মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পাকিস্তানী অঞ্চলের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায় সেটি কারো অজানা নয়। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের [1] আড্ডা অঞ্চলে এরুপ একটি আক্রমণে [2] ২০ পাকিস্তানী মারা গেছেন। কিন্তু এই শেষ নয়। এটি সাম্প্রতিক কালে পঞ্চম আঘাত। এই মৃতরা সবাই নিরপরাধ ছিলেন। তারা সন্ত্রাসী বা তাদের সাপোর্টার ছিলেন না, তবুও ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ তাদের মরতে হলো।
ব্রিগেডিয়ার (অব:) জুনায়েদ রহমান দ্যা পাকিস্তানি স্পেক্টেটর [3] এ লিখছেন:
সব ধরনের মানুষ এবং বিভিন্ন ব্লগাররা জোর কন্ঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে [4]। গুপ্পু ব্লগের ফারহান এই আক্রমণকে লজ্জাজনক, কাপুরুষোচিত এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী জোর কন্ঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই আঘাতের জবাব দেবার অধিকার পাকিস্তানের আছে। জামাতে ইসলাম দলের [5] নেতা কাজী হুসেইন আহমেদও বলিষ্ঠ কণ্ঠে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে যে পাকিস্তান সরকারের শুধু প্রতি আক্রমণ করার অধিকার রয়েছে এমন নয় তাদের এটি করা উচিৎ কারন এটি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টির [6] নেতা ইমরান খান বলেছেন যে আমেরিকান সেনারা সরকারী কর্মকর্তাদের অনুমতিতেই এই আক্রমণ করেছে যারা রাষ্ট্রপতি মুশাররফের নীতি এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ সরকারের কার্যক্রমে খুবই হতাশ।
বাজভাইনস [7] এ নিয়া এই বলে তার রাগ ঝাড়ছে পাকিস্তান সরকারের উপর:
ওদিকে চৌরঙ্গির [8] ফাহাদ এই কথাগুলো দিয়ে তার মনোভাব ব্যক্ত করছে:
“পাকিস্তান নাকি জাতিসঙ্ঘের দুত অ্যান ডাব্লিউ প্যাটারসনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে ডেকে পাঠিয়েছে অ্যাঙ্গুর আড্ডা ঘটনার জন্যে। এখনও এটি সত্যি পরিস্কার নয় যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্যাটারসনের কাছে অভিযোগ করেছে নাকি তিনি পাকিস্তানিদের ভৎসর্ণা করেছে অ্যাঙ্গুর আড্ডায় বেশী রক্ত বয়ে যায়নি এই জন্যে।”অনেক ব্লগার এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে উপরের এই ব্যাজ ধারন করে যা বলে “আমরা পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমনের প্রতিবাদ করছি”।