একটি খবর এসেছে যে কতিপয় উর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের একটি অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার অভিযোগে মালাউইতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালাউইয়ান সাংবাদিক এবং ব্লগার কন্ডোয়ানি মুনথালি বলেন যে, মালাউইতে রাজনীতি নাটকীয় মোড় নিচ্ছে এবং রাজনৈতিক উত্তাপ চূড়ান্ত অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তিনি লিলংউই (তার আবাসস্থল) থেকে লিখছেন:
শেষ পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জোসেফ চিম্বাইয়ো, জোসেফ এয়ারোনি, জন চিকাকিউয়া, হামফ্রে এমভূলা এবং কেনেডি মাকওয়াংওলা গ্রেফতার করা হলেও বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান হবে না। আমি দ্বিধান্বিত যে সামরিক কর্মকর্তাদের এমন ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করা নিয়ে। আমাদের অনেকেই সময়ের ইংঙ্গিত দিয়েছিল, দীর্ঘ সময় আগে, কিন্তু আমরা সেটি উপেক্ষা করে ছিলাম।
রাজনৈতিক উত্তাপ চরম পর্যায়ে চলে গেছে, কিন্তু কারোংগাতে মানুষ কোনও খাবার নেই । আমি ছিলাম লিলঙউই কুমাচেংগাতে, যখন একজন সংসদ সদস্য চিৎকার করছিলেন যে তিনি সংসদে যেতে পারছেন না। আমি আনন্দিত ছিলাম যখন বিঙ্গু ডাকলেন আলোচনার জন্য কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুঃখজনক ঘটনা যে তিনি একটি রাজনৈতিক মিছিলে গেলেন এবং প্রকাশ করে দিলেন গোপন ভাবে কি চলছিল। আমি জানি না এখন মালাউই কোথায় যাচ্ছে, গ্রেপ্তার করা এবং ভয় ভীতি প্রদর্শন করা দেখে কামুজার আমল মনে হচ্ছে, গণতান্ত্রিক সরকারের আমল নয় যা ১৫ বছর আগে মানুষ প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমি আশা করি আমার দেশ জেগে উঠবে এবং তাদের বোধোদয় হবে। ভালো নেতৃত্ব ঈশ্বরের দানের চেয়েও বেশী। সংযম এবং ধৈর্য ভাল নেতা তৈরি করে এবং তারা রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায় না। আমি আশা করি পরবর্তী কয়েক বছরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের অনেকের কাছে প্রমাণ করবে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক এবং “অবিসংবাদিত নেতা” হিসেবে স্মরণীয় হবেন যারা সুস্থ রাজনীতির থেকে জনগণের উপর বেশী প্রভাব এনেছিল।
তার দীর্ঘ লেখা “আমার প্রিয় দেশ কাঁদছে ” তে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান রাজনৈতিক উন্নয়ন মালাউইয়ের গ্রামের দরিদ্রদের কোন সাহায্যে আসেনি। একটি সপ্তাহ আগে মুনথালিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এই অভিযোগে যে অনলাইন প্রকাশনাতে রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করার পেছনে তার হাত আছে ।