- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

কম্বোডিয়া: যে বিজ্ঞাপন দৃষ্টি আকর্ষন করেছে

বিষয়বস্তু: ক্যাম্বোডিয়া, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, শিল্প ও সংস্কৃতি

কম্বোডিয়ার একটি দৈনিকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পাঠকদের প্রতিক্রিয়ার চিঠিতে, চাক সোপঈপ (২৩), টেলিভিশনে প্রচারিত একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন [1] এটি জাতীয় সংস্কৃতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে ।

সোপঈপ সংবাদপত্রের অধিকার এবং স্বাধীনতার উন্নতি করার জন্য সরকারের প্রশংসা করেন, তবে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনগুলো প্রচারিত হবার আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তথা তথ্য মন্ত্রনালয়ের সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

এটা প্রথমবারের মতো নয় যে অপ-এড এর মাধ্যমে এক তরুণী মানবাধিকার কর্মী তার মতামত প্রকাশ করল। কিন্তু গতবছর পর্যন্ত যখন তিনি কম্বোডিয়ার ব্লগার সমাজে যোগ দিয়েছিলেন তার সকল চিঠি কম্বোডিয়র ইংরেজী দৈনিক কম্বোডিয়ায় (খেমার রুজের মামলার শুনানী [2] বিষয়ক) প্রকাশিত হয়েছে এবং তার ব্যাক্তিগত ওয়েবলগেও এই লেখাগুলো আছে ।

এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনে দেখা যায় যে বেশ কয়েকজন কম্বোডিয়ান যৌন আবেদনময় নারী আকর্ষণীয় পোষাকে সুজুকি ভিভা ২০০৯ মটরবাইক আলিঙ্গন করে আছে।

আমি খেয়াল করেছি সম্প্রতি প্রচারিত সুজুকি ভিভা ২০০৯ বিজ্ঞাপনটি আপত্তিকর। এই বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য মটরবাইকের চেয়ে যৌন আবেদনময়ী মেয়েটিকে দেখানো। বিজ্ঞাপনটির বিষয়বস্তু সংগতিপূর্ণ নয়, এবং এটি নারীকে অবমূল্যায়ণ করছে ফলে খামার সংস্কৃতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এটি মানূষের জন্যে অপমানজনক কি না এ বিষয়ে একজন জার্মান থমাস ভানহফ, সোপঈপ এর মতামতের উপর মন্তব্য করেন:

যদি কম্বোডিয়া বিশ্ববাজারের অংশ হতে চায়, তবে বিজ্ঞাপনের এই পুরান নিয়মটি গ্রহণ করতে হবে, যৌনতা বিক্রি। শুধু তাই নয় কম্বোডিয়ার পপ সংস্কৃতি পুরোটাই থাইল্যাণ্ডের নকল। কোথায় তবে আসল সংস্কৃতি কোনটি? লক্ষ্য করুন কিভাবে মেয়েরা পোষাক পড়ছে, কেন অনেক কারাওকে বার, ক্যাসিনো, নৈশ পানশালা এমন নাম দিচ্ছে? আপনি যা বলছেন তা থেকে বাস্তবতা অনেক দূরে।

এই বি্তর্কিত বিষয়টি কম্বোডিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগেও আলোচিত হয়েছে এবং দীর্ঘদিন আমেরিকায় বসবাসরত একজন ইমেইল [3] এ বলেছেন,

আমি আপনাকে বলব যে আপনি এই আক্রমণাত্মক বিজ্ঞাপনটির একটি ছবি দেখুন, এটা বিজ্ঞাপনটি খারাপ অংশ থেকে বা ভালো অংশ যেখান থেকেই হতে পারে কিন্তু ঐটুকুই আপনার যুক্তিকে জোড়ালো করার জন্যে যথেষ্ট (এটাকি ইউটিউব এ আছে?)। এবং এটা কোন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে?

এটি আশ্চর্যজনক নয় যে কম্বোডিয়া অনেক গুলো আইন এবং নিষেধাজ্ঞা তৈরি করেছে সামাজিক মূল্যবোধের ও নীতিবোধের উন্নয়ন ঘটাতে। এই বছরের শুরু দিকে দেশের ফার্স্টলেডী “তোমার হৃদয়ের টুকরো চাই” শিরোনামের গানটি টেলিভিশন চ্যানেল গুলোতে আর সম্প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন [4]

২০০৬ সালে সেল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে পর্ণোগ্রাফি ব্যবহার বেড়ে যেত পারে এই আশংকায় কম্বোডিয়া সরকার সেদেশের তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সেবা প্রদানকারী কোম্পানীগুলোর ডিজিটাল ভিডিও আদান প্রদানের ফিচারটি ব্লক করে দেয় [5]

এক বছর পরে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে ২০০৭ এর আঞ্চলিক নির্বাচনের ছুটির সময় এসএমএস এর সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতে। “ডিটেল আর স্কেচি” কম্বোডিয়ার সবকিছু নিয়ে একটি ব্লগ, এই সংবাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলে: [6]

নতুনদের জন্য, সাধারণ মোবাইল টেলিফোনে খেমার অক্ষরের ব্যবহার বাস্তব অর্থেই শোনা যায় না। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সেটি কোন যুক্তি নয়। মূল বিষয়টি হচ্ছে কম্বোডিয়ার জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশই অশিক্ষিত এবং দরিদ্র । তাই দেখা যায় নিষেধাজ্ঞা সাধারণত যারা রেজিষ্টার্ড ভোটার, কিংবা যাদের টেলিফোন আছে কিংবা যারা ইংরেজি পড়তে পারে তারা জেনেছে। সে খুবই ছোট অংশ। তার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। যাই হোক এই রকম লোকজনই স্যাম রাইনসিকে ভোট দিবে। যদিও মনে হয় না এই প্রচেষ্টা কোন কাজ লাগবে।