উপমহাসাগরীয় অঞ্চলের লোকেরা রমজান মাসের মধ্যভাগে একটা অনুষ্ঠান পালন করে যেখানে বাচ্চারা সেজেগুজে পড়শীদের দরজায় দরজায় গিয়ে তাদের সম্ভাষণ করে এবং খাবার আর কখনো কখনো টাকা সংগ্রহ করে।
কুয়েত থেকে ইন্টলএক্সপাটর [1] একটি আনন্দঘন ঘটনা দেখে যখন তার দরজায় অপ্রত্যাশিত ধাক্কা পড়ে:
কেউ তো আমার দরজার বেল বাজায় না! যদি কেউ দেখা করতে চায় দারোয়ান এসে আমাকে জানায়।
“কে ওখানে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
“আমরা গিরজিয়ান!” একসাথে সবাই বলল।
গিরজিয়ান বাচ্চাদের একটি ছুটি উদযিপন, কিছুটা হ্যালোউইনের মতো, রমজান মাসের অর্ধেক পার হলে, যখন পোশাক পড়া বাচ্চারা আপনার দরজার ঘন্টা বাজায় আর তাদেরকে মিষ্টি আর মাঝে মাঝে টাকা দেয়া হয়। যদি আপনি ভাগ্যবান হন, তারা গান শোনায়। আমার ধারনা হলো যে বাচ্চারা তাদের পরিবারের কাছেই যায়, যেমন চাচা, চাচী, ভাই বোন আর ঘনিষ্ট পড়শীদের কাছে।
বলা বাহুল্য যে ইন্টলেক্সপাটার এই চমকে খুবই খুশি:
আগে কেউ গিরজিয়ানের জন্য আসেনি তাই আমার কাছে কিছু তৈরি ছিলনা। ইশ্বরকে ধন্যবাদ যে এরা মিষ্টি পছন্দ করে, আর ইশ্বরকে ধন্যবাদ তারা ভদ্র ছিল আর তাদের খুব খুশি মনে হলো মুঠো ভতি ওরিও কুকি আর মার্শমেলো পেয়ে, যা শুধুমাত্র আমার কাছে ছিল।
কখনো কখনো জানা যায় না আশীর্বাদ কখন আসবে। এইসব প্রিয় বাচ্চারা আমার দিন ভালো করে দিয়েছে।
সে ইউটিউবে আপ্লোড করা এই উৎসবের একটি ভিডিও তুলে দিয়েছে যা কুয়েতি ব্লগার চিকাপাপ্পি [2] এর তোলা: