কোরিয়া: অন্তর্বাস কি বিপদজনক জিনিষ হতে পারে?

গত ১৫ই আগস্ট, কোরিয়ার ৮১৫তম স্বাধীনতা দিবসে মানুষ একত্রিত হয়েছিল ১০০ তম ক্যান্ডেললাইট ভিজিল (মোমবাতির আলোর মিছিল) অনুষ্ঠানের জন্য। রাস্তা দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময়ে কতিপয় লোককে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। একটা কেলেন্কারী ঘটে যখন খবর বের হয় যে সিউলের এক পুলিশ স্টেশনের অফিসাররা এক মহিলার অন্তর্বাস খুলে নিয়েছে। কারন দেখানো হয়েছে যে আত্মহত্যার উপায় হিসাবে এটা ব্যবহার করা যায়। ব্লগাররা এটা নিয়ে কথা বলেছেন:

18일 인권운동사랑방 등 인권단체들에 따르면 지난 16일 새벽 서울 마포경찰서는 촛불집회에 참가했다가 연행된 김모(26.여)씨를 입감하면서 브래지어를 위험물로 분류해 이를 벗도록 한 뒤 보관했다. 인권운동사랑방은 “여성연행자를 입감하면서 ‘자해위험’ 운운하며 브래지어를 수거한 것은 성적 수치심을 주는 행위”라며 “과잉 신체검사로 인한 문제를 시정하기 위해 개정한 ‘피의자 유치 및 호송규칙’ 내용을 거꾸로 돌리는 반인권적 행위”라고 비난했다. 이에 대해 경찰 관계자는 “촛불 국면 이후 최초로 연행자 4명이 체포적부심을 신청하면서 유치기간이 길어질 것으로 판단해 규정에 따라 위험물을 수거한 것일 뿐”이라며 “자해 위험 때문에 통상적으로 끈으로 된 것은 입감시 수거한다”고 설명했다. 광복절 집회에서 연행된 시위참가자들은 모두 17일 오후 6시께 귀가했지만 김씨 등 4명은 지난 16일 오전 체포적부심사를 신청해 법원에서 기각되면서 체포시한이 19일 0시25분까지 연장됐다. 위 내용과 관련하여 경찰서에 전화를 해 보았는데, 서울 경찰청에서 마포경찰서 지능팀으로 바꿔 주어서 통화해 보았는데, 경찰에서는 벗긴 적이 없다, 경찰서 앞에서 관련단체들이 기자회견을 했을 뿐 여성본인이 기자회견을 하지 않았다고 답변을 하더군요. 억지로 벗기지 않았다 해도 자해위험때문이라며 자해할 의도가 전혀 없는 여성의 브래지어를 벗기게 만들었다면 오히려 수치심을 자극하여 자해를 유도한 인권탄압행위라고 봅니다. 법가지고 장난치듯이 수치심유발 등 심리적인 자극으로 별 짓거리를 다 하는 것 같다는 생각이 드는군요.[…]

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অনুযায়ী, বিশেষ করে মানবাধিকারের জন্য সারাংবাং দল এর ভাষ্যে মাপো পুলিশ স্টেশনে ১৬ তারিখ সকালে ২৬ বছরের এক মহিলাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছিল। তাকে বাধ্য করা হয় তার অন্তর্বাস খুলে নেওয়ার জন্য এই কারন দেখিয়ে যে এটা ব্যবহার করে সে নিজেকে হত্যা করতে পারবে, আর তার অন্তর্বাস পুলিশের কাছে রেখে দেয়া হয়। মানবাধিকারের জন্য সারাংবাং দল এর সমালোচনা করেছে, ”একজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা, ব্যক্তিগত ক্ষতির কথা বলা, আর তার অন্তর্বাস খুলে নেয়া… এটা যৌন নীপিড়ন। এটা মানবাধিকার বিরুদ্ধ।“ এই ব্যাপারে পুলিশ বলেছে,”মোমবাতি ভিজিল শুরু হওয়ার পর, প্রথমবারের মতো চারজন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি আইনগতভাবে তাদেরকে সেই রাতে গ্রেপ্তার করার যৌক্তিকতা জিজ্ঞাসা করে। আমরা ভেবেছিলাম তাদের আটক রাখার সময় সাধারণের চেয়ে বেশী হবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী আমরা তা (অন্তর্বাস) নিয়ে নিয়েছি। ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকার কারনে আমরা সাধারনত দড়িযুক্ত জিনিষ নিয়ে নেই।” সেই রাত্রে গ্রেপ্তারককৃত ব্যক্তিরা যারা মোমবাতি ভিজিলে ছিল তারা ১৭ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি ফিরে গেছে। কিন্তু চারজন ব্যক্তি ওই মহিলাসহ আইনগতভাবে তাদের গ্রেপ্তার করার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে আর এটা কোর্ট গ্রহণ করে নি। তাই তাদের আটকের মেয়াদ ১৯ তারিখের রাত ০০:২৫টা পর্যন্ত ছিল। এই ব্যাপারে আমি পুলিশ স্টেশনে কথা বলি। তারা বলেছে যে তারা তাকে এটা খুলতে জোর করেনি। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে এই মহিলা কোন স্বাক্ষাৎকার দেন নি আর অন্যান্য সংস্থারা শুধু পুলিশ স্টেশনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমার মনে হয় এটা মানবাধিকারের উপর চাপ কারন সে বাধ্য হয়েছে এটা খুলতে যদিও তার কোন ইচ্ছা ছিল না নীজের ক্ষতি করার। তারা তাকে অপমান করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা নিয়ম নিয়ে খেলা করছে।

নেটিজেনদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে যে এটা খোলার দরকার ছিল কিনা:

지난 15일. 광복절 사수를 위해 촛불을 든 26세 김모양은 경찰의 마일리지 포획물이 되어 마포 경찰서로 연행됐습니다. 그리고 경찰은 그녀에게 ‘브래지어를 벗어서 이리 내놔!'라고 했다 합니다. 왜냐구요? 브래지어가 위.험.물. 이기 때문입니다. 자살할 위험이 있어서라고 합니다. 유치장에 수감되는 범죄인의 경우 자살 할 수 있을겁니다. 사람을 죽였거나, 사람을 억지로 범했거나, 사람을 다치게 했거나, 또 기타등등의 심각한 범죄를 저질렀을 때 여기서 일케 구치소를 지나 법정에 서고 교도소에 가는 것보다 차라리 죽는게 낫겠다..고 생각할 수도 있습니다. 그런데.. 촛불을 든 사람이.. 정말 그럴 수 있을까요?[…] 한때 가톨릭 교회는 ‘자살'을 ‘자신에 대한 살인'이라 해서 범죄라 한 적이 있습니다. 그러나 요즈음 가장 보수적이라고 할 수 있는 가톨릭 교회에서 마저 이에 대한 생각이 조금씩 변하고 있습니다.자살은 우울증이라는 심각한 질병으로 인한 병사라는 것이지요. 그렇다면 이 여성은 무엇일까요? 우울증으로 보였던걸까요? […]

১৫ আগস্ট ২৬ বছরের এক মহিলা যে মোমবাতি সহকারে পাহারাতে ছিল ৮১৫তম স্বাধীনতা দিবস পূর্তিতে, তাকে মাপো পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে পুলিশ আদেশ করে ,'তোমার অন্তর্বাস খুলে আমাদেরকে দিয়ে দাও!’ কেন? কারন অন্তর্বাসকে বিপদজনক জিনিষ হিসাবে দেখা হয়েছে আর এটা দিয়ে নাকি আত্মহত্যার সম্ভাবনা আছে। এমন গল্প জেলে ক্রিমিনাল কেসের আসামীদের ক্ষেত্রে আছে। মানুষ ভাবতে পারে যে সে যখন কাউকে হত্যা করেছে, কাউকে বিরক্ত করেছে, কাউকে আঘাত করেছে বা গুরুতর অপরাধ করেছে তাহলে কোর্টে দাঁড়িয়ে জেলে যাওয়ার থেকে মরে যাওয়া ভালো। কিন্তু যে ব্যক্তি মোমবাতি ধরেছিল… এটা কি সম্ভব? একসময়ে ক্যাথোলিক চার্চ মনে করত যে আত্মহত্যা নিজেকে হত্যা করার সামিল। কিন্তু এই রক্ষনশীল ক্যাথলিক চার্চ ও পাল্টাচ্ছে। রোগ, অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করা হয়। তাহলে এই মহিলার ব্যাপার কি? তাকে দেখে কি অবসন্ন মনে হচ্ছিল?

유치장에 있는 모든 여성이 브래지어를 벗어야 하는가? 위 험물질 소지 위험이 있을 경우 그런 규정이 있다. 지금까지 유치장에 있던 여성들중 단 1명도 빠짐없이 브래지어를 벗겼는가? 아니다. 사안에 따라 다르다. 중범죄나 무기 위험이 있는 경우 탈의를 요구한다. 그럼 집회 나가는 것이 중범죄냐? 그렇게 물으면 대답할 수 없다. 본인 생각으로는 연행 자체가 불법이고, 경찰 입장으로서도 경미한 죄일텐데 말이 거부하는데 강요했다는것이 경찰 자체가 불법을 저지르고 있는것 아니냐? 강요하지 않았다. 기사에서는 수차례 거부했다고 나와있다. 왜곡되었을것이다. 내가 직접 참여하지 않아서 잘 모르겠다. 유치장의 여성이 끝까지 거부하면 강제로 벗게 할수는 없는가?

জেলে থাকা সব মহিলার কি তাদের অন্তর্বাস খুলে ফেলা উচিত? যদি বিপদজনক কোন জিনিষ থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে এই নিয়ম। তাহলে জেলের সব মহিলাদের কি অন্তর্বাস খুলে ফেলতে হয়? না, এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। যদি তারা গুরুতর অপরাধ করে বা বিপদজনক অস্ত্র তাদের কাছে থাকে, তাদেরকে অনুরোধ করা হয় সমস্ত পোশাক খুলে ফেলার। তাহলে কি মোমবাতি ভিজিলে অংশগ্রহণ করা গুরুতর অপরাধ? তারা এটা জিজ্ঞাসা করলে আমি জানিনা কি উত্তর দিতে হবে। আমার মতে, সন্দেহভাজন কাউকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া বেআইনি আর পুলিশের দৃষ্টিকোন থেকে সে যা করেছে তা গুরুতর কিছু না। পুলিশ বলেছে যে তারা জোর করেনি। কিন্তু সংবাদপত্রে সে বলেছে যে বেশ কয়েকবার সে না বলছে। আমি জানিনা যেহেতু সেখানে আমি ছিলাম না। যদি জেলে থাকা মহিলা শেষ পর্যন্ত না বলে, পুলিশ কি তার অন্তর্বাস খুলতে জোর করতে পারে?

কয়েকজন নেটিজেন একটা প্রচারণা শুরু করেছে পুলিশ স্টেশনে অন্তর্বাস পাঠানোর, দেখাতে যে ওই পুলিশরা কি করেছে:

마포경찰서는 사과하십시요!

같은 여성으로써 기사를 접하고 손이 덜덜 떨립니다. 그 여성분이 강력범죄자였습니까? 아님 약을 했습니까? 왜 수갑을 채우고 브래지어를 벗게 했습니까? 뭐 본인이 벗었다구요? 경찰서 안에서 그 여성분은 얼마나 무서웠겠습니까? 경찰관들이 계속 벗어라고 하는데 일반 시민인 그 아가씨 누구 대변해주는 사람없고 얼마나 무서웠으면 벗었을까요? 기사를 읽는 내도록 경찰한테 실망하고 ..무섭습니다. 경범죄에 수갑에 브래지어를 벗게하다니..말이 안나오네요 이건 대한민국 여성분들한테 다 성적모독감을 주는겁니다. 저는 그럼 만약 제가 교통사고를 일으켜서 경찰서에 간다면 저도 벗게 되는겁니까? 도저히 있을수 없는 행동을 한 마포경찰서에서는 언론에 공개사과를 하기 바랍니다.[…]

브래지어로 목을 메요? 메봐요. 어디

মাপো পুলিশ স্টেশন, আপনাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত!

এই খবর পড়ার পর মহিলাটির মত আমার হাত ভয়ে না কেঁপে পারে নি। সেকি গুরুতর অপরাধী ছিল? নাকি সে মাদকগ্রহনকারী ছিল? কেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে তার অন্তর্বাস আপনারা খুলে নিলেন? আপনারা বলেছেন যে সে নিজে খুলেছে। আপনারা কি ভাবেননি যে পুলিশ স্টেশনে সে কি পরিমানে ভীত হবে? তার পাশে কেউ ছিলনা আর পুলিশ বলে যাচ্ছিল যে তাকে খুলতে হবে। সে অবশ্যই ভয় পেয়েছে। খবরটা পড়ার সময়ে, আমি পুলিশকে নিয়ে খুবই হতাশ হয়েছি আর ভয় পেয়েছি। একটা নগণ্য অপরাধের জন্য তারা তাকে হাতকড়া পরিয়ে অন্তর্বাস খুলে নিয়েছে … অবিশ্বাস্য। এর মানে এই দেশের সব মহিলাদের তারা যৌন অপমান করে। যদি গাড়ী দুর্ঘটনা হয়ে আমাকে পুলিশ স্টেশনে যেতে হয়, আমাকেও কি আপনারা জোর করবেন? মাপো পুলিশ স্টেশন যারা এই ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছে তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আপনাদের কি মনে হয় অন্তবাসের দড়ি দিয়ে মানুষকে ফাঁস দেয়া যায়? চেষ্টা করে দেখেন কাজ হয় কিনা!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .