- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভারত: আহমেদাবাদে বোমা বিষ্ফোরণ

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ

ব্যাঙালোরের বোমা হামলার [1] ২৪ ঘন্টার মধ্যে গুজরাতের আহমেদাবাদে আর একটা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে যেখানে শহরের বিভিন্ন অংশে ১৬ টি বোমা বিষ্ফোরিত হয়েছে। ব্যান্গালোরের মতো বিষ্ফোরণ কম শক্তির ছিল আর প্রাথমিক সংবাদে জানা যাচ্ছে যে ১৮ জন মারা গেছে [2]কিশলয় [3] লিখেছেন:

আমার ভয় ঠিক প্রমাণিত হয়েছে, ব্যাঙালোর বিষ্ফোরণের কাছাকাছি সময় – শনিবার সন্ধ্যায় বেশ কিছু বোমা বিষ্ফোরণ আহমেদাবাদকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাঙালোরের বিষ্ফোরণের মত এটিও কম শক্তিশালি ছিল। ১০০ এর বেশী লোক আহত হয়ে হাসপাতালে আছে।

নিরাপত্তার অভাব নিয়ে মিউজিং ফ্রম চেন্নাই [4] লিখেছে:

স্থানীয় সরকারের উচিত পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়ন করা, তাদেরকে সিসিটিভি ক্যামেরা দেয়া, ফোন মনিটরিং করা আর সবার আগে তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া যাতে তারা অন্য কাজ না করে অপরাধ দমন করতে সময় দিতে পারে।

আমি স্থানীয় সরকারকে দোষ দেয়ার কোন কারন দেখি না – আমি স্থানীয় এজেন্সি কর্তৃক বিভিন্ন রাজ্যে প্রেরীত সতর্কতা বার্তা পাঠানোর কোন মানে দেখি না – এগুলো রুটিন সর্তকতা – যার কোন মূল্য নেই।

পাগালগাই [5] নামে একটা ফোরামে একজন ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করেছে যে ভারতীয় শহরে এতো কম সর্তকতা ব্যবস্থার জন্য কে দায়ী:

কিন্তু আমরা কি আসলে মনে করি যে তাদেরকে এইসব বিষ্ফোরণ এবং হিংস্রতার জন্য দায়ী করা যায়? নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষে কি আমাদের দেশের ১০০ কোটি নাগরিকদের নজরদারি করা সম্ভব? দায়িত্বশীল ভারতীয় হিসাবে আমদের কি কোন দায়িত্ব নেই? এই ধরনের অবস্থায় আমরা কি করব? এটা কি ঠিক যে ঘটনার পর কিছু কথা বলে আবার আগের মতো জীবনে ফিরে যাওয়া?

ইন্ডিয়ামাইক [6] নামে আর একটি ফোরামে একজন ব্যবহারকারী, যে বিষ্ফোরণস্থলের কাছে ছিল, লিখেছে:

আমার বাড়ি (মানিনগর) এর কাছে একটা খুব জোরে শব্দ শুনলাম আর অমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কিসের শব্দ? এখন টিভিতে খবর দেখছি। আমার ভায়রা বিষ্ফোরণ স্থলের খুব কাছে থাকে। সৌভাগ্যবশত: পুরো পরিবার নিরাপদ আছে । এর আগে বিষ্ফোরণ নিয়ে কখনও চিন্তা করিনি।

টিভিতে সাম্প্রতিক সব খবর ও চিত্র দেখাচ্ছে এবং গতকালের মতই অনেকে টুইটার ব্যবহার করে খবর দিচ্ছে। সিয়াব [7] নামে একজন টুইটার ব্যবহারকারি জানাচ্ছে – “আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটা দেখ: সংবাদ মাধ্যমে খবর আসার আগে থেকেই মানুষ এটি সংক্রান্ত তথ্য (ইন্টারনেটে) দেয়া শুরু করেছে..।” ওদিকে রেট্রিবিউশনস [8] জিজ্ঞেস করছেন কেন বোমা বিস্ফোরণের পর জাতিগত শান্তির ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।


ইন্ডিয়ান রাক্সা
নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারটি তুলে ধরার ব্যর্থতা নিয়ে লিখছে এবং দেখাচ্ছে এই ধরনের একটি আক্রমনের পর সাধারণত: কি ঘটনাগুলো ঘটে:

* মুল আক্রমণ
* শান্ত থাকার জন্যে আহ্বান
* নিন্দা জ্ঞাপন
* অন্যের উপর দোষ চাপানো
* ‘বিদেশী হাত’ আছে এটি সন্দেহ করা
* কিছু গ্রেফতার

…অনেক বছর বিচার কার্য চলার পর গ্রেফতারকৃতদের সাজা হয়, তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া হয়, এগুলো সরকারী অফিসের ফাইলে পরে থাকে। ওদিকে এই বিচার আরও ক্রোধ এবং সমালোচনার জন্ম দেয় যা আরও এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে প্ররোচনা দেয়। পরবর্তীতে কোন প্লেন হাইজ্যাক বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের (অথবা তার সন্তানদের) অপহরন করার পর বিনিময় হিসেবে চাওয়া হয় এইসব গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, এবং ছাড়া পাওয়ার পর এরা আবার এইধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করে।