লেবানন: রাজনৈতিক উত্তেজনা ব্লগে ছড়িয়ে পড়ছে

যত দিন যাচ্ছে লেবাননের রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে অসহনীয় পর্যায়ে। সম্প্রতি হেজবুল্লাহ কর্তৃক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার ঘটনা রাজনীতিবিদ আর নাগরিকদের মধ্যে সংঘাত আরো বৃদ্ধি করেছে। প্রতিদিন সান্ধ্য খবরে তীব্র বিতর্ক আর রাজনৈতিক মতামত দেখা যাচ্ছে আর এখন তা ব্লগেও সংক্রমিত হয়েছে। স্থানীয় ব্লগাররা নিজেদের ব্যাখ্যা আর মতামতে সজ্জিত হয়ে এই ‘যুদ্ধ'কে তাদের ওয়েবপেজে নিয়ে যাচ্ছে।

টাইগারমার্ক এই সময়ে লেবাননের পরিস্থিতির উপর মতামত দিতে গিয়ে, বিশেষ করে জোর দিয়েছে এই সপ্তাহে জেনারেল আউনের সাম্প্রতিক মন্তব্য আর হেলিকপ্টার ভুপতিত করার ঘটনার পর সংবাদপত্রে তার দেওয়া বক্তব্য:

অবশ্যই সে এমন করছে এটি ধামাচাপা দেবার জন্য যে ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত:ই হোক না কেন হেজবুল্লাহ হেলিকপ্টার পাইলটকে হত্যা করেছে। সে তার সমর্থকদের অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত রাখতে চায় তাই মার্চ ১৪ ব্লক দলের দূর্ণীতির মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে লেবানীজ রাষ্ট্রের সবখানে দূর্ণীতি চলছে আর লেবাননের তাদের ইচ্ছামত যে কোন অংশে হেজবুল্লাহ সেনাবাহিনীর কাজ করছে আর আমার যুদ্ধে আছি কিনা তা বোঝাচ্ছে।

বেখ তার সাম্প্রতিক লেখা শুরু করেছে লেবানিজ বাহিনীকে আক্রমন করে আর লিখেছে ‘ম্যারোনিটিজম’ সম্বন্ধে যাকে সে মনে করে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার পতন হিসাবে:

এখন আসছে মজার ব্যাপারটা, যুদ্ধের প্রথমদিকে, লেবানীজ বাহিনী, তখন বশির জেমায়েলের নেতৃত্বে উঠতি একটা সংস্থা, বেশীরভাগ ‘টাইগার'দের মেরেছিল এবং কার্যত ‘খ্রীস্টান এলাকা’ থেকে তাদের সম্ভাব্য শত্রুদের সরিয়েছিল। অনেক দিন পর্যন্ত ড্যানি চ্যামুনকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল কিন্তু তার ছোট দুই ছেলে, স্ত্রী এমনকি কুকুরও হত্যা করা হয়েছিল। তার কাজের মেয়ে আর কন্যা আলমারিতে লুকিয়ে বেঁচে গিয়েছিল। তার সেই কন্যা তামারা জোরালোভাবে সামির গেগেকে (বর্তমানে যে এলএফ এর নেতা) দোষারোপ করে এই কাজের জন্য।

হ্যানিবল তার নৈরাশ্যের জন্য নতুন নির্বাচিত লেবানীজ প্রেসিডেন্ট মাইকেল সুলেমানকে দায়ী করেছে। হ্যানিবল এই সংবাদ আর্টিকেল পোস্ট করেছে যেখানে নতুন প্রেসিডেন্টকে বিশ্বাসঘাতক আর সিরিয়াপন্থী বলা হয়েছে:

“স্লাইম” কে সিরীয় দখলদাররা সেনা প্রধান হিসাবে নিয়োগ করেছিল আর ২০০৫ সালে লেবানন থেকে সিরীয় সেনা যখন প্রত্যাহার করা হয় লেবানন দ্বারা, এই [প্রেসিডেন্ট] তার সিরীয় মনীবদের পিছনে আনজার পর্যন্ত বিদায় জানাতে গিয়েছিল আর তাদেরেকে বলতে যে তাদের চলে যাওয়াতে সে কত দু:খিত… বিশ্বাসঘাতক ছাড়া সে আর কি হতে পারে? লেবাননে আর কোন লোক নেই… শুধু বিশ্বাসঘাতক আর আরো বিশ্বাসঘাতক।

দ্যা ওয়েট ফ্রন্ট এর ব্লগার এন১০৪৫২ লেবানীজ ফ্রন্টকে (এলএফ) সমর্থন করেছে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে আগে লেবানীজ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য:

আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকে মনে করে যে আওন যখন নেতৃত্বে ছিল তখন এলএফ লেবানীজ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এই ব্যাপক ভুল ধারনা আওনের সমর্থকরা ব্যবহার করছে আর এখন হেজবুল্লাহও যারা সেনা পাইলট সামের হান্নার হত্যা থেকে নিজেদেরকে নিরাপরাধ প্রমান করতে চাচ্ছে ২০ বছর আগে এলএফ যে নৃশংসতা করেছে সেনাবাহিনীর সাথে তা দেখিয়ে।

ইন দ্যা মিডল অফ দ্যা ইস্ট এর বার্ট পিটার্স সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি রিপোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করেছে যেখানে দেশের দক্ষিণে রাজনৈতিক আর মিলিটারি পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে আর হেলিকপ্টার ঘটনার দিকে দৃষ্টি ফিরিয়েছে:

লেবাননে এই সময়ে, একজন হেজবুল্লাহ যোদ্ধা ভুল করে লেবানিজ সেনাবাহিনীর একটা হেলিকপ্টার ভুপাতিত করেছে, যার ফলে একজন অফিসার নিহত আর দুইজন সেনা আহত হয়েছে। এটা চিন্তা করে যে লেবাননের সেনাবাহিনীর মাত্র ৩টা হেলিকপ্টার আছে, আর ইজরায়েলী বিমান প্রতিদিন লেবানীজ আকাশসীমা ভঙ্গ করছে, এটা খুব বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা না যেমন শোনা যায়… যাই হোক, হেজবুল্লাহ তার ভুল স্বীকার করেছে আর নিজে থেকে ২০ বছর পুরান এই যোদ্ধাকে মিলিটারি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবুও দেশের ভিতরের বিভিন্ন দল জানা মতে এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .