ট্রিট থেকে), আড্ডা মেরে, গান শুনে, ফালাফেল অথবা লাহমবথ্রিআজি খেয়ে এবং আবার গাড়ীতে ফিরে প্রেম, বন্ধুত্ব এবং ভবিষ্যতের উদ্বেল ভাবনার সব গল্পে মেতে ওঠা।

লাস্ট অব ইরাকীস আমেরিকা কর্তৃক সম্প্রতি কয়েদী মুক্তির বিষয়টি তুলেছেন কিন্তু এতে ভবিষ্যতে ইরাকের শান্তির জন্য অশুভ লক্ষণ খুজে পেয়েছেনঃ

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশ কিছু আল কায়েদা সদস্য রয়েছে। আমার এক কলিগ তার এক প্রতিবেশী এমন একজন মুক্তি প্রাপ্ত আসামীর কথা বললেন, “আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি মোহাম্মদ, সে আল কায়েদায় ছিল, নিজের নাম নিয়ে যতটুকু নিশ্চিত তেমনি এটাও নিশ্চিত … সে মুক্তি পাবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে চারজন আগন্তুক তার সাথে দেখা করতে এলো!! বিশ্বাস করতে পারেন….বাজী ধরে বলতে পারি শীঘ্রই অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটবে।”
এতমাত্র বিধাতাই জানে সামনের দিনগুলোতে আমাদের ভাগ্যে কি আছে!

null গ্রীন জোনের মাঝে নিউরটিক ওয়াইফ তার অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং জেনারেলের নিকট থেকে একটা পুরষ্কার পেয়েছেন (বামপাশে ছবি)। প্রথমবারের মত “মহিলারা যেখানে চিরজীবন কথা বলে যেতে পারে এবং বিশ্বের সর্বত্র মানুষের মাথা ব্যাথা করে ফেলে” সে নির্বাক হয়ে গেলো। কিন্তু এর জন্য কৃতিত্ব তিনি নিজে নিতে চান না। নিউরোটিক ওয়াইফ লিখেছেনঃ

যদিও আমি মনে করি যে এই পুরষ্কারের আমি যোগ্য নই তারপরেও উৎসর্গ করতে চাই সেই সমস্ত মানুষদের যারা নিজের দেশের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন। প্রথম এবং সর্বাগ্রে আমি সেই সমস্ত নিরাপরাধ শহীদের উৎসর্গ করতে চাই যাদের রক্ত এখনও গভীরে প্রবাহমান। এইসকল নদীর গভীরে। এবং অবশ্যই, আমি যৌথ ও বহুজাতিক বাহিনীকে উৎসর্গ করি যারা হয়তো আমাদের ভালোবাসার জন্য জীবন বিসর্জন নাও দিতে পারতেন, কিন্তু তারা তাদের নিজেদের দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এবং আমার কাছে, সেইসব লোক যারা তাদের স্ব স্ব দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে তারা সবাই সম্মানীয়। নির্মল এবং সৎ সম্মান জানাই।

মেয়েদের আষক্ত হবার মত একটা সোয়ারোবস্কি ক্রিস্টাল লকেট পেয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছেন ইহাথ যা আবার একটা ইউএসবি মেমরি স্টিক হিসাবেও কাজ করে। ইহাথ দোকানের বিভ্রান্ত সহকারীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন এটা উপভোগ্যঃ

তাই আমি তাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি যে এই বস্তুটি একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত করা সম্ভব এবং কেউ তার প্রয়োজনীয় ফাইল এখানে সংরক্ষণ করতে পারে এবং এরপরে সেই ফাইলগুলো সবসময় তার সাথে থাকবে। এটা একটা হৃদয় আকৃতির লকেট যা পরিচয় দেয় ফাইলগুলোর প্রতি ভালোবাসার পরিমান। বৃদ্ধ মহিলা এখনও বিমূঢ় এবং জিজ্ঞেস করলো, “এতে চমৎকারের কি হলো?” “দেখুন, এটা চমৎকার এ জন্য যে বুকের সাথে লটকে থাকা একটা হৃদয় আকৃতির লকেটে আপনার প্রিয় ফাইলগুলো রক্ষিত আছে যা বোঝায় যে এই ফাইলগুলোকে অত্যধিক ভালবাসেন এবং এই ডিজিটাল ফাইলগুলো আপনার কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আপনি হৃদয়ের ঠিক পাশে ঝুলিয়েও রেখেছেন।” আমি তাকে বোঝাই। “আহা” যদিও তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, তাকে তেমন সন্তুষ্ট মনে হয় না।

এবং সর্বপরি

বুকিস রমজানের ফলে যা ঘটে তার একটা চিত্র তুলে ধরেছে হয়তো রোজাদার সবার সাথে মিলে যেতে পারেঃ

ইফতারের ঠিক আগে আমার ওজন

ইফতারের পরে আমার হাল

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .