রাইজিং ভয়েস ক্ষুদ্র ঋণ প্রস্তাব আহ্বান করা হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে নিউ মিডিয়া প্রসার প্রকল্পের জন্যে

দরখাস্ত জমা দেবার শেষ তারিখ: পহেলা জুন, ২০০৮

গ্লোবাল ভয়েসের ব্লগ প্রসার শাখা, রাইজিং ভয়েস ওপেন সোসাইটি ইন্সটিটিউটের (ওএসআই) গনস্বাস্থ্য প্রোগ্রামের হেল্থ মিডিয়া ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের সহায়তায় এখন নতুন প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান করেছে। তৃতীয়বারের মতো ৫০০০ ইউ এস ডলার পর্যন্ত এই ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা দেয়া হবে সেইসব নিউ মিডিয়া (নাগরিক মাধ্যম) প্রসার প্রকল্পকে যারা বিশেষ করে সংখ্যলঘুদের গণস্বাস্থ্য বিষয়ে জোর দেবে।

আদর্শ প্রার্থী বিশেষ করে এনজিও বা ব্যক্তি হবেন তারাই যারা:

  • সেই সব গোত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথাকে তুলে ধরেন যারা স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়ে সমস্যায় ভুগছে; যাদের গল্প, মতামত আর অভিজ্ঞতা অনেক সময় লোক চক্ষুর আড়ালে করে রাখা হয়, শোনা হয় না বা গতানুগতিক প্রচার মাধ্যমে ভুল ভাবে তুলে ধরা হয়। এদের মধ্যে আছে সেইসব মানুষ যারা এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত, যক্ষা, মানসিক রোগী বা মননশীলতার অভাব, সুঁই এর মাধ্যমে মাদকগ্রহণকারী, সমকামী-লিঙহীন ব্যক্তিবর্গ, উপশমকারী সেবা দরকার এমন ব্যক্তি, আর যাযাবর লোকেরা যারা স্বাস্থ্য খাতে পক্ষপাতিত্বের শিকার হয়।
  • আগ্রহী নতুন এবং পরস্পর ক্রিয়াশীল যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বিশ্ব সমাজের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং পরামর্শ দানে আগ্রহী।
  • পূর্ব পরিকল্পনা ও গুরুত্ব অনুযায়ী মিডিয়া আর যোগাযোগের কৌশল তৈরিতে পারদর্শী যাতে তাদের প্রতিষ্ঠানের অভীষ্ট লক্ষ্য সফল হয়।
  • প্রতিযোগিতায় যোগদানের পূর্ব শর্ত:

  • প্রতিষ্ঠানের নিজেদের ওয়েবসাইট থাকবে বা কোন নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটে অংশ গ্রহণে পারদর্শী হতে হবে।
  • রাইজিং ভয়েসেস আর ওএসআই চাচ্ছে নতুন নতুন সমাজ থেকে নতুন কিছু কণ্ঠ তুলে আনতে যারা নতুন ভাষায় ওয়েবে কথা বলবে। তারা সেই সব স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে আগ্রহী যারা কম প্রতিনিধিত্ব করা গোত্রের সাথে কাজ করে। প্রকল্প গুলো কেমন হতে পারে তার সম্ভাব্য উদাহরণের মধ্যে আছে:

