যদিও লেবানিজ মিডিয়া আর ব্লগাররা সম্প্রতি রাজনৈতিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সাধারণভাবে, কিন্তু অন্যান্য বিষয় আলোচনা আর রিপোর্ট করা দেখলে ভালো লাগে। কিন্তু যখনই ভিন্ন ধরনের রিপোর্ট ছাপা হয়, দেখা যায় সেগুলো আরো খারাপ খবর। আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন হিউমান রাইটস ওয়াচ, ইমিগ্রেশান হিয়ার এন্ড দেয়ার আর আঞ্চলিক ব্লগাররা আতঙ্কিত হওয়ার মতো রিপোর্ট প্রকাশ করছে যে গাল্ফ অঞ্চলে বিদেশী গৃহভৃত্যদের সাথে দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এরকম ঘটনা লেবাননেও ঘটেছে যেখানে প্রায় ২০০,০০০ মহিলা গৃহভৃত্য আইনগতভাবে কাজ করে। লেবাননের অফিসিয়াল ডিপার্টমেন্ট একে গুরুত্বের সাথে না নেয়ায় এবং মিডিয়া এই সব ব্যাপার তুলে না ধরার কারনে ব্লগাররা অনলাইনে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছে।
মুসা বশির তার ব্লগে এই সপ্তাহে তুলে ধরেছে হিউমান রাইটস ওয়াচ লেবাননে গৃহভৃত্য অবস্থা সম্পর্কে কি বলতে চাচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
লেবানিজ সোশিয়ালিস্ট হিউমান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লু) এই একই রিপোর্টের উপর আলোকপাত করেছেন:
ক্রিস্টা হিলস্ট্রম, যিনি তার ব্লগ উৎসর্গ করেছেন আধুনিক বিশ্বব্যাপী ক্রীতদাস ব্যবসার যে বিপদ আর বাস্তবতা তার প্রতি, বলেছেন:
চাঞ্চল্যকর এইসব খবরের সাথে হিলস্ট্রম এই পরিস্থিতি নিয়ে এলিজা বারথেত এর একটি রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দেন:
পিছু ফিরে দেখলে দেখা যায় যে মুস্তাফার মতো ব্লগার এই ক্রমবর্ধমাণ প্রবণতার ব্যপারে তার দুশ্চিন্তা তুলে ধরেছে:
অ্যাঙ্গরী আরব নিউজ সার্ভিসের অধ্যাপক আসাদ আবু খলিল এইচআরডাব্লুর মাধ্যমে ব্যাপারটা যে আন্তর্জাতিকভাবে নজরে আসছে সেই জন্য স্বস্তী বোধ করেছেন:
কয়েক মাস আগে অধ্যাপক আবু খলিল লেবাননে গৃহভৃত্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেন যা পরে দৈনিক অনলাইন আল্কোহোনাতে প্রকাশিত হয়:
আবুল্লরের আগের একটা লেখায় একটা প্রামান্য চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছিল (লেবাননে গৃহভৃত্য ২) যেখানে কর্মীদের অধিকার, নিয়োগ, চুক্তি আর কাজে প্রতিদিনের নিয়ম নিয়ে বিতর্ক করা হয়েছে।
আর একটা ভীতিজনক দিক যা অনেকটাই খেয়াল করা হয়নি তা হানিবাল কয়েক মাস আগে উল্লেখ করেছেন। তার লেখায় ইথিওপিয়ান সরকারের বৈরুতে কাজের জন্য যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করেছে:
… পূর্বের মানবাধিকারের রেকর্ড দেখায় যে ১৯৯৭ আর ১৯৯৯ এর মধ্যে ৬৭ জন ইথিওপিয়ান মহিলা মারা গেছে শুধুমাত্র বৈরুতে কাজ করতে গিয়ে। অনেকের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি আর অনেককে খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর কারন তাদের নিয়োগকারীরা তাদের খ্রীস্টান নাম পাল্টিয়ে দেয় দেশে মুসলিম হিসাবে ঢোকার জন্য।