মালাউই: সাবেক রাষ্ট্রপতির রাজনীতি প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্রিয়া

সম্প্রতি মালউইয়ের ইউনাইটেড ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) এর সম্মেলনে মালয় এর সাবেক রাষ্ট্রপতি বাকিলি মুলুজিকে আগামী বছরের নির্বাচনে তাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছে । তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মালাউইর উপরাষ্ট্রপতি ডঃ কেসিম চিলুম্বফা যিনি রাজনৈতিক প্রতারণার দায়ে বর্তমানে জেরার সম্মুখীন। ব্লগার অস্টিন মাদিংগা এমন বলেন যে, ভুল কারণে মুলুজির রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন করছেন। বিবিসিতে মুলুজির সাক্ষাৎকার শুনে মাদিংগা তার লেখা আরম্ভ করেন । বিবিসির সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন:

যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি মালাউইয়ের রাষ্ট্রপতি হিসেবে কেন প্রত্যাবর্তন করতে চান তার উত্তরে তিনি বলেন বিঙ্গু ওয়া মুথারিক অর্থাৎ মুলিজির উত্তরাধিকারী দলকে আস্তাকুড়ে নিয়ে গেছে যখন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন । তাই তিনি মনে করেন ইউডিএফ কে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে তার প্রত্যাবর্তন প্রয়োজন। এইরকম কারণ শুধু আমাকে গভীরভাবে দ্বিধান্বিত করেনি বরং অন্যান্য সকল যুক্ত আমাকে প্রভাবিত করেছে। মুলুজি স্মরণ করিয়ে দেন যে জনগণ কাউকে ক্ষমতায় বসায় না এজন্য যে অন্যকে শাস্তি দেয়া কিংবা কোন দলকে শুধু সরকারী দল হতে। তারা কর্তৃপক্ষ নির্বাচন করে জনগণের সেবার জন্য আর মুলুজির অতীত ইতিহাস দেখুন ক্ষমতাই এটা মুলুজির বড় লক্ষ্য নয় ।

একজন বিখ্যাত মালাউইয়ান রাষ্ট্রবিজ্ঞান ভাষ্যকার এবং মালাউই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক বুনিফেস দুলানি কয়েক সপ্তাহ আগে মালাউইর রাজনীতি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করার জন্য ব্লগ শুরু করেন। তার সাম্প্রতিক ইউডিএফ সম্মেলন এবং কেন মুলুজি আমার ভোট পেত না শিরোনামে একটি লেখা লেখেন । তিনি তীক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ইউডিএফ এর সম্মেলন এবং মুলুজির পদপ্রার্থীতা হাস্যকর বলে অভিহিত করে বলেন যেখানে প্রতিনিধিদের নিজস্ব কোন পছন্দের গণতান্ত্রিক অধিকার নাই এবং বলেন:

আমি যদি মেনেও নেই যে মুলুজি তার প্রথম দশবছরের শাসনামলে খুব ভালো কাজ করেছেন (তার মানে এটা নয় যে তার অর্জন আমাকে সন্তুষ্ট করেছে) কিন্তু তারপরও আমি এটা গ্রহণ করতে পারি না যে ইউডিএফ আগামী নির্বাচনে এই প্রধান দলকে নেতৃত্ব দেবার মতো আর কেউ নেই। আমরা একভাবে জানি যে মুলুজির রাষ্ট্রপতি হবার সেই গ্রহণযোগ্যতা আছে কেননা তিনি প্রথম এই পদে অধিষ্ঠিত হবার সুযোগ পেয়েছিলেন। এটা এইভাবে দেখা যায় যে রাষ্ট্রটি এবং ইউডিএফ কি, অনেক মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা অর্জন এবং রাষ্ট্রকে সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি ইউডিএফ এর কাছে মুলুজি এতো গুরুত্বপূর্ণ হন তবে তিনি নিজেকে পদপ্রার্থী না করে অন্য একজন পদপ্রার্থীর গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পারতেন।

এখন মালাউই নিয়ে ভিন্ন কিছু কথা। বৎসোয়ানার ব্লগার বেনেট কানকুজি একটি ব্লগ শুরু করেছেন আমি মালয় ভালোবসিশিরোনামে যেটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে আফ্রিকার উষ্ণ হৃদয় খ্যাত মালাউইর ছবির সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেয়া। কেউ যদি মালাউইর সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, এই ব্লগ আপনাকে রাজনীতি এবং অর্থনীতি থেকে স্বস্তি দেবে । নিচের একটি ছবিতে দক্ষিণ মালাউইয়ে চা রোপণ করতে দেখা যাচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .