রাশিয়ার আলোকচিত্রী ওলেগ ক্লিমভ ( রাশিয়ার পূর্বান্চলে তার ভ্রমণ কাহিনীর অনুবাদ এখানে আর এখানে পাওয়া যাবে) মস্কোর বাইরে একটা বানিজ্যিক গ্রীনহাউস এ গিয়েছিলেন আর রাশিয়ার রাজধানীতে পাওয়া যাওয়া গোলাপের জন্মস্থান সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা এখানে লিখেছেন (রুশ ভাষায়):
উপহার হিসাবে ফুল দেয়াকে রোম্যান্টিক মনে করা হয় কেন? আমি পডমোস্কোভইয়েতে গিয়েছিলাম, দেখেছি সেখানে তারা কিভাবে গোলাপের চাষ করে। সোজা। ডাচ প্রযুক্তি। ব্যয় বহুল। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কারী মনে হয় মাফিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করছে: কালো জুতা, কালো জিন্স, কালো চামড়ার জ্যাকেট আর একটা কালো বিমার। আসল মালিক [পুতিনের সম্মিলিত রাশিয়ান দলের] একজন ডেপুটি, এখনও একজন ব্যবসায়ী, কিন্তু ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদও হবেন, বা আসলে দুটোই। ইঞ্জিনিয়ার আর কৃষিবিদ ডাচ। শ্রমিকরা [অভিবাসী কর্মী] আর তাদের অধিকার আর সম্মান মস্কোর [কুরস্কি ট্রেন স্টেশন] বেকারদের থেকে কম। আর এর সাথে তাদের বেতন – ‘ভগবান যা দেন’ । একটা গোলাপের দাম ফার্মে ৩০-৪০ রুবেল [১.২৫ -১.৭০ মার্কিন ডলার] আর মস্কোতে ১৩০-১৪০ রুবেল [৫.৪৫-৫.৯০ মার্কিন ডলার]। তারা যা উৎপাদন করে সব মস্কোতে চলে যায়। যথেষ্ট ফুল নেই। ব্যবসা বেশ সফল হয়েছে আর বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফলগুলোকে চার্চে পাঠানো হয়। বিনা মূল্যে। অবশ্যই তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার এক ধরনের উপায়। ভগবান বাজারে যান নি, তাই ক্ষতিটা বুঝতে পারবেন না।
[অভিবাসী কর্মীরা] রাশিয়ান প্রায় বলতে পারে না। তারা প্রায় বেআইনিভাবে কাজ করে, আর দেশে তাদের অবস্থান খুব বেশী অফিসিয়াল না, কিন্তু এটার খোঁজ নেয়া কষ্টকর।
তাজিকিস্তান থেকে একজন মহিলা যার হাত গোলাপের কাটায় ক্ষত বিক্ষত আমাকে রাশিয়ানে বলল ”আমি ফুল ভালবাসি, তারা আমার জন্যে আশা।’ অদ্ভুত লাগছিল এইসব চুপচাপ আর কষ্টে রাখা মানুষদের দেখে – যেন মধ্যযুগ থেকে এদের আনা হয়েছে- উচ্চ-প্রযুক্তির পাশাপাশি এরা কাজ করছে। আর আমি বুঝতে পারি না মহিলারা কেন দাসত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছু পছন্দ করে: হীরা, সোনা আর ফুল।