- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

গুয়াতেমালা: আদিবাসীদের সংস্কৃতির বহি:প্রকাশ

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, গুয়াতেমালা, আদিবাসী, শিল্প ও সংস্কৃতি, সঙ্গীত

আমাউরি আগুইয়ার
ছবি: আমাউরি আগুইয়ার [1] – ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

বিশ্বের আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক দিবসে [2] (গুয়াতেমালায়) আদিবাসীদের এক উৎসব পালন করা হয় যেখানে তারা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করে। এই আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো শুধু গুয়াতেমালায়ই নয় সারা বিশ্ব জুড়েই অত্যাচার-নীপিড়নের শিকার, প্রতিদিনই তারা সামাজিক ভৎসর্ণা ও চরম দারিদ্রতার কবলে পরছে।  তবে, এই লেখাটি তুলে ধরার চেষ্টা করবে কিভাবে গুয়াতেমালার আদিবাসীরা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করছে।

কোমালাপা হচ্ছে গুয়াতেমালায় আদিবাসীদের জন্যে এক বিশেষ স্থান [3], যেখানকার চিত্রশিল্পী এবং বুদ্ধিজীবিরা সারা বিশ্ব জুড়ে সম্মানিত:

Todo comenzó durante los años 30 del siglo pasado, cuando Andrés Curruchiche se interesó en el arte de pintar al óleo, y su creatividad le dio la oportunidad de exhibir sus trabajos en Estados Unidos. En aquel país del Norte, Curruchiche consiguió superar el récord de 123 mil visitantes que el pintor y escultor español Pablo Ruiz Picasso había registrado en exhibiciones de arte. El éxito que recabó el pintor comalapense a nivel mundial e internacional con sus trabajos primitivistas lo comprometió con su pueblo, por lo que comenzó a enseñarle a las nuevas generaciones. De esa cuenta, surge una segunda generación integrada por 15 pintores primitivistas y en los años 80 nace la tercera; pero esta vez compuesta por nueve mujeres que optaron por el estilo surrealista (pinturas de paisajes con mezcla de primitivismo)”.

এটি শুরু হয়েছিল ১৯৩০ এর দশকে, যখন আন্দ্রে কুরুচিচে তৈল চিত্রে আগ্রহী ছিলেন, এবং তার উদ্ভাবনশক্তি তাকে সুযোগ এনে দেয় যুক্তরাষ্ট্রে তার শিল্পকর্ম দেখানোর। মহাদেশের উত্তরের সেই দেশে (আমেরিকায়) কুরুচিচের শিল্পকর্ম পাবলো পিকাসোর প্রদর্শণীর রেকর্ড ভঙ্গ করে ১২৩,০০০ দর্শক টেনে আনে। কোমালাপার এই চিত্রশিল্পীর আদিবাসী শিল্পকর্মের বিশ্বজুড়ে সাফল্য লাভ তাকে তার গোত্রের লোকদের জন্যে আরও কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ করে এবং তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চিত্রকলা শেখানো শুরু করেন। তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫জন চিত্রশিল্পী, তৃতীয় প্রজন্মে মেয়েরাও উঠে আসে এবং তারা তাদের পুরোনো স্টাইল বদলে একটি পরাবাস্তববাদী স্টাইল (ল্যান্ডস্কেপ এবং পুরাতন স্টাইলের সংমিশ্রণ) জনপ্রিয় করে।

এখানে একটি দলগত ব্লগ নাইফতেনাঙ্গোর লিন্ক দেয়া হল [4] (স্প্যানিশ ভাষায়) যা গুয়াতেমালার নাইফ বা আদিবাসী চিত্রকলার উপর লিখে থাকে। সেখানে একটি ছোট ভিডিও উপস্থাপন করা হয়েছে কুরুচিচে গ্যালারীর উপর, যা তার চিত্রশিল্পী পৌত্রী দ্বারা পরিচালিত।

এটি জানা থাকা জরুরী যে যদিও বিভিন্ন আদিবাসী গোত্রের একই ধরণের সমস্যা রয়েছে, গুয়াতেমালায় বেশ কটি স্বতন্ত্র গোত্র রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি একে অপরকে শত্রু ভাবে এবং তাদের ভিন্ন ভাষা আছে। তবে, পথনাটকের মাধ্যমে দুটি আদিবাসীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা গিয়েছে এবং এদের যুবারা একসাথে কাজ শুরু করেছে। এই দলগুলো “লা কামবালাচা [5]” দ্বারা সমর্থিত। এটি আটিটলানের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকে সাহায্য করে এমন একটি সংস্থা [3]:

El grupo se integra por jóvenes Kakchikeles de San Marcos La Laguna y jóvenes Tz´utujiles de San Pablo La Laguna. Estas dos comunidades tienen conflicto entre sí desde hace siglos, por lo que el trabajo conjunto de los y las jóvenes da un valor muy especial al proceso que vivieron durante el montaje de la obra, como también a la presentación de la obra ante las comunidades.

এই সংগঠন সান মার্কোস লা লাগুনার কাকচিকেল সম্প্রদায়ের যুবা এবং সান পাবলো লা লাগুনার জুতুইল সম্প্রদায়ের যুবাদের দ্বারা গঠিত। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শতাব্দী জুড়ে সহিংসতা থাকা সত্বেও এই বিশেষ উদ্যোগে তারা একসাথে নাটকের মহড়া করে ও তাদের সম্প্রদায়ের সামনে তা পরিবেশন করে।

তবে মনে হয় গুয়াতেমালায় আদিবাসীদের জন্যে সবচেয়ে চমৎকার, বৈপ্লবী ও উদ্ভাবনমূলক সংস্কৃতির বহি:প্রকাশ হচ্ছে তাদের পোশাক। অনেক মহিলা এখনো হুইপিল [6] নাম্নী ঘরে বানানো ব্লাউজ পড়ে। আপনি একই রকম দুটি পোশাক পাবেন না, এবং মহিলারা তাদের শৈল্পিক পারঙ্গমতার বহি:প্রকাশ ঘটায় নতুন নতুন ডিজাইন তৈরির মাধ্যমে। এইসব ডিজাইনে পাখী ও ফুল দিয়ে আকা নানা রকম গল্প থাকে, যেন একটি চলমান চিত্রপ্রদর্শণী।

যেমনটি সুপাঙ্গো [7] বলেছেন (স্প্যানিশ ভাষায়):

Detengámonos y contemplemos los pequeños e innumerables detalles de la indumentaria indigena, probablemente expanda nuestra visión. Busquemos más belleza y riqueza, y no esperemos que algún extranjero nos las señale.

চলুন থেমে দেখি এইসব আদিবাসী পোষাকের অসংখ্য সুক্ষ্ণ কাজগুলো, এবং এগুলো হয়ত আমাদের মনকে প্রসারিত করবে। চলুন আরও সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধতাকে আবিস্কার করি, এবং আমাদের উচিৎ হবে না সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা যতক্ষণ না পর্যন্ত বিদেশী কেউ এসে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দেয়।