ইয়েমেন: আমেরিকান দূতাবাসে হামলায় ১৬ জন নিহত

ইয়েমেনের সানায় আমেরিকার দুতাবাসে (১৭ই সেপ্টেম্বর) গাড়ী বোমা আর রকেট হামলায় ষোলজন নিহত হয়েছে। একজন ব্লগার বিষ্ফোরণ এলাকা থেকে একটু দূরে ছিলেন।

কার্পেটব্লগার, একজন আমেরিকান যিনি তুরষ্কে থাকেন কিন্তু ইয়েমেনে ভ্রমন করছিলেন লিখেছেন:

বুর্জ আল সালাম হোটেলের লবিতে বসে প্রায় একঘন্টা আগে আমরা দুটো বিষ্ফোরণ শুলাম, কিন্তু এটা নিয়ে কিছু ভাবিনি। এত কাছে এটা ঘটেছে যে জানালা একটু নড়ে উঠেছিল। প্রায় আধা ঘন্টা পর রিপোর্ট আসা শুরু করলো যে আমেরিকার দূতাবাস হামলার শিকার হয়েছে। বর্তমান ইয়েমেন টেলিভিশনের রিপোর্ট জানাচ্ছে যে প্রথমে একটা গাড়ী বোমা হামলার পর কিছু গোলাগুলি হয়েছে। অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন রিপোর্ট এই হামলার দায় আল কায়দাকে দিচ্ছে যারা এই দেশে ক্রমশ: তৎপর হয়ে উঠছে। আমেরিকার দুতাবাস শেরাটন হোটেলের কাছে অবস্থিত। রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে দূতাবাসের বাড়ীটিতেই হামলা হয়েছে চত্বরে নয়।

তার পরের রিপোর্ট জানাচ্ছে:

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে যে দূতাবাসের লোকজন হেলিকপ্টারের সাহায্যে খালি করা হচ্ছে। আমি এখুনি একটি হেলিকপ্টার ওইদিকে যেতে দেখলাম। ছবি তুলেছি, তবে লোড করার সময় নেই।

সৌদি আরব থেকে আমেরিকান ব্লগার স্টিলেটোস ইন দ্যা স্যান্ড ইয়েমেনকে একটা ভালো অবকাশযাপনকেন্দ্র হিসাবে নাকচ করে দিয়েছে ‘এই হামলার পর'। সে লিখেছে:

এমন না যে নিকট ভবিষ্যৎে আমরা ইয়েমেনে যাওয়ার চিন্তা করছিলাম, কিন্তু… এর মানে হলো যে নিশ্চিতভাবে আমরা ইয়েমেনকে অবকাশযাপনের স্থল হিসাবে বিবেচনা করব না কখনো। এই বছর এটা প্রথমবার না যে পশ্চিমাদেরকে লক্ষ্য করা হয়েছে। আর গালফনিউজে এই আর্টিকেল পরার পর, আমার মনে হয় আমাদের জন্য ভালো হবে যদি আমরা অন্য আমন্ত্রনকারী দেশের কথা ভাবি ছোট ছুটি কাটানোর জন্য।

আর্মিস অফ লিবারেশনে লেখিকা জেন নোভাক এই হামলা নিয়ে এখানে আরো রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি যোগ করেছেন:

লক্ষণীয় যে ওসামা বিন লাদেনের আদিম বাড়ী ইয়েমেন আর আমেরিকার দূতাবাস এর আগেও হামলার জন্য লক্ষ্য করা হয়েছে:

গত মাসে শেষবারের মতো আমরা ইয়েমিনি ইসলামী জিহাদের কাছ থেকে এমন শুনেছিলাম যখন তারা হাদ্রামাউতে একটা আত্মঘাতী গাড়ী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছিল, আর ভয় দেখিয়েছিল রাজধানীতে আরো হামলার।

নোভাক, যিনি তার ব্লগে ইয়েমেন নিয়ে লেখেন, ওই দেশে পূর্বের আত্মঘাতী বোমা হামলার একটি তালিকা দিয়েছেন:

২০০৬ এর সেপ্টেম্বরে একসাথে মারিব আর হাদ্রামাউতে তৈল স্থাপনায় হামলা

২০০৭ এর জুলাই মাসে মারিবের পর্যটন কেন্দ্রে গাড়ী বোমা হামলায় ৮জন স্প্যানিশ পর্যটকের মৃত্যু

২০০৮ এর জুলাই মাসে সায়ুন হাদ্রামাউতে একটা পুলিশ স্টেশনে গাড়ী বোমা হামলা ১ জন নিহত আর ১৮ জন আহত।

২০০৮ এর প্রথম দিকে সানাতে মর্টার হামলা করা হয়েছিল পশ্চিমী লক্ষ্যের দিকে যার মধ্যে ছিল আমেরিকার দূতাবাস, ইটালীর দূতাবাস আর একটি পশ্চিমী হাউজিং কমপ্লেক্স। হাদ্রামাউতের দক্ষিনের রাজ্য সায়ুনে জুলাই ২০০৮ এর আত্মঘাতী বোমা হামলা যাতে ১ জন পুলিশ নিহত আর ১৮ জন আহত হয়েছিল তার পর থেকে, কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে যার মধ্যে আছে এএআইএ নেতা খালিদ আব্দুল নাবি আর সাউদি মোহাম্মাদ বিন নায়িফ আল কাহতানি। গ্রেপ্তারের পর, ইয়েমেন ঘোষণা করেছিল যে সৌদি আরবের তৈল স্থাপনার উপর একটা হামলা তারা নষ্ট করেছে। ইয়েমে আল কায়দার ইতিহাস আর পর্যালোচনার জন্য, আমার আল কায়দা ক্যাটেগরি দেখেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .