সামরিক অভ্যূত্থানের ষড়যন্ত্রের উপর এক সাম্প্রতিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল মালাউইর ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট বাকিলি মুলুজিকে ধরে গৃহবন্দী করেছে। লিলোঙ্গেতে থাকা সাংবাদিক ব্রাইট সোনানি কামুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঘটনার চাক্ষুষ বিবরণ দিয়েছেন। এখান থেকেই মুলুজিকে ধরা হয়েছিল যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পথে:
বিকাল ২.৪৫ মিনিটের দিকে কামুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাটকীয় গ্রেপ্তারের পর, ইউডিএফ এর চেয়ারম্যানকে বাইরে অপেক্ষমান মালাউই সেনাবাহিনির ১৬ আসন বিশিষ্ট ডোরনিয়ার প্লেন এ করে দ্রুত ব্লান্টায়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। মুলুজির ছেলে আতুপেলে নিশ্চিত করেছে যে তার বাবাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সরকার গতকাল এই গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তাৎক্ষনিক ভাবে কোন কথা বলে নি যদিও এই গ্রেপ্তারের ঘটনা লিলঙ্গোয়ে শহরের ভিতরে ইউডিএফএর সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে আর তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বিশেষ করে কিয়াতে যাওয়ার বন্ধ রাস্তায়…
“তারা ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নেই, তারা তাকে বিমানবন্দরের বাইরে যেতে দেয় নি, তারা তাকে একটা মিলিটারী প্লেনে করে কোন গুপ্ত জায়গায় নিয়ে যেতে চেয়েছে,” আতুপেলে বলেছে, যে একমাত্র ইউডিএফএর শীর্ষ রাজনীতিবিদ আর মুলুজির কাছের মানুষ ছিল যাকে তার গ্রেপ্তারের পর বিমানবন্দরে ঢুকতে দেয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পরই পুলিশ এসে তার নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে নিয়েছে।
মুলুজির গ্রেপ্তার ৮জন শীর্ষ বিরোধী রাজনৈতিক নেতার গ্রেপ্তারের পর হয়েছে যারা এখন জামিনে আছে।
মালাউইর প্রেসিডেন্ট বিঙ্গু ওয়া মুথারিকা জাপানে আফ্রিকার নেতাদের একটা সম্মেলনে আছেন।
সাম্প্রতিক এই গ্রেপ্তার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসব যখন হচ্ছে, একজন মালাউইর ব্লগার ইন্টারনেট পোল করে দেখছেন যে মালাউইয়ানরা এই ঘটনাকে কি ভাবে দেখছে।