এ সপ্তাহে বাংলা ব্লগের জগৎ বিভিন্ন লেখা ও পর্যালোচনার ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছিল পহেলা মে নিয়ে, যে দিনটিকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
অনেক ব্লগারদের মধ্যেই হতাশা দেখা গেছে যারা অনুভব করেছেন যে এই দিবসটি সময়ের আবর্তনে হয়ত তার সত্যিকারের মানে হারিয়ে ফেলেছে এবং এখন শুধুই একটি সাধারণ ছুটির দিবস হিসেবে পালিত হয়। যুকরুফা ০৭ এর মতে অনেক মালিকেরা শুধু মুখেই এই দিবসটি উদযাপন করে থাকেন। তারা শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তনে কোন কাজ আদতে করছেন না বরং নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তাদের বছরের পর বছর ঠকিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকরা এই শোষনের ঘানিতলে পরে তাদের অধিকার হারাচ্ছেন।
সৈয়দ আমিরুজ্জামান এই দিনটিকে বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীর একটি চাল হিসেবে উল্লেখ করেন। এ দিবসে শ্রমিকদেরকে আনন্দ উল্লাসে ভুলিয়ে রেখে আসলে মালিক পক্ষ, রাজনীতিবিদরা এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা তাদের শোষণ করার পায়তারা কষে। নারী জীবন প্রকল্পের আমাদের কথা ব্লগে (রাইজিং ভয়েস অনুদান প্রাপ্ত) আয়শা খাতুন লিখছেন যে আজও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা কিভাবে শোষিত হচ্ছে। তাদের বিনা ওভারটাইমে ১২ ঘন্টা কাজ করিয়ে বেতন দেয়া হয় ৮ ঘন্টার। কোন কোন কারখানায় এই শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করানো হয়, এমনকি মে দিবসের প্রচলিত ছুটি থেকেও তারা বঞ্চিত।
কৌশিক বিভিন্ন শিল্পে কাজ করা শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন এবং তাদের অধিকার ও কাজের নিশ্চয়তার প্রসংগটি তুলেছেন। অবশ্য সুমন চৌধুরী আশার আলো দেখেন কারন যদিও একদিকে শোষন বর্তমান, অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেণীর রয়েছে অদম্য মনোবল। তারা প্রতিবাদ করবেই তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে। তিনি দুনিয়ার মজদুরের এক হবার শ্লোগান দিয়েছেন।