জিজু ফ্রম জেরবা সম্প্রতি তার পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন [ফরাসী ভাষায়] সুহিল ফতুহকে, যাকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন “অবশ্যই সব থেকে ইহুদি ঘেষা আর ইজরায়েলের প্রশংসা করা একজন তিউনিশিয়ান আরব”। ফতুহ এমন একজন লোক যার দৃষ্টিভঙ্গী, তিউনিশিয়ানদের পক্ষে অগতানুগতিক, যা জিজুর পাঠকদের একটু বিব্রত করেছে।
জিজু বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত ফতুহ'র কয়েকটা লেখার সাথে লিঙ্ক করেছেন যার মধ্যে সাম্প্রতিক আইডেন্টিটজুভি.কম এর একটা লেখা আছে যেখানে তিনি ইজরায়েল আর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বলেছেন:
আমি আরব বিশ্বের একজন স্বাধীন লোক যে ইহুদীদের পছন্দ করি যেহেতু তারা প্রথম একেশ্বরবাদ এর কথা বলেছে আর যারা আজকে তাদের নিজেদের ভূমিতে বিতর্কিত। আমার ছেলেবেলায় আমি জানতাম না যে ইহুদি বলতে আসলে কি বোঝায়। আমি কখনো কোন ইহুদীকে দেখিনি। আমি শুধু জানতাম যে ইহুদীরা ভয়ঙ্কর সেনা যারা ফিলিস্তিনি আরব শিশুদের হত্যা করতে চেয়েছে আর তাদের বাড়ি ধ্বংস করতে চেয়েছে…
… আমি বুঝতে পারি যে কি পযায়ে আরব বিশ্বকে ভুল তথ্য দেয়া হয়… আমার দু:খ লাগে প্রচার, ভুল তথ্য, ঘৃণা আর খারাপ হতে থাকা ইহুদীবিদ্বেষ দেখে যা আমি আমার ছেলেবেলায় দেখেছি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
সন্ত্রাসবাদ কোন দুর্ঘটনা না, এটা অফিসিয়াল নীতি আর জিহাদের সংস্কৃতির অংশ, গত শতক থেকে মুসলিম বিশ্বের পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা… যারা ঘৃণা কররে তারা খুব ভালো করে শিখেছে পশ্চিমের দুর্বলতাকে ব্যবহার করা আর এই লক্ষ্যে ইসলামোফোবিয়া (ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভীতি) এর মত শব্দ ব্যবহার করা।
আর একজায়গায় তিনি প্যালেস্টাইনের সত্যিকারের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করেছেন:
এটার অস্তিত নেই ! এটা একটা ধারণা। একটা ধারণা? হ্যা, একটা ছুরি নিয়ে তার ছুরি আর হাতল বাদ দিলে যা থাকে তেমন ধারণা। ইহুদী-খ্রীস্টান ইতিহাস ছাড়া এদের আলাদা কোন ইতিহাস নেই, আর এক শতকের বেশী সময় ধরে ওখানে ইহুদি ছাড়া আর কোন লোকও নেই। এটা একটা ধারণা।
আর রনকন্ত্রেজুডাইকেসফাম ব্লগে এক লেখায় তিউনিশিয়ায় ইহুদিদের ইতিহাসের ব্যাখ্যা করা হয়েছে কি করে পশ্চিমাকরনের ফলে (বা আরো ঠিক করে বললে ফ্রেঞ্চকরনের ফলে) আরব আর ইহুদিদের মধ্যে কর্তৃত্বের হিসাব কি করে প্রথমবারের মত সমান হতে পারে’ ‘মুস্লিমদের কয়েক শতকের শাসনের’ পর যেহেতু ইহুদিরা আগে ফ্রেঞ্চ সংস্কৃতি আর পোশাকের ধরন গ্রহন করেছে।
জিজুর পাঠকরা মন্তব্য করেছে:
প্রোফিলো লিখেছেন:
… এটা একেবারেই আত্মকেন্দ্রিক, যদি বলা হয় যে ইহুদিরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক ছিল প্রোটেক্টোরেট মিথ্যা হওয়ার আগে আর এটা ইতিহাসকে অবজ্ঞা করবে যখন (ইহুদি আর মুসলিম) তারা কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া বসবাস করত একসাথে যা সকল সত্যিকারের ঐতিহাসিক সত্যায়ন করেছেন…
সুফিন লিখেছেন:
তথ্যের এইসব সংস্করন পড়ে, সুহিল শয়তানের প্রতিমুর্তি ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। এটা প্রমান করে যে সে শুধু মিডিয়ার নজর চাচ্ছে। আফাক পত্রিকায় তার সাক্ষাৎকার তাকে নায়ক করে দিয়েছে।
শিরাজ:
আসলে সাক্ষাতকারটা হাকেক ম্যাগাজিন (আরব সংস্করন) প্রকাশ করেছিল। ঠিক আছে, ফতুহ এর নিজের স্বাধীন মতামত থাকতে পারে কিন্তু যা আমাকে আঘাত করেছে তা হলো যে সাংবাদিক তাকে যখন প্যালেস্টিনি শিশুদের নিয়ে প্রশ্ন করেছে যারা ইজরায়েলি সেনাদের বর্বরতার শিকার হয়েছে, ফতুহ বলেছেন যে এটা হামাসের দোষ আর তিনি সিরোট (ইজরায়েলি গ্রাম যা গাজার রকেট হামলার শিকার হয়েছে) এর শিশুদের কথা চিন্তা করছেন!
জিজুই এর বক্তব্য? “বাক স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক!”