“সৌদি আরবে কোন সিনেমা হল নেই কেন?” প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছেন সৌদি ব্লগার হাইফা। তিনি কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে সিনেপ্লেক্স ও অণ্যান্য সিনেমা হলগুলোকে তার দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের উপযোগী করা যায়।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন:
ما الذي يمنع وجود دور السينما في السعودية؟ للأسف عادةً يُطرح هذا السؤال في بداية النقاش لتأتي الإجابة لاحقاً متضمنة الأسباب، لكن دون إجابة مقنعة، حيث تضيع الفكرة الرئيسية ونكتفي فقط بمناقشة فكرة دور السينما بشكل عام قبل أن تصبح في السعودية. ما يخطئ به الكثيرين هو الاعتقاد الخاطئ حول فائدة السينما، فالكثيرون يعتبرونها “مجرّد” وسيلة ترفيهية، بينما هي أكثر من ذلك بكثير.. فالسينما وسيلة ثقافية قبل أن تصبح وسيلة إمتاع مثلها في ذلك مثل الكتب. ومايقدّم فيها لا يقلّ أهميّةً عن أي فنّ آخر. وليست الأفلام بالأمر الجديد علينا، فأسواق الفيديو لدينا خير شاهد على اطّلاعنا على هذا الفن، وإن كان هناك نوعٌ من الإحباط في الأفلام التي تزخر بها أسواقنا ذات الطابع الحركي والكوميدي الرخيص نظراً للاحتكار وسيطرة التجارة في هذه المسألة. الخشية تكون دائماً من المحتوى لا من دور العرض، هكذا يجب أن يكون المنطق.. فالأفكار والمشاهد تنقل بالمادّة، والسينما ليست إلا وعاء لهذه المادّة كالتلفاز تماماً وهذا الأخير ليس ممنوعاً في بلدنا. إذن لمَ التخوّف؟ ماذا لو كانت السينما بضوابط إسلامية؟ وأصبحت مواضيع الأفلام مراقبة؟.
في كل الدول تصنّف الأفلام تصنيفاً عمرياً، وهذه الطريقة تنظّم عرض الأفلام بشكل أكبر، وفي استطاعة الجهات الرقابية لدينا التحكّم بالتصنيفات العمرية بالطريقة التي تراها مناسبة. وليتم اقتطاع اللقطات غير مستحبّة كما هو حاصل الآن في شرائط الفيديو دون أن يخل هذا الاقتطاع بمسار الفيلم. ولتكن أوقات عرض
الأفلام متناسبة مع أوقات الصلاة..ولماذا لا نجد طريقة يتم فيها فصل سينما النساء والأطفال عن سينما الرجال؟ نحن لا نريد السينما لعرض ثقافة الآخر بقدر ما نريدها لإنتاج ثقافتنا الخاصة،
.فالسينما رسالة نستطيع توجيهها كيفما أردنا، وباستخدامنا لها سنضمن وصول صوتنا للعالم دون تشويه، كما هي آراؤهم حولناসৌদি আরবে সিনেমা হল স্থাপনে কি বাধা দিচ্ছে? উপরের ধাঁধার উত্তর খুঁজতে গেলেই দুর্ভাগ্যবশত: এই প্রশ্নটি চলে আসে। এ নিয়ে অনেকেরই অনেক রকম ব্যাখ্যা আছে কিন্তু কোনটিই যুক্তিযুক্ত নয়। মূল বিষয়টিই আসলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের বিবেচনায় এবং মনে হচ্ছে সৌদি আরবে প্রচলনের আগে সিনেমা হলের বিষয়টি নিয়ে আমরা অন্যদের দৃষ্টিতে হালকা ভাবে আলোচনা করছি। অনেক লোকই সিনেমার উপকারীতা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা লাভ করেছে। অনেক লোকই মনে করে যে এটি শুধুই একটি বিনোদনের মাধ্যম। আসলে, এটি তার চেয়েও অনেক বেশী..সাহিত্যের মত সিনেমাও সংস্কৃতির একটি উপাদান, বিনোদন তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। অন্য যে কোন শিল্প থেকে এটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। চলচ্চিত্র আমাদের জন্যে নতুন কিছু নয়। ভিডিওর যে বাজার বর্তমানে আমাদের রয়েছে তাই প্রমাণ করে যে আমরা এই শিল্পে পটু। যদিও অপ্রিয় সত্য যে বাজারে সস্তা হাসির ও অ্যাকশন ছবিগুলো জনপ্রিয় – বাজারের ব্যবসায়িক লাভের দৃষ্টিভঙ্গিই এর কারন। এই সমস্যাটি সিনেমা হলের নয় বরং চলচ্চিত্রের এই কথাটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমাদের মনে চিন্তার উদ্ভব ঘটায় (চলচ্চিত্রের) বিষয়বস্তু ও চিন্তাধারার এবং সিনেমা হচ্ছে টেলিভিশনের মতোই এই চিন্তাধারার বাহক মাধ্যম। কিন্তু টেলিভিশন তো আমাদের দেশে নিষিদ্ধ নয়, তবে এত ভয় কেন আমাদের?
যদি আমরা ইসলামী নিয়ম নীতি মেনে সেন্সর করা চলচ্চিত্র উপস্থাপন করি? সব দেশই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্যে বয়সের গ্রুপ অনুযায়ী চলচ্চিত্র ভাগ করে যাতে উপযুক্ত দর্শকের তারা ছবিটি প্রদর্শন করতে পারে। তারা ভিডিও টেপে (টিভিতে) যেভাবে অপ্রদর্শন যোগ্য অংশ কেটে বাদ দেয় ঘটনার পারিপার্শিকতা বজায় রেখে সেভাবে চলচ্চিত্রকেও কাটছাঁট করতে পারে। সেন্সর কর্তৃপক্ষ চলচইত্র কোন বয়স গ্রুপের জন্যে উপযোগী তা নির্ধারণ করতে পারে। তারা এমনটি নিশ্চিত করতে পারে যে নামাজের সময় যাতে সিনেমা বন্ধ থাকে। তারা তো নারী ও শিশূদের উপযোগী সিনেমা আলাদা করতে পারে যাতে তারা আলাদা আলাদাভাবে তা দেখতে পারে।
আমরা চলচ্চিত্রকে শুধুই অন্য সংস্কৃতির ধারকবাহক হিসেবে দেখতে চাই না। আমাদের সংস্কৃতিও এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক। সিনেমা একটি বক্তব্য বহন করে এবং আমরা এটিকে আমাদের মূল্যবোধের সম্প্রসারনে কাজে লাগাতে পারি। এটির যথোপযুক্ত ব্যবহারে আমরা বিশ্বকে আমাদের বক্তব্য শোনাতে পারি এবং আমাদের সম্পর্কে তাদের ধারনাকে বদলাতে পারি।