ইরানঃ জেলে থাকা চিকিৎসকদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক প্রচার

alaie গত ৩রা আগস্ট মেক্সিকোতে ১৮তম আন্তর্জাতিক এইডস কনফারেন্স শুরু হয়ছে। সেখানে আসার কথা ছিল দুইজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইরানি এইচআইভি/এইডস বিশেষজ্ঞদের কিন্তু তাদেরকে জেলে ঢুকানো হয়েছে ইরানি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে।

এই দুই ডাক্তার, কামিরা আর আরাশ আলাই দুই ভাই এবং তাদেরকে গত মাসে গ্রেপ্তার করে জেলে স্থানান্তর করা হয় কোন আইনগত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ ছাড়া। তারা সমগ্র মধ্য প্রাচ্যে এইডস সংক্রান্ত শিক্ষামূলক আর ক্ষতি নিরোধক প্রচার শুরু করেছিলেন মাদক ব্যবহারকারী, পতিতা আর জেলের কয়েদীদের মধ্যে।

ইরানি ব্লগাররা সাধারণত: রাজনৈতিক বন্দী আর সামাজিক কর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা করে, কিন্তু তারা আলাই ভাইদের ব্যাপারে বেশ চুপচাপ আছে। অন্য বিষয় নিয়ে বেশি ব্যস্ত? কারন ধারণা করা কঠিন, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে দুই ভাই এর সমর্থনে আন্তর্জাতিক প্রচার শুরু হয়েছে।

মানবাধিকারের জন্য চিকিৎসক সংস্থা একটি ভিডিও প্রচার করেছে ইউটিউবে ইরানি সরকারকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে।

বোস্টন ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল প্রার্থী ক্লিন্ট ট্রাউট ফেসবুকে একটা প্রচার শুরু করেছেন বিশ্বকে এই দুইজনের ব্যাপারে জানাতে। তিনি ফেসবুকে একটা সমর্থক ক্লাব তৈরি করেছেন যেখানে ৩৫০ জনের বেশী সদস্য হয়েছে ইতিমধ্যে। সদস্যরা আলাই ভাইদের সম্পর্কে খবরের একটা লিস্ট এখানে পাবে আর তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে ইরানি স্বাস্থ্য মন্ত্রী আর তাদের নিজেদের দেশে ইরানি রাষ্ট্রদূতদের তাদের সম্পর্কে জানাতে।

ব্লগার জিরখাত একটা স্বাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে এই দুই ডাক্তারের মা জোর দিয়ে বলেছেন রাজনীতির সাথে তারা জড়িত না, আর তাদের কাজ শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক ছিল। এই ব্লগার আরো বলেছেন যে একজন আলাই ভ্রাতা ইরানে এইচআইভিতে আক্রান্তদের হিসাব করেছিলেন যা দুই বছরে ৩০,০০০ থেকে বেড়ে ৭০,০০০ এ দাড়িয়েছে। চার বছর আগে এই সংখ্যা ১০০০০ এ ছিল। ব্লগার বলেছেন যে মনে হচ্ছে যে কর্তৃপক্ষ ছাত্র, শ্রমিক আর মহিলা কর্মীদের এতদিন দাবিয়ে রাখতো, এখন ডাক্তারদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বেশ কিছু ব্লগার যেমন নোখোস্টিন পুন:প্রকাশ করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে লেখা ‘মানবাধিকার এর জন্য চিকিৎসক'দের চিঠি যেখানে তারা তাদের মুক্তি চেয়েছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .