- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভারত: কেরালায় ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, প্রতিবাদ, ব্যবসা ও অর্থনীতি, রাজনীতি, শ্রম, সরকার

Harthal
সুখী হরতাল [1]: চালিয়ান [2] এর সৌজন্যে

পেশাকু [3] নীচের ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেছে যেখানে দেখানো হচ্ছে যে ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ কেরালার আঙ্গামালী ট্রেন স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েছে কারন রেল কর্মচারীদের একটি বিশেষ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সব ধরনের কার্যক্রম থেমে গেছে। এই প্রতিবাদকে বলা হয় হরতাল [4] এবং এটি কেরালার পৌন:পুণিক সমস্যার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

গত ২২শে ফেব্রুয়ারী, প্রভিনেয়ার [5] নামক ব্লগার কেরালার হরতাল নামক যন্ত্রণা [6] সম্পর্কে জানাচ্ছেন:

আপনি যদি কেরালা বাসী হন বা নিয়মিত সেখানে যান, অথবা আপনার আত্মীয় বা বন্ধুরা সেখানে যদি থাকে তাহলে নিশ্চয়ই হরতাল শব্দটি অনেকবার শুনেছেন। হরতাল শব্দটি কেরালার সংস্কৃতির মধ্যে গেঁথে গেছে এবং প্রতি দুই মাসে এ নিয়ে বড় সংবাদ হয়। কেরালায় হরতালের এই ছড়াছড়ির কারনে এ প্রদেশকে এক নতুন নামে অভিহিত করা হচ্ছে – হরতালের দেশ বলে।

পরিস্থিতির এতই অবনতি হয়েছে যে যখনই এই ধরনের ধর্মঘট হয়, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যহত হয়।

হরতাল.কম [7] ওয়েবসাইটটি ব্যখ্যা করছে যে হরতাল এবং ‘বন্ধ’ এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হরতালে সাধারণত: সহিংসতা হয় না আর ‘বন্ধ’ এ যারা ধর্মঘট মানে না তাদের প্রতি আক্রমণ করা হয়। আরেকটি ব্লগ, হরতাল ওয়াচ [8] এর মাধ্যমে পাঠকরা জানতে পারেন কবে কোথায় পরবর্তী হরতাল হচ্ছে।

কেরালা ভিউজ এর লেখা ‘আরও একবার কেরালা স্থবির হয়ে যাচ্ছে [9]‘ তে বর্ণনা করা হচ্ছে এরুপ আরেকটি ধর্মঘটের প্রতি জনগণ কি রকম অসহিষ্ণুতা পোষণ করছে এবং এটি দেশব্যাপী এই হরতালের কারনও ব্যাখ্যা করছে:

এই বছর ৬০টি স্থানীয় এবং দেশব্যাপী হরতালের পর কেরালা আরেকদিনের জন্যে স্থবির হয়ে যাবে।

এবার এর আয়োজনকারীরা শুধু মাত্র রাস্তার ট্রাফিক বন্ধ করবে না, তারা প্রতিটি জেলায় ট্রেন লাইনও পিকেটিং করবে। কেউ অস্বীকার করছে না শ্রমিকদের এই ধরনের ধর্মঘটে যাবার অধিকার বা চাষীদের এতে সমর্থন। তবে এই ধর্মঘট রাজনৈতিকভাবে উসকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশয় কমই আছে যে আসন্ন লোকসভা [10] নির্বাচন সামনে রেখেই এর আয়োজন করা হচ্ছে।

এই ধরনের ধর্মঘটের পেছনের কারন জানতে নিউইন্ডপ্রেস.কম [11] সাইটটি পড়ুন।