ক্যাম্বোডিয়ার যৌনকর্মীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে মানবাধিকারের ব্যাপারে তাদের সংগ্রাম আর তাদের কষ্টের ব্যাপারে সবাইকে আরো ভালো করে জানানোর জন্য। ক্যাম্বোডিয়ায় বলবৎ ১০০% কনডোম ব্যবহার আইন যেখানে বলা হয় যে মক্কেলের সাথে যৌন সংসর্গের সময় অবশ্যই কনডোম ব্যবহার করতে হবে – এটা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু যাদেরকে নিরাপদ করার জন্য এই আইন এটা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। যৌনকর্মীদের বন্দী করা হচ্ছে কারন তারা যে কন্ডোম তাদের সাথে নিয়ে ঘোরে এটা প্রমাণ করে যে তারা যৌনকর্মী।
গ্রেপ্তারকৃত যৌনকর্মীদের ‘পুনর্বাসন’ কেন্দ্রে পাঠানো হয় যা মূলত: জেলখানা। সেখানে মহিলাদের অন্য অপরাধীদের সাথে এক কক্ষে রাখা হয় যেখানে বাথরুম বা কলের পানি নেই, যেখানে খাদ্য বা পানীয় অপ্রতুল। এদের কাউকে মারা বা ধর্ষণ করা হয়, আর এইচআইভি আক্রান্ত মহিলাদের এন্টি-রেট্রোভাইরাল ঔষধের চিকিৎসা দেয়া হয় না।
যৌনকর্মীদের এশিয়া-প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক লাগাতার কিছু গবেষণা করেছে ১০০% কন্ডোম ব্যবহার প্রোগ্রামের বাহ্যিক ফলাফল বা প্রভাব নিয়ে যা ক্যাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড আর মিয়ানমারের যৌনকর্মদের নিয়ে হয়েছে। তারা তাদের ব্লিপ.টিভি চ্যানেল সেক্স ওয়ার্কার্স প্রেজেন্ট এ যে ভিডিও আপলোড করেছে তা আপনারা দেখতে পারেন। এই দীর্ঘ ভিডিওতে ১০০% কন্ডোম ব্যবহার করার প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, এর উপযোগীতা, সেইসব মহিলাদের স্বাক্ষাৎকার যাদেরকে গ্রেপ্তার বা ‘পুনর্বাসন’ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে যেখানে কোন ধরনের শিক্ষা বা ট্রেনিং এর ব্যবস্থা নেই, আর কিভাবে এইসব প্রকল্পে কন্ডোম ব্যবহারের প্রচার শুধুমাত্র যৌনকর্মী বা সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য করে হয়ে থাকে এবং তা বাকী জনগণের মধ্যে এইচআইভি আর এসটিআই বিস্তার রোধে কোন ভূমিকা রাখবে না। যৌনকর্মীদের এশিয়া-প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মেক্সিকো শহরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এইডস কনফারেন্সে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক এইচআইভি/এইডস আর মানবাধিকার বিষয়ে কাজের জন্য পুরষ্কারটি পেয়েছে। সংস্থাটি ১৯৯৪ এ প্রতিষ্ঠিত হয় আর তারা যৌনকর্মীদের সাথে স্বাস্থ্য আর অন্যান্য সংস্থা আর দল যেমন এম্পাওয়ার থাইল্যান্ড, সিউটলি জাপান, পিঙ্ক ট্রায়াঙ্গেল মালয়েশিয়া, দ্যা স্কারলেট এলায়েন্স অস্ট্রেলিয়া আর সোনাগাছির সাথে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছে।
নীচের ভিডিওর নাম “বাঘ আর কুমিরের মাঝখানে আটকে পড়া“: