গতকাল হোটেল ম্যারিয়টের বাইরে একটি বিশাল বিস্ফোরণের ফলে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ কেঁপে উঠেছিল। স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ১০০০ কেজি (১ টন) বিস্ফোরণ নিয়ে একটি ট্রাক ম্যারিয়ট হোটেলে প্রবেশ করে। চালক প্রথমে নিজেকে উড়িয়ে দেয় আর তারপর বিশাল এক বিস্ফোরণে ট্রাকটিও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এক বছরের কম সময়ে এই হোটেলে এটি দ্বিতীয় বোমা বিস্ফোরণ।
চৌরঙ্গীতে ইয়াসির খান খবরটি দেন:
হোটেল ম্যারিয়ট জ্বলছে। ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা: শাদা-ই- শাহিদ
শাদা-ই- শাহিদ এ শাহিদ জাভেদ রিপোর্ট করেছেন:
সিএনএন এর কাছে এই সিসিটিভি ফুটেজ আছে (‘ট্রাক বোম্বিং ইন পাকিস্তান’ ভিডিওতে ক্লিক করেন) যেখানে দেখানো হচ্ছে যে অন্তত ৩ মিনিটের ব্যবধান ছিল প্রথম বিস্ফোরণ আর বিশাল বিস্ফোরণের মধ্যে। আসমা মির্জা আর আদিল নাজাম বিস্ফোরণের ছবি আর ভিডিও পোস্ট করেছেন অল থিংস পাকিস্তানে। তাদের ব্লগে পাকিস্তানে এই বছরের এরুপ বড় আক্রমনের তালিকাও দেয়া আছে।
পাক টি হাউসের হামিদ মির হামলার কিছু বিভৎস জিনিষ জানিয়েছেন:
অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এখানে পড়ুন।
টিথ মায়েস্ট্রো নিহতদের ব্যাপারে সর্বশেষ খবর দিচ্ছে আর জানাচ্ছে যে পাকিস্তানে চেক রাষ্ট্রদূত নিহতদের মধ্যে ছিলেন:
সংবাদে জানা যাচ্ছে যে মৃতের সংখ্যা ৬০ এর কাছাকাছি আর আহত ২০০ জনের বেশী হবে। দু:খজনক হলো যে এর মধ্যে কয়েকজন বিদেশী আছে আর সব থেকে উচ্চপদস্থ যিনি নিহত হয়েছেন তিনি হলেন পাকিস্তানে চেক রাষ্ট্রদূত ইভো দারেক আর তার ভিয়েতনামী সঙ্গী এখনো নিখোঁজ। রাষ্ট্রদূত দারেক পাকিস্তানে একমাস আগে এসে এই হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
টিথ মায়েস্ট্রো আরো জানিয়েছেন যে এই বিস্ফোরণ সাধারণ কোন দৈব আক্রমন না বরং নতুন প্রেসিডেন্টকে হত্যার সম্ভাব্য চেষ্টা হতে পারে:
এই ব্লগ দোষারোপের খেলা নিয়েও মন্তব্য করেছে:
জাহানে রুমির রাজা রুমি খুবই ক্ষিপ্ত:
চুপ! কিছু উপযোগী প্রশ্ন করেছে:
প্রেসিডেন্ট জারদারীর নিউ ইয়র্ক যাওয়ার প্রাক্কালে, এই বিস্ফোরণ মনে করিয়ে দেয় যে পাকিস্তান সরকার একটা যুদ্ধের হারার প্রান্তে যা পাকিস্তান সমাজের অস্তিত্বকে নাড়া দিচ্ছে।
এইসব দু:খজনক ঘটনার জন্য আমাদের সমাজ, সরকার আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আত্মপ্রসাদ দায়ী। হতে পারে যে একা কোন জঙ্গী ট্রিগার টেনেছে, কিন্তু শেষ পযন্ত সমাজ আর রাষ্ট্র একসাথে জঙ্গীদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছে যার ফলে একটা শহরকে হাঁটু গেড়ে বসাতে পারে তারা।
আমেরিকা সীমান্ত লঙ্ঘণ করে পাকিস্তানের ভৌগোলিক স্বাধীনতা হয়ত খর্ব করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাহলে কোন স্বাধীনতার কথা তারা বলছে? ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স আর বালুচিস্তান সারা বিশ্বের চরমপন্থীদের পছন্দের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। কেন সরকার আর জনগণ পাকিস্তানের স্বাধীনতার ব্যাপারে অস্ত্র ধরছে না যখন চরমপন্থীরা তা খর্ব করছে?
আমাদের সরকারকে কে জবাবদিহী করতে বলবে?