পেরুঃ আঞ্চলিক শীর্ষ-বৈঠক আয়োজকের ভূমিকায় লিমা

সম্প্রতি ৫ম ল্যাটিন আমেরিকা-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন শীষ-বৈঠক (স্প্যানিশে সংক্ষেপে যাকে এএলসি-ইউই বলে) [স্প্যানিশে] পেরুর রাজধানী লিমাতে অনুষ্ঠিত হল। প্রতি দু'বছর পর মে মাসে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ উক্ত অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের একত্রিত হবার সুযোগ দেয়। ১৯৯৯ এর জুনে রিও ডি জ্যানেরিও তে অনুষ্ঠিত প্রথম শীর্ষ-বৈঠকের ঘোষণা ও কর্মপদ্ধতি অনুসারে কৌশলগত ও দ্বি-আঞ্চলিক যোগসূত্রকে ভিত্তি ধরে এই শীর্ষ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক সমন্বয়, দারিদ্রতা বিমোচন, সমতা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সামাজিক ন্যায়বিচার প্রশ্নে অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয় এই সভায়। এবার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ফোরামের আন্তর্জাতিক শীর্ষ-বৈঠকের আয়োজকও হবে লিমা।

ব্লগারবৃন্দ স্পষ্টতই এ বিষয়ে লিখছেন, যেমন মেনোসাকানাস [স্প্যানিসে] এর লরা আরঅও পেরুতে এমন শীর্ষ-বৈঠক আয়োজনের সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরেছেন।

Un buen porcentaje de la ciudadanía se encuentra indiferente frente a estos acontecimientos, otro grupo (significativo también) se siente algo enojado pues además del hecho de percibir que el desarrollo de estas cumbres nada tiene que ver con ellos, encima crean caos y desorden; finalmente, hay algunos pocos que se identifican con ambas y las ven como algo positivo.

Creo que debemos ver las cumbres como una oportunidad. Las cumbres causan impacto pese a que muchos sientan que no hacen la diferencia y se trata de eventos protocolares que se quedan justamente en eso: el protocolo. Es preciso no simplificar el asunto. El hecho de que el Perú sea sede implica, justamente, que los ojos del mundo estén prestando atención a nuestro país. Por otro lado, la cantidad de jefes de estado que vendrá al país, ha fomentado que muchos hoteles se adecuen a estos inusuales e importantes huéspedes.

নাগরিকদের বিরাট একটা অংশ এমন সব অনুষ্ঠানের বিষয়ে উদাসীন, আরেকটি অংশ (সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য) ক্ষুব্ধ এজন্য যে এসব শীর্ষ-বৈঠকে তাদের কোন লাভ নেই। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও আইন ভাঙে। কেউ কেউ আছেন যারা এমন ভাবলেও এর মধ্যে কিছু ইতিবাচক বিষয় খোঁজে।

আমরা অবশ্যই এই শীর্ষ-বৈঠক কে একটা সুযোগ হিসেবে দেখবো। শীর্ষ-বৈঠকের একটা প্রভাব আছে যদিও অনেকেই মনে করেন তা কোন পরিবর্তন আনে না এবং চরিত্রগত ভাবে এগুলো সব আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে কারো এটাকে সরলীকরণ করে ফেলা ঠিক হবে না। এটা সত্য যে পেরু এই শীর্ষ-বৈঠকের আয়োজক হওয়াতে বিশ্বের দৃষ্টি পেরুর দিকে নিবদ্ধ হয়েছে। অন্য দিকে অসংখ্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এদেশে আসায় হোটেলগুলো অভাবনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অতিথি আপ্যায়নে পারদর্শী হচ্ছে ।

কিন্তু সবারই অনুকূল মন্তব্য নয়, উদাহরণসরূপ, এল গ্রান কম্বো ক্লাব [স্প্যানিসে] এর কার্লোস মেজিয়া শীর্ষ-বৈঠক এবং এত অল্প সময়ে আসলে কতটুকু কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন:

¿Puede alguien sostener que en tres días los presidentes de tantos países pueden alcanzar algún acuerdo realmente significativo? Una hipótesis: los poderes fácticos, aquellos que definen las políticas que afectan realmente a los ciudadanos no se reúnen en estas cumbres de prensa internacional y alfombras rojas. Los presidentes o mandatarios que aún detentan un poder soberano son precisamente los que menos vienen a negociar o deliberar a estas Cumbres. Están para el show y nada más (…) En ese sentido, uno no puede esperar cambios o giros en espacios como esta Cumbre.

কেউ কি বলতে পারেন যে মাত্র তিন দিনে এত গুলো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সত্যিই কোন উল্লেখ্যযোগ্য সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে? আগে থেকেই ধরে নেয়া যায়, বর্তমানে যে শক্তিগুলো মানুষের জীবনে ভালো-মন্দের প্রভাব ফেলা নীতিসমূহ নির্ধারণের ভূমিকায় অবতীর্ণ তারা আন্তর্জাতিক প্রেস ও লাল গালিচা সহ এসব শীর্ষ-বৈঠকে যোগদান করে না। এখানে অবশিষ্ট সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রপতি ও নেতারা আসে সমঝোতা বা পরামর্শের জন্য। লোক দেখাতেই আসে; আর কিছুই নয় (……)। এসব শীর্ষ-বৈঠকের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আসলে কেউ বড় কোন পরিবর্তন কেন সামান্য পরিবর্তনও আশা করতে পারে না।

মেট পাস্তর [স্প্যানিসে] এর জুয়ান সেপুট রাষ্ট্রপতি এ্যালান গার্সিয়ার উদ্বোধনী ভাষণের সমালোচনা সংক্ষেপে দিয়েছেন এবং শীর্ষ-বৈঠক আয়োজনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কিছু সমালোচনা সংগ্রহ করেছেন:

El País, el principal diario de España, indica respecto a la V Cumbre ALC-UE lo siguiente: “Un clima devaluado por importantes ausencias europeas, como la del francés Nicolas Sarkozy, el británico Gordon Brown y el italiano Silvio Berlusconi. Y muy enrarecido tras los reiterados ataques personales del presidente venezolano, Hugo Chávez, contra la canciller alemana, Angela Merkel, y la entrada en la escena del boliviano Evo Morales, que ha lanzando duras acusaciones contra Colombia y Perú, el anfitrión de la cumbre, por su política internacional.” La noticia completa la pueden leer haciendo click aquí. En tanto Clarín de Argentina da cuenta de la protesta de Greenpeace en Machu Picchu.

স্পেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা এল পেইস ভি শীর্ষ-বৈঠক এএলসি-ইউই সন্বন্ধে লিখেছে: “শীর্ষ-বৈঠকের গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে ফ্রান্সের নিকোলাস সারকোযি, ব্রিটেনের গর্ডন ব্রাউন এবং ইতালীর সিলভিও বাররুলকোনি মত ইউরোপের প্রধান নেতাদের অনুপস্থিতিতে। এবং এটা ভীষণ অসমর্থনযোগ্য যে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি হুগো শ্যাভেজ জার্মানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রী এনজেলা মার্কেলের বিরুদ্ধে বারবার ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন এবং কলম্বিয়া ও শীর্ষ-বৈঠকের আয়োজক পেরুর আন্তর্জাতিক নীতির তীব্র সমালোচক বলিভিয়ার ইভো মোরালস মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন”। পুরো লেখাটা এখানে শোনা [স্প্যানিশে] যাবে। আর্জেন্টিনার পত্রিকা ক্লারিন মাচু পিসুতে অনুষ্ঠিত গ্রীনপিচ প্রতিবাদ সম্বন্ধে লিখেছে।

ব্লগুইয়ারগুইয়া (স্প্যানিসে)র জোস তালাভেরা তার মতামত এবং শীর্ষ-বৈঠকের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন:

Cuestión aparte es lo que tuvieron que pasar varios voluntarios (entre ellos yo), que más que ser parte de la desorganización, la sufrieron: algunos sin acreditaciones hasta el día miércoles, otros sin uniforme, o uniformes no hechos a la medida. En plena cumbre, la duplicidad de funciones, el desperdicio de horas-hombre, horarios inhumanos (vg. 13 horas parados en la entrada de un hotel), sin siquiera un pequeño refrigerio: muchos tuvieron que poner de su propio dinero para comer, y las zonas aledañas a los hoteles y al Museo de la Nación no se caracterizan precisamente por ser baratos. En conclusión, muchos voluntarios que fueron con ganas de ayudar se sintieron simplemente defraudados.

কিছু স্বেচ্ছাসেবকদের (যার মধ্যে আমিও আছি) যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তা হলোঃ অব্যবস্থাপনার জন্য অনেকেই বুধবার পর্যন্ত তাদের পরিচয় পত্র পায়নি, বাকীরা ইউনফর্ম ছাড়াই বা ফিট হয় না এমন পোষাকে গিয়েছে। শীর্ষ-বৈঠকের মাঝামাঝি অবস্থায় একই কাজ পুনরায় করিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছে। অমানবিক সময় ধরে খাটানো হয়েছে (উদাহরণসরূপ হোটেলের সামনে ১৪ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা), এমনকি সামান্য নাস্তাটুকু দেয়া হয়নি। অনেককে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে খেতে হয়েছে এবং এই হোটেল ও জাতীয় যাদুঘরের আশেপাশে কম মূল্যে কিছু জোটে না। পরিশেষে অনেক স্বেচ্ছাসেবক সাহায্য করার উদ্দেশ্যে গেলেও অসন্তুষ্টি নিয়ে ফিরেছে।

সর্বশেষে, নাটুয়া [স্প্যানিসে] ব্লগের জিওভান্নি লামারকা সংকলন করেছেন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এবং ব্লগগুলোতে প্রকাশিত শীর্ষ-বৈঠকের খবর। এটা উল্লেখ করা উচিত যে নেতাদের শীর্ষ-বৈঠক যখন অনুষ্ঠিত হয় তখন জনগণের এএলসি-ইউই অথবা সম্মেলন-বিরোধী ৩য় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেড্রো ভিলকাপাজাতে [স্প্যানিসে] লুইস অরিহুয়েলা শীর্ষ-বৈঠকের চূড়ান্ত ঘোষণা তুলে ধরেছেন:

Exigimos a los gobiernos atender efectivamente las demandas de los pueblos por construir otro tipo de relaciones entre las regiones, basadas en la superación del modelo de mercado. Hacemos un llamado a la población a no dejarse engañar más por gobiernos autoritarios que pretenden criminalizar la justa protesta civil. Instamos a los habitantes de América Latina, el Caribe y Europa a sumarse a la fuerza cada vez mayor de organizaciones que buscan un mundo mejor para todos, y así estar a la altura de los desafíos que hoy enfrenta la humanidad.

বাজারের আদর্শ পচে যাওয়াকে ভিত্তি ধরে অঞ্চলগুলোর মধ্যে নতুন এক ধরণের সম্পর্ক তৈরী করে জনগনের দাবী কার্যকরভাবে পূরণ করার আহবান রইলো উক্ত অঞ্চলগুলোর সরকার প্রধানদের প্রতি। জনগণকে আহবান করি যেন বেসামরিক প্রতিবাদকে সরকার অপরাধ হিসাবে শনাক্ত করে আপনাদের বোকা বানাবোর সুযোগ না পায়। ল্যাতিন আমেরিকা, ক্যারেবিয়া ও ইউরোপের জনগণকে আমরা আহবান জানাই সংস্থার ক্রমঃবর্ধিত শক্তির সাথে যোগ দিতে যা সবার জন্য শ্রেষ্ঠতর বিশ্ব তৈরী করবে এবং মানবতার বর্তমান প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .