রাষ্ট্র পরিচালিত জিংহুয়া নিউজ এজেন্সি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায় ”দালাই লামার পক্ষ থেকে আলোচনা পুনরায় শুরুর একের পর এক অনুরোধে সারা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ শীঘ্রই দালাই লামার ব্যক্তিগত প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করবে এবং আলোচনায় বসবে।”
সংবাদটি চাইনিজ ওয়েব পোর্টাল গুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দালাই লামাকে নিয়ে আবার নতুন আলোচনা এবং বির্তকের সূত্রপাত হয় নেট বাসিন্দাদের মধ্যে।
সোহু ডট কম এ মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৮০০০ এর বেশী মানুষ এই সংবাদ নিয়ে মন্তব্য করে।
মন্তব্য: জিয়াংঝি প্রদেশে থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ বিকেল ৪:১৭:১৯
নিজেকে দৃঢ় কর। যদি সম্ভব হয় অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন আলোচনা নয় । এই মুহূর্তে তাকে শুধু এড়িয়ে যাও।
মন্তব্য: বেইজিং থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ বিকেল ৫:৫০:১৮
আলোচনা হতেই পারে তবে কোন ভাবেই তাদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে সমঝোতা করা যাবে না।
মন্তব্য: শেনজেন থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ বিকেল ৬:১৬:৩১
আলোচনা সমর্থন করি। কেননা আমরা সবাই চাইনিজ, আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হতেই পারে । আমাদের মূলনীতির (এক চীন) আলোকে তাদের ক্ষমা চাওয়ার এবং ভুল স্বীকারের সুযোগ দেয়া উচিত ।
মন্তব্য: ওয়েনঝো থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ বিকেল ৬:২৯:৫৬
অখণ্ডতা রক্ষার্থে কোন আলোচনা নয়, কোন সমঝোতা নয়, কোন সুযোগ দেয়া নয়। দালাই লামাদের এই চক্রান্তকে শক্ত হাতে গুঁড়িয়ে দেয়া উচিত।
মন্তব্য: চাংদে থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ সন্ধ্যে ৭:৪২:৫৫
তার সাথে কথাবার্তা বা আলোচনা হতে পারে কিন্তু তা অবশ্যই হতে হবে মাতৃভূমিতে।
মন্তব্য: বেইজিং থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ রাত ৯:৪৭:৫৪
কিয়াংবা পানকগ ২০০২ সালে দালাই লামার প্রতিনিধির সাথে মিলিত হবার মুহুর্তকে স্মৃতিচারণ করে বলেন: ”দালাই লামার সাথে আমার কোন বিষয়ে আলোচনা করব? এটা পরিষ্কার যে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আলোচনা হতে পারে না। দালাই লামার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই । দালাই লামার শাসনাধীনে তিব্বতের মানবাধিকার পরিস্থিতি কি তা সবার কাছেই পরিষ্কার। আমার ব্যক্তিগত মতে, যদি কোন আলোচনা হয় তা কেবল মাত্র দালাই লামার ভবিষ্যৎ কি হবে তাই নিয়ে হতে পারে।”
সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন! সমর্থন!
মন্তব্য: তানসাংগ থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ রাত ১০:১৩:০৬
আলোচনা যে কোন বিরোধের থেকে ভাল । আশা করি উভয় পক্ষ পরস্পরকে কিছু ছাড় দেবে। ৪৯ বছর ধরে চলা বিরোধ যত বড়ই হোক, প্রত্যাশা করি তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবে এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করবে। আশা করি দালাই লামা যত শীঘ্রই সম্ভব লাসা ফিরবে, চীনের এই বিশাল অখণ্ডতা দীর্ঘজীবি হোক ।
মন্তব্য: আমেরিকা থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ বিকেল ১০:৫৮:৫২
যে কোন সমস্যা সমাধানে আলোচনা সর্বোত্তম পন্থা । জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে , আলোচনায় রথী মহারথীদের বাদ দিতে হবে যাতে সংখ্যালঘুরা স্বাচ্ছন্দে আলোচনা করতে পারে। দালাই লামাকে এই শর্তে রাজি করাতে হবে যে, সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিবে সে চাইনিজ এবং তিব্বতীয়রা গৌরবের অলিম্পিকে অংশ নেবে । দালাই লামার সাথে আলোচনা কেন্দ্রীয় সরকার পরিপক্বতা, প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাসেরই পরিচয় দেয় ।
মন্তব্য: জিয়ান থেকে একজন
২৫ এপ্রিল ২০০৮ রাত ১০:৫৯:৫৬
সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সঠিক। কঠোর মনোভাবে কোন দিকেই লাভ নাই। সবকিছুর পরেও তিব্বতীয়রা ধার্মিক আর দালাই লামা তাদের বেশীর ভাগেরই আধ্যাত্মিক নেতা। জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে, সার্বভৌমত্বের অখণ্ডতার জন্য, দাসত্ব বিলোপ করে, সমাজের স্থায়িত্ব ও রক্ষার্থে আর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের দায়িত্ব ভিন্নমতালম্বীদের কথা শোনা আর তাদের দাবি জানা।
আমরা সচেষ্ট থাকব যে জনগণই হোক কিংবা যে কেউ হোক, নানা বর্ণের মানুষের পরিবার চীনদেশ,আমরা শেষ পর্যন্ত সেই চীন কেই জয় করব ।
চীনদেশের ভ্রাতৃত্ব পূর্ণ অখণ্ডতা প্রত্যাশা করি। আশা করি অতি শীঘ্রই চীন নতুন ভাবে একত্রিত হবে।
মন্তব্য: উঝি থেকে একজন
২৬ এপ্রিল ২০০৮ সকাল ৭:৫৮:৩৪
আমি বাজি ধরতে পারি আলোচনা ভেস্তে যাবে কেননা দালাই লামা কোন ভাবেই তার অবস্থান থেকে সরে আসবে না। আমাদের দালাই লামাকে কুকুরের মতন মারতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে আমাদের কাছে নত হবে।
মন্তব্য: গোয়াংঝো থেকে একজন
২৬ এপ্রিল ২০০৮ সকাল ৮:৩৭:৪৫
কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নত হচ্ছে, ইউরোপ আমেরিকার সাথে সমঝোতা করছে, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার কি এতোই দুর্বল!!! আলোচনার পূর্বে দালাই লামা কে প্রথমেই এক চীনের মূলনীতি কে স্বীকার করতে হবে এবং চীনদেশকে বিভক্ত করার কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।
মন্তব্য: কানাডা থেকে একজন
২৬ এপ্রিল ২০০৮ সকাল ৮:৩৯:৩৩
জনগণ দালাই লামার দৃষ্টি ভঙ্গি, তার রাজনৈতিক আদর্শ কি জানে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত জনগণকে তা জানতে দেয়া। মাতৃভূমিকে বিভক্ত করা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তবে আমরা রাজনৈতিক সততাও জানি।
মন্তব্য: হেচি থেকে একজন
২৬ এপ্রিল ২০০৮ সকাল ৮:৪৭:১৮
দালাই ফরাসী হয়ে গেছে। তার সাথে আলোচনার প্রতিবাদ করি।
মন্তব্য: জিবো থেকে একজন
২৬ এপ্রিল ২০০৮ সকাল ৮:৫৭:১৮
দালাই লামার সাথে আমরা আলোচনায় রাজি হলে আসলে তার রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত । অনেক মানুষকে হত্যার এবং রাষ্ট্রের এমন ক্ষতি করার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা উচিত। আমরা বিষয়টি এভাবে চলতে দিতে পারি না। দালাই লামার অনুসারীদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দালাই লামা জনগণের ক্রোধকে বাড়িয়েছে।
নেটইজ ব্লগার ঝি খুয়ানিউ ও এই অপ্রত্যাশিত সংবাদে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে:
আজ সন্ধ্যায় একটি খবর নজরে এসেছে। দালাই লামার সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যোগাযোগ এবং আলোচনা করবে। নেটইজে এ প্রকাশিত এমন সংবাদে আমাকে বিমর্ষ করেছে, কোন মন্তব্য আমার কাছে পরিষ্কার হচ্ছিল না। এটা মনে হচ্ছে গোটা রাষ্ট্রকে মোকাবেলা করার সাহস কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার দালাই লামাকে সমালোচনা করে ছিন্নভিন্ন করেছে এবং ষড়যন্ত্রকারী বলে অভিযুক্ত করেছে, আমাদের জনগনকে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করতে তারা গর্জন করেছে। আর এখন সরকার তার সাথে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। এটা সত্যি হাস্যকর।
যে বিষয়টি আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে, আগে দালাই লামার পরিবর্তে আমাকে ডি এল লিখতে হত যখন কোথাও তার সম্পর্কে লিখতাম। এ ছাড়া আমার ব্লগ কোন ভাবেই ইন্টারনেট পুলিশের সেন্সরশীপ এড়াতে পারত না। আসলে আমি বিদেশী প্রচার মাধ্যমগুলো সম্প্রতি দালাই লামাকে যে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করে তাই হুবহু লিখতাম। কিন্তু এখনও সেন্সরশীপ এড়িয়ে যাওয়া কঠিন ।
আমরা সবসময় পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমের অনৈতিক কার্যকলাপের সমালোচনা করি যা চীনের জনগনের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু আমাদের প্রচার মাধ্যম দালাই লামার কতটুকু সঠিক সংবাদ দিয়েছে??
সবচেয়ে ভাল বিষয় হল চাইনিজ সরকার সঠিক পথে চলতে শুরু করেছে।
1 টি মন্তব্য
যদি তিব্বতের পুরো স্বাধীনতা সঙগ্রামের ইতিহাসটা কোথাো দিতেন, খুব ভালো হতো । কেননা আমরা বেশীল ভাগই তো সঠিক ইতিহাস জানিনা । আর এই লেখা কিন্তু চীনের পক্ষে, আমাদের উচিত তিব্বতের সংগ্রামী মানুষের পাশে দাড়ানো ।