আন্তর্জাতিক খাদ্য ঘাটতি ও সংকট ব্লগোস্ফিয়ারেও পদচারণা শুরু করেছে, এখন ভিডিওতে এর ব্যতিক্রম নেই। হাইতিতে মানুষ জীবনধারণের জন্য নোংরা জিনিস খাচ্ছে এবং ক্ষুধার্ত শিশুদেরও খাওয়াবার পরিকল্পনা করছে। আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্র হচ্ছে হাইতি, এবং ইদানিং কালে এই সঙ্কট শিরোনাম হবার পূর্ব থেকেই ক্ষুধা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। (ছবি: ব্রিজডেব্রিজ এর রিজনস নট টু ওভার ইট থেকে)
ইউটিউবে টডডিজিসঅ্যাপ একটি ভিডিওতে দেখান কিভাবে একটা পরিবারের সদস্যরা কাদা দিয়ে কেক তৈরী করছে; যা কেবল নিজেদের খাবার জন্যই নয়, বিক্রি করাও উদ্দেশ্য। অখাদ্য জিনিস সংক্ষেপিত করে ও লবণ দিয়ে তৈরি এই নোংরা কুকিস বা মাটির কেক কখনও তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়।
চিন্তার জন্য খাদ্য, তাই নয় কি?
যে কোন প্রকারেই হোক মনে হচ্ছে সমস্যা সম্বন্ধে সবাই অবগত, কিন্তু এমন মূল্যবান মানুষ ভীষণ দুর্লভ যারা সত্যিই তাদের জন্য কিছু করতে পারে। লাভইনিটউইথহিম ক্ষুধার বিরুদ্ধে শিশুদের জন্য হাইতির খাদ্য সংকট-এর উপরে একটা ভিডিও আপলোড করেছেন যা আপনারা এখানে দেখতে পারেন:
হাইতির “মেডস এন্ড ফুডস ফর চিলড্রেন (এমএফকে)” এর জন্য রবহিল প্রোডাকশনস এর সাম্প্রতিক টিভি ভিডিওতে আলোকপাত করা হয়েছে একটা বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানে শিশুদের অপুষ্টি প্রতিরোধে সমাধান-প্রচেষ্টা ও পরীক্ষা। উচ্চশক্তিমান সম্পন্ন পীনাট বাটার পন্যের উপরে ভিত্তি করে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে যা অচিরেই শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এই মান বর্ধিত পীনাট বাটারে রয়েছে চীনাবাদাম, গুড়াদুধ, চিনি, তেল, ভিটামিনস ও মিনারেলস। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত হাইতিয়ান চীনাবাদাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং হাইতির অর্থনীতিকে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য ব্যবহৃত দ্রব্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে ক্রয় করা হয়েছে। এমএফকে জানিয়েছে স্থানীয়ভাবে মেডিকাল মাম্বা নামে পরিচিত শিশুর জীবন রক্ষাকারী এই থেরাপেটিক ফুডের একটি ডোজ তৈরি করতে ৬৮ ডলার খরচ হয়েছে।