“ব্লগোমা” নামে পরিচিত মরোক্কোর ব্লগস্ফিয়ার আজ বেশ সরব ছিল সে দেশের ব্লগার মোহাম্মদ ইরাজী নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায়। আরবী প্রকাশনা হেসপ্রেস এ লেখার জন্য ইরাজী গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে বাদশাহর সাহায্য প্রদানের আধিক্যে জনগন কঠোর পরিশ্রম বাদ দিয়ে অকর্মণ্য হয়ে পড়ছে।
ব্লগামাতে ইরাজীর ঘটনা ছোটখাটো একটা রেঁনেসার অনুপ্রেরণা দেয়। সেই সাথে স্মরণ করিয়ে দেয় ফুয়াদ মৌরতাদার সমর্থনে ব্লগারদের সংগঠিত হবার ঘটনা যিনি রাজকীয় পরিবারের এক সদস্যের ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল তৈরী করার কারণে বছরের শুরুতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বহুল প্রকাশিত ব্লগার লারবী এবং ডিজিএকটিভ এর অনুপ্রেরণায় বিশ্বব্যাপী ব্লগাররা সমর্থনের চিত্র প্রেরণ করেছেন এবং সোমবার ব্লগ হরতালে অংশ নিয়েছেন।
আজকে ব্লগাররা ইরাজীর মুক্তি এবং ব্লোগোমার আন্দোলন উদযাপন করছে। মিরতাজ অভিনন্দন জানিয়েছেন ইরাজীকে এবং পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন:
আপনার সর্বময় সাফল্য কামনা করি!
বিচার পরিপূর্ণভাবে পেতে হলে ইরাজীর প্রতি অন্যায়কারীদের বিচার হতে হবে। এমন ঘটনা আর কখনও যেন ঘটতে না পারে। বিচার ব্যবস্থার শক্তিমত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমানের এটা সঠিক সময়। চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকতে হবে অংশীদারিত্বমূলক, সর্বক্ষণ কর্তৃপক্ষ ও জনগণের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা কাম্য হতে পারে না।
শান্তি ও প্রীতির জন্য আমাদের সবাইকে সংঘবদ্ধ হয়ে এমন একটা দেশের জন্য কাজ করতে হবে যার জন্য আমরা গর্ব প্রকাশ করতে পারি।
ইশ্বর মঙ্গল করুক!
ওমর আল হায়ানি (ফরাসী ভাষায়) উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছেন ইরাজীর মুক্তিতে কিন্তু মরোক্কোর বিচারব্যবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন:
Le blogueur Mohammed Erraji a été acquité par la cour d’appel d’Agadir. Encore une affaire qui finit bien, mais qui montre à quel point notre justice est malade…
ন্যাভির ইভরি [ফরাসী ভাষায়] একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন:
Mohamed Erraji, premier blogueur à subir les foudres des autorités marocaines, a été acquitté en appel après abandonnant des charges retenues contre lui.
Est-ce que sa libération est un nouveau signal des autorités envers la jeunesse marocaine qui s’exprime sur internet, ou une erreur (une exception) qui ne peut faire jurisprudence ?
এই মুক্তি কি প্রমান করে যে মরোক্কোর যুবসমাজ যারা ইন্টারনেটে তাদের মতামত প্রকাশ করে তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নতুন দৃষ্টিভংগি তৈরী হয়েছে, অথবা এটাও কি আইনের একটা ত্রুটি (একটা ব্যতিক্রম)?
লারবী ব্লগামো আন্দোলিত করতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন যে আন্দোলনের ব্যপকতার কারণে বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়। তিনি বলেছেন:
La mobilisation extraordinaire a poussé à accélérer la procédure et arrêter cette mascarade judiciaire. Sans cette mobilisation on n’en serait pas là. Alors bien sûr il est facile de venir après coup dire que ce n’était qu’une erreur judiciaire qui a été « normalement » corrigée. C’est faux, c’est malhonnête.
Il était beaucoup question dans mes écrits du roi Mohamed VI. Je n’entends pas m’en excuser. Encore une fois le fond du problème est celui là : Le roi Mohamed VI règne et gouverne, l’Etat c’est lui, il concentre l‘essentiel du pouvoir, il est dès lors naturel qu’il soit objet de critiques acerbes, excessifs et durs. Et il n’est pas acceptable que cette épée de Damoclès qui s’appelle « atteinte au respect dû au roi » plane sur chacun de ceux qui critiquent le chef d’Etat marocain. Voilà le problème. Maintenant si d’autres préfèrent « blâmer les victimes » (pour reprendre la jolie expression de l’indispensable écrivain Laila Lalami ) c’est leur droit.
Il faut songer à une chose : C’est la première fois dans l’histoire du Maroc qu’un accusé soit acquitté après avoir être poursuivi pour manque de respect dû au roi. C’est la première fois. Tous les procès précédents ont été conclu automatiquement par des condamnations. Alors au vu du lourd casier du Maroc en la matière qu’on ne vienne pas parler d’une simple erreur de justice .
বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ সন্বন্ধে আমার লেখায় প্রচুর উল্লেখ আছে। আমি তা নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করছি না। পুনরায় শেষ কথা হচ্ছেঃ বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদই রাজত্ব ও শাষন কার্য্য চালাচ্ছেন, তিনিই রাষ্ট্র, বিপুল ক্ষমতার অধিকারী, সেজন্য এটা স্বাভাবিক যে তিনি তিক্ত, যথেচ্ছা ও তীর্যক সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয় যে এই ডেমক্লিসের তরবারী “রাজার সম্মানের অবমাননা” র নামে মরোক্কোর রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচকদের সবসময় আতংকিত রাখবে। সমস্যা হচ্ছে এটাই। যেমন কেউ যদি পছন্দ করে “উপদ্রুত ব্যক্তিকে দোষ প্রদান” (সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য লেখক লায়লা লালামি এর ব্যবহৃত একটা চমৎকার উদ্ধৃতি) তবে এটা তাদের অধিকারও বটে।
আমরা অবশ্যই কিছু বিষয় বিবেচনা করবো: মরোক্কোর ইতিহাসে এটা প্রথম একটা ঘটনা যেখানে বাদশাহর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের অভিযোগে দোষী একজন ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। আদপে এটা একেবারেই প্রথম ঘটনা। পূর্ববর্তী সমস্ত মামলাগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হতো। সুতরাং এক্ষেত্রে মরোক্কোর পর্যাপ্ত দৃষ্টান্ত থাকা স্বত্বেও এটাকে কিভাবে মাত্র একটা সাধারণ বিচারের ত্রুটি হিসাবে উল্লেখ করা যায়! বিগত কয়েক দিন পর্যন্ত দেখছি যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মানুষ মোহাম্মদ ইরাজীর জন্য আন্দোলন (সংহতি জ্ঞাপক) করছে। আন্দোলনকারী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এবং সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও সংহতি প্রকাশ করেছে। মরোক্কোর অনেক ব্লগারও এর সাথে ছিল। তবে দুঃখজনকভাবে ব্লোগোমের অংশগ্রহণ তেমন ছিল না। আমি কোন বিচার করতে বসিনি। এটা যার যার স্বাধীনতা।
সর্বোপরি, প্লাস জামাইস ডিইলুইশনস (ফরাশীতে) দাবী করেছেন “ব্লগাররা যেমন তৈরী করে ব্লগোমা তেমনই” পোস্টে:
Erraji a été acquitté pour vice de procédure, mais un autre débat est d’ores et déjà lancé. Difficile d’évaluer l’impact de la mobilisation (très relative) de la blogosphère marocaine dans cette issue heureuse. Difficile aussi de cerner les raisons d’une telle faiblesse de mobilisation (serait-ce le cursus du bloggeur ? La langue d’écriture ? Ou le sujet traité, en l’espèce touchant la personne du Roi?). Peut-être qu’une conjonction de pressions internes et une mobilisation internationale (certains blogs marocains jouant en l’occurrence un rôle d’intermédiaire), un mauvais calcul (selon moi à écarter vue l’existence du précédent de Fouad Mourtada) de la part du pouvoir, un message à passer et qui est déjà bien reçu et assimilé par bien de bloggeurs sur la sensibilité d’aborder certains sujets, ou comme le pensent certains, un excès de zèle, une justice dont les dysfonctionnements sont trop nombreux et un système que le pouvoir a mis en place, entretient, dont il est en principe imputable mais refuse (ou rechigne à) de démanteler car bien commode à blâmer suivant en cela la fameuse fable d’une monarchie bienveillante mais mal entourée et mal servie.