  • যক্ষা বা এইচআইভি ক্লিনিক বা স্থানীয় সেন্টারের সাথে যারা কাজ করছে, তাদের স্বাস্থ্যকমীদের প্রশিক্ষণ দেয়া; স্থানীয় ঝুঁকি কমানো বা যৌন কর্মীদের পূনর্বাসনে কাজ করছে এমন কর্মী, রোগী আর তাদের পরিবারদের ব্লগিং আর ভিডিওর মাধ্যমে তাদের কাজ, অভিজ্ঞতা আর তাদের সমাজ সম্পর্কে বিশ্বকে জানানো।
  • ব্লগ, পডকাস্ট আর অনলাইন ভিডিও ব্যবহার করে সমকামী-লিঙহীন গোত্রকে নিজেদের প্রকাশের অধিকার দেয়া আর তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা।
  • স্থানীয় এনজিও যারা উপশমকারী সেবা নিয়ে কাজ করছে তাদেরকে এমপিথ্রি প্লেয়ার বিতরণ করা ও প্রশিক্ষণ দেয়া যাতে তারা অংশগ্রহনকারীদের গল্প আর অভিজ্ঞতা নিয়ে মাসিক অডিও জবানবন্দী আর স্বাক্ষাৎকার তৈরি করতে পারে যেটা এনজিওর ওয়েবসাইটে আপলোড করা যায়।
  • মানসিক প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি আইনী সহায়তা কেন্দ্রে ব্লগিং আর ফটোগ্রাফির উপর নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা। বাজেটের কিছুটা দিয়ে ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা আর ইন্টারনেট ক্যাফের খরচ দেয়া যায়, যাতে অংশগ্রহনকারীরা তাদের চ্যালেঞ্জ আর জীবনের অভিজ্ঞতা পৃথিবীর দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে পারে।
  • একটা সাশ্রয়ী মূল্যের ডিজিটাল ক্যামেরা কিনে স্থানীয় যাযাবর গোত্রের সহায়তা প্রদানকারী কর্মীদের শিখিয়ে দেয়া কি করে একটা ভিডিও ব্লগ ডকুমেন্টারি প্রযোজনা করা যায় তাদের কাজ নিয়ে, যেটা পরে সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া যাবে আর অন্যান্য নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটের সাথে লিংক করা যাবে।
  • রাইজিং ভয়েসের আউট্রিচ গ্রান্ট ১০০০ থেকে ৫০০০ ইউ এস ডলার পর্যন্ত হবে। সাব সাহারান আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, মধ্য এশিয়া আর ককেশাস থেকে আসা প্রস্তাব গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। দয়া করে চিন্তা করে, সুনির্দিষ্ট আর বাস্তব সম্মত হবেন বাজেট দেয়ার সময়।

    সফল প্রোজেক্টকে গ্লোবাল ভয়েসেসে বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হবে।

    ইংরেজী বা রুশ ভাষায় সম্পূর্ণ আবেদন পত্র রবিবার পহেলা জুনের মধ্যে জমা পড়তে হবে। দয়া করে আপনাদের আবেদন রাইজিং ভয়েসের আবেদন পাতায় জমা দেবেন। রুশ ভাষার আবেদন এখানে দিতে হবে। সব আবেদনকারী তরা জুনের মধ্যে একটি আবেদন প্রাপ্তির স্বীকৃতি ইমেইলের মাধ্যমে পাবেন। যারা নির্বাচিত হবেন তাদের নাম ২৮শে জুন হাংগেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল ভয়েস সিটিজেন মিডিয়া সামিটে ঘোষণা করা হবে।

    *********

    ওএসআই এর গণস্বাস্থ্য প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য মিডিয়া কার্যক্রম চায় জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করতে, বিশেষ করে কোন ঠাসা হয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর অবহেলিত থাকা স্বাস্থ্যের বিষয় গুলো নিয়ে। কার্যক্রমটি চাচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা এনজিওদের সহায়তা করতে এবং সাংবাদিকদের সব মিডিয়া প্লাটফর্মে সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াতে যাতে তারা স্বাস্থ্য আর মানবাধিকারের ব্যাপার গুলো আরো ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছাতে পারে। যেখানে মিডিয়া বন্ধুবৎসল না ওএসআই ‘কমিউনিটি সাংবাদিকতাও’ সমর্থন করে, এনজিওদের উৎসাহিত করা তাদের গল্প আর বিষয় একে অপরকে আর পৃথিবীকে জানাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে। এই ব্যবস্থা দ্বারা মিডিয়া কর্মীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাতে তারা দায়িত্বের সাথে গণস্বাস্থ্যের বিষয়ে রিপোর্ট করে।

    রাইজিং ভয়েসেস চেষ্টা করে নতুন নতুন কমিউনিটি (গোস্ঠী) আর নতুন ভাষাভাষীদের মধ্যে থেকে নতুন নতুন কন্ঠকে কথোপকথনের ওয়েবে নিয়ে আসতে। এই কাজের জন্য তারা উপেক্ষিত স্থানীয় গোষ্ঠীরদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া দলগুলোকে আর্থিক সাহায্য করে থাকে।

    আলোচনা শুরু করুন

    লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

    নীতিমালা

    • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .