জাপান: ব্লগাররা তিমির মাংশ চুরিতে গ্রীনপিসের ভূমিকা সমালোচনা করেছে

এ সপ্তাহে গ্রিনপিস জাপানের খ্যাতি কিছুটা পড়ে গেছে একটা খবর প্রকাশের সাথে সাথে যে সংস্থাটি তিমি বিষয়ক গবেষণায় নিয়োজিত একটা জাহাজের ক্রু-দের তিমির মাংশ চুরির ঘটনা উন্মোচন করতে নিজেরাই তিমির মাংশ চুরি করেছে প্রমাণ হিসাবে সংরক্ষণের জন্য। তিমির মাংশের বাক্স উদ্ধারের জন্য গ্রিনপিচের সদস্যরা টোকিওর একটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিতরণ স্থলে বিনানুমতিতে গত ১৫ই এপ্রিল অনুপ্রবেশ করেছে। গ্রিনপিস সর্বমোট সাড়ে তেইশ কেজি তিমির মাংশ উদ্ধার করেছে, যার মূল্য ১ লাখ থেকে ৩ লাখ ইয়েন (প্রায় ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ডলার হবে)। কিয়োডো সেনপাকু কাইশা লিমিটেড এর বারো জন ক্রু শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রপ্তানী করার চেষ্টা করছিল।


১৫ই মে গ্রিনপিসের তিমির মাংশ উদ্ধারের খবর প্রচারিত হয়েছে

“গ্রীনপিসের কার্যক্রম (যেমন বিনানুমতিতে অনুপ্রবেশ) অবৈধ নয় যেহেতু তারা চুরির অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছিল”- গ্রীনপিসের প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবি এমন দাবী করলে ব্লগাররা তা ভালভাবে গ্রহণ করেন নি, উপরন্তু, তারা একটা অপরাধকে তুলে ধরতে আরেকটি অপরাধ সংগঠনের দ্বৈত আচরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ব্লগার কিওতানি লিখেছেন:

捕鯨関係者の脇も甘かったわけですが、このような行為が法治国家で許されるわけはありません。
そのような主張が通るのであれば我々はグリーンピースやその顧問弁護士の犯罪を暴くためには事務所に押し入って書類を押収したり、グリーンピースのメンバーや弁護士を拉致監禁して、自白を強要することも「合法」ということになります。
 今回の騒動ではグリーンピースが環境テロリストかつ犯罪集団であることが明らかになったわけです。当局は破防法をこの団体に適用すべきです。極左暴力集団やオウム真理教と大同小異です。

তিমি কর্তৃপক্ষের বেশ অমনযোগীতা রয়েছে বটে কিন্তু গ্রীনপিসের এমন কাজ একটা আইনানুগ দেশে কোন ভাবেই অনুমোদন করা যায় না।

যদি এই ধরণের দাবী চলতে দেয়া হয়, তাহলে এটা ক্রমশ বৈধ হয়ে যাবে, এমনকি গ্রিনপিচ ও তাদের আইন বিষয়ক উপদেষ্টাদের অপরাধ উন্মোচনের জন্য তাদের দপ্তরে অনুপ্রবেশ করে জিম্মি বানিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য কেউ চেষ্টা চালাতে পারে।

এই কেস সন্বন্ধীয় গুঞ্জন শুনে এটা ক্রমশ:ই স্পষ্ট হচ্ছে যে গ্রিনপিস পরিবেশ- সন্ত্রাসী, একটা অপরাধী চক্র। কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এই সংস্থার বিরুদ্ধে এন্টি-সাবভারসিভ অথোরিটিস এ্যাক্ট প্রয়োগ করা। মূলত এরা ভয়ংকর চরম বাম সংগঠন কিংবা অম শিনরিকিওন ধর্মীয় চক্রের মতই।

ব্লগার গুটডক, ইতোমধ্যে, উইকিপিডিয়াতে জাপানের তিমি গবেষণা পড়ে ফেলেছেন এবং উদ্ধৃতি করেছেন সেখান থেকে:

「捕獲調査の副産物は有効利用が条約で義務付けられている」
「一般販売のほか学校給食などの公益事業に供され、その収入は調査捕鯨の費用に充てられている」

“গবেষণার জন্য ব্যবহৃত তিমির উপজাতের ফলপ্রসু ব্যবহার নিশ্চিত করতে চুক্তিগুলোতে একটা বাধ্যবাধকতা আছে।”
“স্কুলের মধ্যহ্নভোজনে এবং এমনতরো আরো অনেক জায়গায় সাধারণ বিক্রয় ছাড়াও (এমন উপজাত) বিতরণ এবং এর মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা পুনরায় তিমি গবেষণায় নিয়োজিত করতে হয়।”

ব্লগাররা এরপরে লিখেছেন যে ১০ থেকে ২০ কেজি তিমির মাংশ একটা পরিবারের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বটে – তারপরেও গ্রিনপিস তাদের কার্যকলাপ দিয়ে বিশ্বাস জাগাতে পারে না:

だからといって、グリーンピース・ジャパンの行為が許される訳ではありません。
明らかに犯罪です。
少なくとも、この運送会社の信頼を低下させました。
両者とも、法の下間違いのないように処断されることを望みます。

তবে এই যেহেতু ঘটনা এর অর্থ এই নয় যে গ্রীনপিসের কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে।
অবশ্যই এটা একটা অপরাধ।

একেবারে ক্ষুদ্রার্থে, তারা এই জাহাজ কোম্পানীর বিশ্বাসকে অসম্মান করেছে। আমি আশা করবো উভয়কেই বিচার করা হবে আইনের ভুল প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য।

ব্লগার হামাইয়াত্তি অবশ্য গ্রীনপিসের অবস্থানের সাথে একমত পোষণ করলেও তাদের কৌশল পছন্দ করেন নি :

「グリーンピース」の主張について賛同できる面もある。しかし、捕鯨の違法性を訴えながら、自分たちが盗人をしているようなやり方では説得力もなかろう。違法は違法として処罰されるのを覚悟しての主張こそ、その決意が分かろうというもの。摘発のためだから違法ではないと主張するのは、大義のための戦争と変わりはしない。
গ্রীনপিসের দাবীর কিছু বিষয়ে আমি একমত। তথাপি তিমি ধরার অবৈধতা উন্মোচনের জন্য একই সাথে ডাকাতির মত কর্মকান্ডে সমর্থন দিতে রাজী হতে পারছি না। অপরাধের শাস্তি বিধানের জন্য তারা এই অপরাধ সংগঠনের প্রস্তুতি নিয়েছিল – এমন উদ্দেশ্য বোঝা যায়। কোন অবৈধ কর্মকান্ড উন্মোচনের উদ্দেশ্যে এমন কর্মকাণ্ড অবৈধ নয় এমন দাবী একটা লক্ষ্যপূরণের নামে যুদ্ধের সাথে সেটার আর কোন পার্থক্য থাকে না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .