- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভারত-আমেরিকা পারমানবিক চুক্তি নিয়ে বিতর্ক

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পরিবেশ, রাজনীতি

বিগত কয়েক মাসে ভারতে উত্তপ্ত বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে আমেরিকার সঙ্গে আসন্ন পারমানবিক চুক্তি [1] নিয়ে। এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্যে প্রধানমন্ত্রী মানমোহন সিং [2] খুব জোরেসোরে লেগেছিলেন। আদতে, কোন কোন বিশ্লেষক এবং পর্যবেক্ষক মন্তব্য করছেন যে জনাব সিং এমনকি অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্যেও তৈরি যদি দরকার হয়।

বামপন্থী দলের [3] নেতা কমরেড প্রকাশ কারাট, যিনি বর্তমান ক্ষমতাশীন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিশন নেতা, আমেরিকার সাথে এই চুক্তিতে যেতে আগ্রহী নন। দ্যা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল ব্লগ [4] লিখছে:

তারপর হঠাৎ করে, যেমন বাক্স থেকে যাদুমুর্তি বের হয়ে পরে, তেমনি কংগ্রেস ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বোকা বানিয়েছে।

বামপন্থীদের করনীয় এখন কি আছে? তাদের সর্বোচ্চ সংখক সংসদ সদস্য আছে (৫৯ জন), কিন্তু কেরালা দ্রুত তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা বদলানোর জন্যে বিখ্যাত, এবং বামপন্থীরা পশ্চিম বঙের স্থানীয় নির্বাচনে কিছূ প্রভাব হারিয়েছে যা বলে দেয় যে পরবর্তী নির্বাচনে সংসদে বামপন্থিদের সিট কমবে। এমন কি এখনই মনে হচ্ছে যে তাদের বক্তব্যের আর কোন দাম নেই।

গত সপ্তাহে সংসদে সরকার এ বিষয়ে সমর্থন হিসেবে তাদের দরকারী ভোট পেতে সক্ষম হয়েছে বামপন্থীদের নিমরাজী সত্বেও।

টাচবেইস [5] একটি সংক্ষিপ্ত পোস্ট দিয়েছে যা ভারত-আমেরিকা পারমানবিক চুক্তি এবং কেন ভারতীয় বামপন্থীরা এর বিরোধিতা করছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছে। এই ব্লগ বলছে:

এই চুক্তির অনেক সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে যখন জাতীয় সুরক্ষার ব্যাপারটি আসে। কিন্তু সাথে সাথে এটি ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তির ক্ষুধা নির্বৃত্ত করার চেষ্টা করবে।  তাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে এই সংখ্যালঘু সরকারের জন্যে এটি একটি জটিল সময় ।

অধ্যাপক টি টি রামমোহন বিগ পিকচার [6] ব্লগে বলছেন ভারত-আমেরিকা পারমানবিক চুক্তি দেশপ্রেমের একটি পরীক্ষা হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি পারমানবিক চুক্তি নিয়ে দুটি বিপরীতধর্মী মতবাদ দেখিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন যে:

চেলানী ঠিক বলছেন। এই চুক্তি চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি মোকাবেলায় আমেরিকার সাথে একটি কৌশলগত  মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপন   এবং একে রাজনৈতিক এবং কুটনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্যে শক্তি উৎপাদনের নিমিত্ত বলে দেখানো হচ্ছে। এই কৌশলগত মৈত্রী সম্পর্কের আসল সুবিধা বোঝা যাবে যখন বেশ কিছু দ্বৈত ব্যবহার্য পারমানবিক প্রযুক্তি ভারতের কাছে স্থানান্তরিত হবে এবং ভারতের পারমানবিক স্ট্যাটাসের পরিবর্তন না হলে এই স্থানান্তর সম্ভব নয়।

আমেরিকার কংগ্রেসে এই চুক্তি পাশ করার আগে আরও বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এই ধাপগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি এজেন্সি এবং পারমানবিক সরবরাহ দল এর সমর্থন লাভ।