- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আফ্রিকা: মহামান্য, বিয়ে করা বন্ধ করেন!

বিষয়বস্তু: সাব সাহারান আফ্রিকা, এসওয়াহতিনি, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালাউই, উন্নয়ন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি, সরকার

তিন দিন ব্যাপি হাইওয়ে আফ্রিকা [1] কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার রোডস ইউনিভাসিটিতে অন্যান্যদের সাথে বেশ কিছু মালাউইয়ান সাংবাদিকও যোগ দিয়েছেন। এই কনফারেন্সের এবারের থিম (মূল বিষয়) হচ্ছে “নাগরিক সাংবাদিকতা: নাগরিকদের জন্য সাংবাদিকতা”। আফ্রিকান সাংবাদিকদের সব থেকে বড় জমায়েত (৭০০ জনেরও বেশী উপস্থিত ছিলেন) হিসেবে এই কনফারেন্স জোর দিয়েছে নিউ মিডিয়ার উপর। এই সম্মিলন সাংবাদিকতা, প্রচারমাধ্যম আর প্রযুক্তির সমালোচনামূলক চিন্তার একটি ফোরাম এবং আফ্রিকার উদযাপন হিসাবে সফল হয়েছে।

এডনা ভালানি [2] কনফারেন্সের একটা সর্বশেষ আপডেট দিয়েছেন আর বলেছেন যে ১৯৯৬ থেকে চালু হওয়া এই কনফারেন্সের এটি ১২তম উপস্থাপন যা আফ্রিকা মহাদেশের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ:

এই ডিজিটাল যুগে, একজন সাংবাদিকের জানা উচিত যে কি করে তথ্য যোগাড় করে দ্রুত তা ছড়িয়ে দেয়া যায়। তাই এটা বোঝা জরুরী যে মিডিয়া আমাদের সমাজের যেকোন গণতান্ত্রিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটা দরকারী মাধ্যম।

কনফারেন্সের সময়ে গ্লোবাল ভয়েসের [3] নাম বেশ কয়েকবার নেয়া হয়েছে অন্যান্য নাগরিক মিডিয়ার প্রচেষ্টাগুলোর সাথে যারা সাধারণ নাগরিকদের আওয়াজ বিশ্বব্যাপী জোরদার করতে সাহায্য করছে।

এই লেখক, ভিক্টর কাওঙ্গা, যিনি এনদাঘাতে [4] ব্লগ করেন, এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন আর তার ব্লগে এর উল্লেখ করেছেন [5]

তবে তার আগের ব্লগের লেখাগুলো তুলে ধরেছে যে কিভাবে মালাউই সরকার তথ্য হাইওয়ের সাথে গ্রাম্য জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করতে চায় না [6]। তার ‘মালাউ কি গ্রাম্য জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করবে?‘ শীর্ষক লেখা কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের [7] পৃষ্ঠপোষকতায় করা তিন দিন ব্যাপি মালাউইতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আগে প্রকাশিত হয়েছে। এই কনফারেন্স আফ্রিকার সব থেকে বড় আইটি ফোরাম ছিল যা গ্রাম্য জনগোষ্ঠীকে ‘লাস্ট মাইল’ সমাধানের মাধ্যমে যুক্ত করার উপর জোর দিয়েছে। তবে লেখক তর্ক করেছেন যে মালাউই সরকারের যথেষ্ট টেলিযোগাযোগের কাঠামো নেই, আইসিটি নীতি আর একটা সমর্থক অথনৈতিক পরিবেশ যা শুধুমাত্র গ্রাম নয় বরং শহরকেও যুক্ত করবে।

আজকের পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই দেশ একটি হাসির পাত্র যেহেতু আমাদের যথেষ্ট যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এভাবেই বেশীরভাগ দেশ আধুনিক তথ্য আর যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে উপকৃত হচ্ছে না আর এর ফলে ডিজিটাল ডিভাইডের বিপরীত দিকেই থেকে যাচ্ছে। সরকার যদি মালাউর গ্রাম্য এলাকা যুক্ত করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়, বেশ কিছু ব্যাপারে আরো নিষ্ঠা আর গুরুত্ব দরকার যার মাধ্যমে গ্রাম্য যোগাযোগ বাস্তবায়ন হবে। নাহলে এটা স্বপ্নই থাকবে।

এয়ার মালাউইর চলে যাওয়া দরকার

একজন অর্থনীতিবিদ আর নতুন ব্লগার ওয়াটিপাসো কান্দাউইরে মালাউইর জাতীয় বিমান এয়ার মালাউইর [8] (যেটা বলা হচ্ছে গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে আছে) বিক্রি সংক্রান্ত বিতর্ক উপস্থাপন করছেন। সম্প্রতি যেসব দেশ তাদের জাতীয় বিমানকে প্রাইভেট পর্যায়ে দিয়েছে তার বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে, কান্দাউইরে (যিনি কিছুদিন মালাউইর বিনিয়োগ খাত নিয়ে কাজ করেছেন) মালাউইর জাতীয় বিমানের প্রাইভেট করার ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন:

যারা এই তর্ক করে যে তারা ‘জাতীয় সম্পদ’ এর ০ ভাগের ১০০% রাখতে চায় ১০০ ভাগের ৪৯% বা ১০% রাখার থেকে, তাদের তর্ক আমি বুঝতে পারি। এয়ার মালাউই আসলে দেউলিয়া আর (অর্থ থরচ করে) এটা রাখার প্রচেষ্টা আসলে আয়কর দাতাদেরকে ঠকানো যাদের জন্যে এই অর্থ অন্য ভালো ক্ষেত্রে (স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি) খরচ করা প্রয়োজন। জাম্বিয়ার জাতীয় বিমান নেই, কিন্তু তাদের বিমানবন্দর মালাউই থেকে ব্যস্ত। বর্তমানে সে দেশে চালু প্রাইভেট বিমান ইন্ডাস্ট্রী প্রতিদিন বিস্তৃত হচ্ছে… এয়ার মালাউই বিলুপ্ত করে কমএয়ারের সাথে একটা যৌথ উদ্যোগ নেয়া উচিত – আমি এর পক্ষে। আপনি কি মনে করেন?

মালাউয়ানরা সোয়াজিল্যান্ডের রাজা সোয়াতিকে পরামর্শ দিয়েছে

নিয়মিত ব্লগার আর সাংবাদিক কোন্ডোয়ানি মুন্থালি [9] সম্প্রতি সোয়াজিল্যান্ডের ৪০তম স্বাধীনতা দিবস নিয়ে লিখেছেন যেখানে মালাউইর প্রেসিডেন্ট বিঙ্গু ওয়া মুথহারিকা উপস্থিত ছিলেন। ‘দারিদ্র উদযাপন: সোয়াজিল্যান্ডের নীতির কাহিনী’ নামক তার লেখায়, মুন্থালী [10] আফ্রিকান নেতাদের অনুরোধ করেছেন রাজা সোয়াতিকে [11] পরামর্শ দিতে যাতে তিনি বিয়ে করা বন্ধ করেন:

আমার মনে হয় সময় হয়েছে যে আমাদের যেকোন একজন নেতা রাজাকে যত খুশি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে বলবেন, এটা সাম্প্রতিক এইডস মহামারি থামাতে আর আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলা একটা জাতির ভাবমূতি গঠনে সাহায্য করে না।

একটা বাক্য আছে যে “শুধুমাত্র রাজা ঐতিহ্য পরিবর্তন করতে পারেন”- আমার বিশ্বাস সোয়াজিল্যান্ডের মহামান্য রাজার ক্ষমতা আছে সোয়াজিদের সুন্দর সংস্কৃতি তুলে ধরার যথাযথ স্বাধীনতা আর খরচসহ যা দেখাবে যে রাজা এসব নিয়ে চিন্তিত। রাজার উচিৎ তার অনেকগুলো স্ত্রীর আগে জনগণের দেখাশোনা করা!