- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

রাশিয়া: পুতিনের প্রস্থান, মেদ্ভেদেভের প্রবেশ

বিষয়বস্তু: রাশিয়া, ইতিহাস, নির্বাচন, প্রতিবাদ, রাজনীতি, সরকার

বুধবার দিমিত্রি মেদ্ভেদেভ [1] সোভিয়েত ইউনিয়নের যুগ পরবর্তী রাশিয়ার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন।

লাইভজার্নাল ব্যবহারকারী আন্দ্রে কোজেঙ্কো, যিনি রাশিয়ান দৈনিক কোমারসান্টের সাংবাদিক, চলে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে লিখেছেন [2]:

“আমার কোন ভাবান্তর হচ্ছে না পুতিন চলে যাওয়ায়। তাকে ধন্যবাদ দেয়ার মতো কিছুই নেই। সে তার মতো করে শাসন করেছে, তার মনস্তত্ব অনুযায়ী। অনেকে তা পছন্দ করেছে।

তারপরও এই উক্তিতে কিছু আছে: ‘ভুতপূর্ব রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন'…হুমম..”

আগের একটা লেখায় কোজেঙ্কো ব্যাখ্যা করেছিলেন ৬ই মে মস্কোতে বিপ্লবীদের মিছিলে তার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কারন (সমাবেশটি শেষে কেমন পরিণত হয়েছিল সে সম্পর্কে তার চিন্তা গতকালের গ্লোবাল ভয়েসেসের অনুবাদে [3] আছে):

আমি সোভিয়েত ধারার টেলিভিশনে উল্লাস সম্বলিত আর (রাশিয়ার নেতাদের) দীর্ঘ সংবর্ধনা পছন্দ করি না। খবর যা প্রোপাগান্ডার মতো মনে হয় তা আমি পছন্দ করি না।

আমি আক্রমণশীল দেশপ্রেম আর শত্রুভাবাপন্ন অলঙ্কারশাস্ত্র পছন্দ করি না।

আমার নোংরা লাগে যখন শুনি যে একজন গভর্ণর একজন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেশনের অভ্যর্থনায় বসে থাকার সময় হাতে সুটকেস ভর্তি টাকা নিয়ে ঘামছিল- উদ্দেশ্য তার এলাকা যাতে (সরকারি উদ্যোগের উন্নয়ন কাজ) কোন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হয়।

আমার কাছে এটা আর মজার মনে হয় না যে আমার স্থানীয় এলাকার অর্ধেকের মতো অফিসারদের দুর্নীতির দায়ে জেলে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যখন মনে করা হয় যে তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে তাদের এটা প্রাপ্য বলে নয় বরং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারনে। কারন, মূলত: তাদের সবাইকে জেলে দেয়া উচিত।

আমি খুবই অপছন্দ করি যে আমার সব বন্ধু যারা ব্যবসা করছে (সহজে এদের জেলে দেয়া হচ্ছে)। আর তারা বলছে যে তারা চেষ্টা করে (যথাসাধ্য) তাদের কাজ আইনের আওতায় করতে।

যাই হোক, আমার কারন আছে এই শাসকদের অপছন্দ করার। আর আমি বিরোধী দলের পক্ষে ভোট দিতে চাই। আমি বুঝি না শাসকরা কেন সব বিরোধী রাজনীতিবিদদের একঘরে করে ফেলেছে যারা আমার উদ্দেশ্যকে উপস্থাপন করতে পারত। আমি এটাও বলছি না তাদেরকে সংসদে সংখ্যাগুরু হতে হবে। আমি চাই তারা শুধু ওখানে থাকুক আর তাদের কিছু প্রভাব থাকুক। কিন্তু তারা নেই। আমার কাছে তাই বাছার কোন উপায় নেই, যা আছে তাই নিতে হবে: ভুলে যাওয়া, পরওয়া না করা। আমরা একটা ভোক্তা বিষ্ফোরণ অনুভব করছি আর তার মজা নিতে হবে। নিজের জন্য কিছু কিনবেন। নাহলে বিপ্লবীদের মিছিলে যাবেন আপনি যদি এত বিরোধী মনভাবাপন্ন হন।

কিন্তু আমি এই মাচে একেবারেই যেতে চাই না, সেইসব মানুষদের সাথে যারা আমার কাছের না। তাদের মধ্যে একজন লেখক (এডোয়ার্ড লিমোনোভ), অন্যজন দাবা খেলোয়াড় (গ্যারি ক্যাস্পারোভ)। এই ধরনের বিক্ষোভ আমার ভালো লাগে না, আমার স্লোগান বলতে ভালো লাগে না আর জানিও না কি করে বলতে হয়। কিন্তু আমি আবার বলছি আমার কোন উপায় নেই। আমাকে হয় যেতে হবে অথবা যা হচ্ছে সে সম্পর্কে চিন্তা করা বাদ দিতে হবে।

এই লেখায় করা পাঠকদের শেষ মন্তব্যটি:

কেমন হয় সব কিছু যদি যেমন বলা হয়েছে যদি তেমন হয়, কিন্তু টাকাও তো নেই? আর ভবিষ্যতে পাবারও সম্ভাবনা নেই। কোন ভোক্তা বিষ্ফোরণের কথা আমরা বলছি? বাকি আছে শুধু ক্ষুব্ধ অনীহা – যা (প্রতিবাদ) মিছিল বা দোকান কোন দিকেই যাবে না…

এখন মেদভেদেভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিরে যাই: লাইভজার্নাল ব্যবহারকারী ডোল্বোব (অ্যান্টোন নোসসিক) বুধবারের মস্কোর ট্রাফিক পরিস্থিতি নিয়ে এতোই মুগ্ধ ছিল যে সে ঠিক করেছে যে নতুন রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে সে একটা চিঠি লিখবে:

প্রিয় দিমিত্রি আনাতোলিয়েভিচ:

নতুন পদের জন্য শুভেচ্ছা। আশা করি অনুষ্ঠান আপনি আমার মতই উপভোগ করেছেন। আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে দিনের মস্কো ট্রাফিক জ্যাম ছাড়া দেখার সুযোগ দেয়ার জন্য। দয়া করে চিন্তা করবেন প্রত্যেক সপ্তাহ, বিশেষ করে বুধবারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার। আমার মনে হয় রাশিয়ার রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা অনেকখানি এতে লাঘব হবে।

এই জনপ্রিয় ‘সাহসি/লোমশ’ কার্টুন যা অন্যদের মধ্যে লাইভ জার্নাল ব্যবহারকারী তুম্বোখাও [4] পোস্ট করেছেন – বলছে পরবর্তী কয়েক দশকে মেদ্ভেদেভের একটির বেশী অভিষেক বাকি আছে।
কার্টুন
সোভিয়েত/রাশিয়ার নেতারা: লেনিন (টাকমাথা), স্ট্যালিন (চুলওয়ালা), ক্রুস্চেভ (টাকমাথা), ব্রেঝনেভ (চুলওয়ালা), আন্দ্রোপভ (টাকমাথা), চেরনেনকো (চুলওয়ালা), গর্বাচভ (টাকমাথা), ইয়েল্তসিন (চুলওয়ালা), পুতিন (টাকমাথা), মেদভেদেভ (চুলওয়ালা), পুতিন (টাকমাথা), মেদভেদেভ (চুলওয়ালা), পুতিন (টাকমাথা), মেদভেদেভ (চুলওয়ালা), পুতিন (টাকমাথা), মেদভেদেভ (চুলওয়ালা)